আসবাবহীন বিরতি, মানবিক চাপ
হামাসের কাছে থাকা দুই মরদেহ রেড ক্রসের মাধ্যমে হস্তান্তরের পর ইসরায়েল জানায়—এগুলোর একটি রোনেন এঙ্গেলের। একই সময়ে মিশরের সঙ্গে রাফাহ স্থলসীমান্ত বন্ধই থাকে—ফলে গাজাবাসীর চিকিৎসা–যাত্রা ও পারাপার স্থবির। যুদ্ধের পর থেকে কিছু মরদেহ ফেরত এসেছে; ইসরায়েলও বহু ফিলিস্তিনির দেহ ফেরত দিয়েছে।
এই শনাক্তকরণ সূক্ষ্ম অস্ত্রবিরতি ও বন্দি–বিনিময় প্রক্রিয়ার সাথে জড়িয়ে আছে, যেখানে বিরতিতে মুক্তি, আবার নতুন অভিযোগ—এভাবেই চক্র ঘোরে। দুই পাড়ার পরিবারগুলোর জন্য প্রতিটি হস্তান্তর সমান মাত্রায় আশা ও আতঙ্ক—আলোচকদের উপরও চাপ বাড়ে।
মানবিক করিডর, রাজনীতি ও জনমত
সাহায্য–সংস্থাগুলো বলছে—সীমান্ত বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা ভয়াবহভাবে ব্যাহত। কে আগে কী করবে, কীভাবে যাচাই হবে—এই “সিকোয়েন্সিং” নিয়েই কূটনীতির টানাপোড়েন। ইসরায়েলে জনমানস জিম্মিদের ঘিরে সংবেদনশীল; গাজায় মূল এজেন্ডা—গতি–স্বাধীনতা ও পুনর্গঠন। সংঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ায় অবস্থানগুলোও কঠিন হচ্ছে।
টেকসই সমাধানে প্রয়োজন বিশ্বাসযোগ্য নজরদারি, ধাপে ধাপে অগ্রগতি ও নাগরিক–স্বার্থকে কেন্দ্রে রাখার কাঠামো। ততদিন প্রতিটি মুক্তি—বা মরদেহ শনাক্ত—আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে, শান্তির সেতু এখনো অনেক দূর।