০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
এআই-এ সর্বস্ব বাজি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টার্টআপ-স্টাইল’ রোডম্যাপ বড় ধরনের এডাব্লিউএস অচলাবস্থা: অ্যালেক্সা, ফোর্টনাইট, স্ন্যাপচ্যাটসহ বহু সেবা বন্ধ সুপার বোল হাফটাইমে ব্যাড বান্নি? কেন এই পছন্দে উচ্ছ্বাস-আপত্তি দুটোই হাঙ্গেরিতে পুতিনের সম্ভাব্য সফর ‘ভালো না’—ইইউ কূটনীতিকের মন্তব্যে অস্বস্তি চাহিদার মেরু বদল: চীনের বাইরে কপার টানে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত লাইভ-সার্ভিসে যাচ্ছে ‘হালো’র পরবর্তী অধ্যায়—ভক্তরা বিভক্ত শুল্ক টানাপোড়েনে যুক্তরাষ্ট্র–কলম্বিয়া বাণিজ্যসুবিধা ঝুঁকিতে সোনার দামে নতুন উত্থান—ঘানার খনিতে ঝুঁকি, রাজনীতি ও পরিবেশের টানাপোড়েন রাজসাহীর ইতিহাস (পর্ব -৪৪) ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতিতে রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন — লাতিন আমেরিকার অর্থনীতিতে অপ্রত্যাশিত প্রাণসঞ্চার

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা উচিত: বরকত উল্লাহ বুলু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ, তারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল এবং পাকিস্তানের পক্ষে থেকে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল।


বেগমগঞ্জে শহীদদের কবর জিয়ারতের পর বক্তব্য

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ—আবদুল কাইয়ুম আহাদ ও আসিফ হোসেনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দুই হাজার মানুষ নিহত ও ২০ হাজার আহত হয়েছেন। যদি আওয়ামী লীগ সেই ঘটনার দায়ে নিষিদ্ধ হয়, তবে তার আগেই জামায়াতের নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। কারণ, ১৯৭১ সালে তারা মা-বোনদের গণিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল এবং ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।”


‘আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নে বিএনপি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত’

বুলু অভিযোগ করেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের শিকার সবচেয়ে বেশি বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, “যারা একাত্তরকে অস্বীকার করে, শহীদের রক্তের গুরুত্বকে অস্বীকার করে, আবার চব্বিশ সালের গণঅভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে দাবি করে, তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করছে। এমন ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব বা ভোট চাওয়ার কোনো অধিকার নেই।”


‘পিআর পদ্ধতির নামে বিদেশি এজেন্ডা’

নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে বুলু বলেন, “পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির কথা বলে যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নির্বাচন ব্যাহত করতে চায়, তারা মূলত বিদেশি কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।”


নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা

সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ড ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভূরাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী বাংলাদেশের নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।”


উপস্থিত নেতৃবৃন্দ

এ সময় বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী শামীমা বরকত লাকী, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস, সদস্য সচিব মাহফুজুল হক আবেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বরকত উল্লাহ বুলুর বক্তব্যে মূলত দুটি বার্তা স্পষ্ট হয়—একদিকে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় দমননীতির অভিযোগ তুলেছেন, অন্যদিকে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের দায় স্মরণ করিয়ে তাদের রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণের দাবি জানিয়েছেন।


#tags: বিএনপি, বরকত_উল্লাহ_বুলু, জামায়াতে_ইসলামী, আওয়ামী_লীগ, বেগমগঞ্জ, বাংলাদেশ_রাজনীতি, সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

এআই-এ সর্বস্ব বাজি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্টার্টআপ-স্টাইল’ রোডম্যাপ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা উচিত: বরকত উল্লাহ বুলু

০১:৩২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ, তারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল এবং পাকিস্তানের পক্ষে থেকে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল।


বেগমগঞ্জে শহীদদের কবর জিয়ারতের পর বক্তব্য

রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুই শহীদ—আবদুল কাইয়ুম আহাদ ও আসিফ হোসেনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দুই হাজার মানুষ নিহত ও ২০ হাজার আহত হয়েছেন। যদি আওয়ামী লীগ সেই ঘটনার দায়ে নিষিদ্ধ হয়, তবে তার আগেই জামায়াতের নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। কারণ, ১৯৭১ সালে তারা মা-বোনদের গণিমতের মাল হিসেবে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল এবং ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।”


‘আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নে বিএনপি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত’

বুলু অভিযোগ করেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়নের শিকার সবচেয়ে বেশি বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, “যারা একাত্তরকে অস্বীকার করে, শহীদের রক্তের গুরুত্বকে অস্বীকার করে, আবার চব্বিশ সালের গণঅভ্যুত্থানকে ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে দাবি করে, তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করছে। এমন ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব বা ভোট চাওয়ার কোনো অধিকার নেই।”


‘পিআর পদ্ধতির নামে বিদেশি এজেন্ডা’

নির্বাচন ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে বুলু বলেন, “পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতির কথা বলে যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নির্বাচন ব্যাহত করতে চায়, তারা মূলত বিদেশি কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।”


নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা

সাম্প্রতিক কিছু বড় অগ্নিকাণ্ড ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভূরাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী বাংলাদেশের নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।”


উপস্থিত নেতৃবৃন্দ

এ সময় বরকত উল্লাহ বুলুর স্ত্রী ও বিএনপি নেত্রী শামীমা বরকত লাকী, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস, সদস্য সচিব মাহফুজুল হক আবেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বরকত উল্লাহ বুলুর বক্তব্যে মূলত দুটি বার্তা স্পষ্ট হয়—একদিকে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় দমননীতির অভিযোগ তুলেছেন, অন্যদিকে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের দায় স্মরণ করিয়ে তাদের রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণের দাবি জানিয়েছেন।


#tags: বিএনপি, বরকত_উল্লাহ_বুলু, জামায়াতে_ইসলামী, আওয়ামী_লীগ, বেগমগঞ্জ, বাংলাদেশ_রাজনীতি, সারাক্ষণ_রিপোর্ট