কাহিনি, পারফরম্যান্স, এবং স্যাটায়ার
ইয়োরগস লানথিমসের নতুন ছবি ‘বুগোনিয়া’ তাঁর পরিচিত ব্যঙ্গাত্মক শৈলীকে আরও সংক্ষিপ্ত ও বাস্তবতায় টেনে আনে। টেডি নামের এক ইনসেল পরিবেশ-সন্ত্রাসী ও তার কাজিন ডনি অপহরণ করে মিশেলকে—এক ফার্মা নির্বাহী, যাকে তারা ‘এলিয়েন অনুপ্রবেশকারী’ ভাবছে। বেশিরভাগ দৃশ্য এক বেসমেন্ট-ঘরে; কথোপকথন, মনস্তাত্ত্বিক খেলা ও ধীরে ধীরে জমে ওঠা হুমকি। এই সংকীর্ণতা ব্যঙ্গকে ধারালো করে; ষড়যন্ত্র সংস্কৃতি, করপোরেট ক্ষতি ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে ‘অর্থ’ খোঁজার মানবিক প্রবৃত্তি এক সুতোয় বাঁধা। উইল ট্রেসির চিত্রনাট্য ধারালো টার্ন ও ডেডপ্যান হিউমারে উত্তেজনা ধরে রাখে, ফলে তত্ত্ব যত অলৌকিক হয়, চরিত্রগুলো তত মানবিক থাকে।
এমা স্টোন ও জেসি প্লেমন্স পরস্পরবিরোধী স্টাইলে জ্বলে ওঠেন—তিনি ঠান্ডা, হিসাবি, স্থির; তিনি উত্তেজিত, আহত, নিশ্চিত যে তিনি সংকেত পড়ছেন। ক্যামেরা শক্তির পালাবদল ধরতে সময় নেয়: কে বর্ণনা নিয়ন্ত্রণ করছে, কে প্রভাবিত করার অভিনয় করছে, কারা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। যখন কথার দেয়াল ভেঙে সহিংসতা ঢুকে পড়ে, তার অভিঘাত কেবলমাত্র ভিসারাল নয়—আগে তৈরি হওয়া মনোযোগকেও ভেঙে দেয়।
কেন ছবিটি থেকে যায়
লানথিমসের ছবিতে মানুষের নির্মমতা প্রায়ই পুতুলঘরের মতো কাঠামোয় দেখা যায়; এখানে দেয়াল অনেকটাই কাছে। মাঝখানে কিছুটা ঢিলেঢালা মুহূর্ত আছে, যা কথামুখী থ্রিলারে স্বাভাবিক; কিন্তু শেষ অধ্যায় হাড়-হিম করা সমাপ্তিতে সবকিছু পুনর্গঠিত করে। রেটিং-সঙ্গত সহিংসতা আছে, কিন্তু তা আইডিয়ার সেবায়। ২০০৩ সালের কোরিয়ান কাল্ট ছবির ঢেউ রয়েছে, তবু এটি নিজস্ব দাঁড়ি-কমার ছবি। প্রেক্ষাগৃহ ছাড়ার পর আলোচনার জ্বালানি—চরমপন্থার বুদবুদ, করপোরেট অজুহাত, বন্ধ ঘরে সহমর্মিতার সম্ভাবনা—সবই এখানে। প্রাপ্তবয়স্ক দর্শকের কাছে এটি মৌসুমজুড়ে টিকে থাকার মতো পরিণত থ্রিলার, যেখানে দুই প্রধান অভিনয় ছবিকে কাঁধে তুলে নেয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















