০৪:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ঝিনাইদহে ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দুর্ঘটনা নিহত এক, আহত তিন রাজধানীর ১০ স্থানে একযোগে মিছিল, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৮ আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি ছয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং শরীর হঠাৎ অবশ হয়ে যাওয়া রোগ জিবিএস, লক্ষণ আর চিকিৎসা কী শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন লাগার পর ২৭ ঘণ্টায় যা যা ঘটেছিল সন্তান লালনপালনে আসল বিষয় হারিয়ে ফেলছে ‘প্যারেন্টিং’ ট্রেন্ড এক পরিবারের তিন প্রজন্ম ও এক টয়োটা করোলার জীবনযাত্রা উৎপাদন থেকে কৃষি—কানাডার শিল্পখাতে ডিজিটাল রূপান্তরের ঢেউ টয়লেটে স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়াচ্ছে হেমোরয়েডের ঝুঁকি

পতনের পর আবারও আত্মবিশ্বাস—‘বাই দ্য ডিপ’-এ বাজারে নতুন তরঙ্গ

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক বাজারে আবারও দেখা গেছে ‘বাই দ্য ডিপ’—অর্থাৎ পতনের পর কেনার প্রবণতা। কোম্পানিগুলোর আয় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এসেছে, বাণিজ্য উত্তেজনা কমেছে এবং বিনিয়োগকারীরা সাময়িক স্থিতি ফিরতে দেখছেন। তবে ঋণ ও ঘাটতির উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে।

বাজারের গতি

শেয়ার বাজার

যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানির তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ইতিবাচক ফলাফলে ওয়াল স্ট্রিটে আশাবাদ ফিরেছে। এশিয়াতেও বাজার ভালো করেছে—বিশেষ করে জাপানের Nikkei-225 রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

তবে ব্যক্তিগত ক্রেডিট মার্কেট, আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর ক্ষতি এবং সম্পদের দাম বৃদ্ধির ফলে কিছু উদ্বেগও রয়েছে।

China posts slowest GDP growth in a year at 4.8% - Nikkei Asia

তরলতা ও ব্যাংকিং খাত

মার্কিন ব্যাংকিং ব্যবস্থার তরলতা হ্রাস পাচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। ফেডারেল রিজার্ভের রেপো সুবিধা ও ব্যাংক রিজার্ভ দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু চাপ দেখা দিচ্ছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এখনো বড় ধরনের কোনো সংকটের লক্ষণ নেই।

চীন এবং বৈশ্বিক সংকেত

চীনের তৃতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮% বছর-ওপর-বছর ভিত্তিতে হলেও অর্থনীতি কিছুটা স্থির অবস্থায় রয়েছে।

স্থির সম্পদ বিনিয়োগ প্রথমবার হ্রাস পেয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে প্রবৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

এদিকে বিরল মাটির রপ্তানি হ্রাস ও যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা আবারও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

‘ডিবেসমেন্ট ট্রেড’ কি চলছে?

কিছু বিনিয়োগকারী মনে করছেন, মুদ্রার মান কমে যেতে পারে—যা “ডিবেসমেন্ট ট্রেড” নামে পরিচিত।

ডলারের দাম বেড়ে ৯২ টাকা

তবে বন্ড ও মুদ্রা বাজারের তথ্য বলছে, ডলার এখনো স্থিতিশীল এবং সুদের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি। ফলে এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয় বলে মনে হচ্ছে।

একই সঙ্গে, স্বর্ণ ও অন্যান্য বাস্তব সম্পদের (রিয়েল অ্যাসেট) মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈচিত্র্যকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের রিস্ক-অফ অবস্থানের কারণেও।

সামনে কী দেখা যাচ্ছে?

বর্তমানে তীব্র সংকটের কোনো চিহ্ন নেই, তবে অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে।

পতনের পর সুযোগ নিয়ে কেনার প্রবণতা বাড়ছে—বাজার এখনো নিচে নেমে পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজছে।

বিনিয়োগকারীরা এখন সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং নজর রাখছেন চাহিদা, মুদ্রাস্ফীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতির দিকে।

বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ মনোভাব (risk-on) ধীরে ধীরে ফিরে আসছে—আয় ভালো, বাণিজ্য উত্তেজনা কমেছে। তবুও সংকট পুরোপুরি কেটে যায়নি। ‘বাই দ্য ডিপ’ প্রবণতা আবার সক্রিয়, আর বিনিয়োগকারীরা খুঁজছেন পতনের পর উঠার সম্ভাব্য সুযোগগুলো।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহে ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস দুর্ঘটনা নিহত এক, আহত তিন

পতনের পর আবারও আত্মবিশ্বাস—‘বাই দ্য ডিপ’-এ বাজারে নতুন তরঙ্গ

১২:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক বাজারে আবারও দেখা গেছে ‘বাই দ্য ডিপ’—অর্থাৎ পতনের পর কেনার প্রবণতা। কোম্পানিগুলোর আয় প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এসেছে, বাণিজ্য উত্তেজনা কমেছে এবং বিনিয়োগকারীরা সাময়িক স্থিতি ফিরতে দেখছেন। তবে ঋণ ও ঘাটতির উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে।

বাজারের গতি

শেয়ার বাজার

যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কোম্পানির তৃতীয় ত্রৈমাসিকের ইতিবাচক ফলাফলে ওয়াল স্ট্রিটে আশাবাদ ফিরেছে। এশিয়াতেও বাজার ভালো করেছে—বিশেষ করে জাপানের Nikkei-225 রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

তবে ব্যক্তিগত ক্রেডিট মার্কেট, আঞ্চলিক ব্যাংকগুলোর ক্ষতি এবং সম্পদের দাম বৃদ্ধির ফলে কিছু উদ্বেগও রয়েছে।

China posts slowest GDP growth in a year at 4.8% - Nikkei Asia

তরলতা ও ব্যাংকিং খাত

মার্কিন ব্যাংকিং ব্যবস্থার তরলতা হ্রাস পাচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। ফেডারেল রিজার্ভের রেপো সুবিধা ও ব্যাংক রিজার্ভ দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু চাপ দেখা দিচ্ছে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এখনো বড় ধরনের কোনো সংকটের লক্ষণ নেই।

চীন এবং বৈশ্বিক সংকেত

চীনের তৃতীয় ত্রৈমাসিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮% বছর-ওপর-বছর ভিত্তিতে হলেও অর্থনীতি কিছুটা স্থির অবস্থায় রয়েছে।

স্থির সম্পদ বিনিয়োগ প্রথমবার হ্রাস পেয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে প্রবৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

এদিকে বিরল মাটির রপ্তানি হ্রাস ও যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা আবারও বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

‘ডিবেসমেন্ট ট্রেড’ কি চলছে?

কিছু বিনিয়োগকারী মনে করছেন, মুদ্রার মান কমে যেতে পারে—যা “ডিবেসমেন্ট ট্রেড” নামে পরিচিত।

ডলারের দাম বেড়ে ৯২ টাকা

তবে বন্ড ও মুদ্রা বাজারের তথ্য বলছে, ডলার এখনো স্থিতিশীল এবং সুদের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি। ফলে এই ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয় বলে মনে হচ্ছে।

একই সঙ্গে, স্বর্ণ ও অন্যান্য বাস্তব সম্পদের (রিয়েল অ্যাসেট) মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈচিত্র্যকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের রিস্ক-অফ অবস্থানের কারণেও।

সামনে কী দেখা যাচ্ছে?

বর্তমানে তীব্র সংকটের কোনো চিহ্ন নেই, তবে অনিশ্চয়তা এখনো রয়ে গেছে।

পতনের পর সুযোগ নিয়ে কেনার প্রবণতা বাড়ছে—বাজার এখনো নিচে নেমে পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজছে।

বিনিয়োগকারীরা এখন সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন এবং নজর রাখছেন চাহিদা, মুদ্রাস্ফীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতির দিকে।

বাজারে ঝুঁকিপূর্ণ মনোভাব (risk-on) ধীরে ধীরে ফিরে আসছে—আয় ভালো, বাণিজ্য উত্তেজনা কমেছে। তবুও সংকট পুরোপুরি কেটে যায়নি। ‘বাই দ্য ডিপ’ প্রবণতা আবার সক্রিয়, আর বিনিয়োগকারীরা খুঁজছেন পতনের পর উঠার সম্ভাব্য সুযোগগুলো।