১২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাস, মেলেনি অনেক হিসাব নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা না হওয়া পর্যন্ত আফগান ট্রানজিট বাণিজ্য স্থগিত থাকবে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতে প্রি-আইপিও বিনিয়োগে মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতিসংঘ মহাসচিব নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা আহ্বান ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র চীনের রেয়ার আর্থ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় জায়ান্টের সমর্থন চীন-মার্কিন উত্তেজনা প্রশমনে ছোট পদক্ষেপের আশা, বড় কোনো সাফল্যের সম্ভাবনা কম অ্যাপলকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এন্টি-ট্রাস্ট অভিযোগের মুখোমুখি চীনের কারখানাগুলোর মাধ্যমে শি জিনপিংয়ের শক্তি আরও দৃঢ় গুগলের কোয়ান্টাম কম্পিউটার ১৩,০০০ গুণ দ্রুত, দাওয়াই আবিষ্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা: সারাক্ষণ রিপোর্ট

বাজারে দাম বাড়ানোর পর পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা

সমকালের একটি শিরোনাম “বাজারে দাম বাড়ানোর পর পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা”

দেশে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে। বাজারে এখন মানভেদে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে আসছে ভরা মৌসুম। তখন দাম আরও কমার কথা। এই সময়েই একদল আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা সিন্ডিকেট করে দেশের বাজারে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে আমদানির সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এখন দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই, বরং পর্যাপ্ত মজুত আছে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। তবু কিছু ব্যবসায়ী আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) পাওয়ার জন্য মরিয়া। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ে জমা পড়েছে ২ হাজার ৮০০ আবেদন। অথচ আগামী দুই মাস পরই উঠবে দেশীয় পেঁয়াজ, যা বাজারে আরও সরবরাহ বাড়াবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নভেম্বরেই বাজারে আসবে। এখন আমদানির অনুমতি দিলে কৃষক বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আলুর মতো পেঁয়াজের দরপতন আমরা হতে দেব না।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, গত মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্য দাম না পেয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এখন তাদের হাতে তেমন কিছু নেই। মজুতদারদের দখলে চলে গেছে পেঁয়াজ। এই সুযোগে মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়িয়েছিল। একই সঙ্গে দাম বাড়ার অজুহাত তুলে ভারত থেকে আমদানির জন্য সরকারকে চাপ দিতে থাকে।

একজন আড়তদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যখনই ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে, তখন কিছু ব্যবসায়ী দেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে তোলে। দামের অজুহাতে ভারত থেকে কম দামে আমদানি করে বাংলাদেশে বেশি দামে বিক্রি করে। সরকার যদি আমদানির অনুমতি দেয়, ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হন।

সরকারি হিসাবে, দেশে বছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও গত মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এবার উৎপাদন ও সংরক্ষণ দুইই ভালো। এমন অবস্থায় নতুন করে আমদানির প্রয়োজন নেই। গত এপ্রিলে দাম কিছুটা বাড়লে বাণিজ্য উপদেষ্টার পরামর্শে কৃষি মন্ত্রণালয় সীমিত আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। পরে দাম কমে গেলে নতুন কোনো আইপি দেওয়া হয়নি। এরপরও ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের সঙ্গে যোগসাজশে আইপি ছাড়া এলসি খুলে পেঁয়াজ বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন। এখন অনেক পেঁয়াজ বন্দরে পড়ে আছে। আইপি না থাকায় এগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ আছে, তবে জোট গঠন নিয়ে আগেই বলা যাচ্ছে না: সালাহউদ্দিন”

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’

জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জনপ্রশাসন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, আলোচনায় আবারো ৮২ ব্যাচ”

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোয় চলছে রদবদলের প্রস্তুতি। তবে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন, আসন্ন ভোটের পরিবেশ ও প্রশাসনিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারেন তারা। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও সেখানে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। তাদের প্রায় সবাই আবার প্রশাসন ক্যাডারের ’৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ঘুরেফিরে নানা বিতর্কে সামনে আসছে আলোচিত এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নাম।

প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কিছু কর্মকর্তা জামায়াতে ইসলামীর হয়ে কাজ করছেন। একইভাবে জামায়াতের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের বড় অংশই কাজ করছেন বিএনপির পক্ষে। অপরদিকে এনসিপিসহ অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবি, প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন বিএনপি ও জামায়াতের হয়ে। প্রশাসনের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়নের মতো বিষয়গুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিগত সরকারের নীতি অনুকরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, দৃঢ় পদক্ষেপ না নেয়া, দলীয় আনুগত্য বিবেচনাসহ বেশকিছু কারণে জনপ্রশাসনে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। জনপ্রশাসনে যোগ্য ও পেশাদার লোকদের পদায়ন না করার কারণে তৈরি হয়েছে অনাস্থা। বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে সরকারঘনিষ্ঠ পদগুলোয় কর্মরতদের বড় অংশকেই দেয়া হয়েছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। তাদের একটি অংশই আবার প্রশাসন ক্যাডারের ’৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা।

সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক রেক্টর একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকারের দোদুল্যমানতা, সরকারের দুর্বলতার কারণেই এখন প্রশ্ন উঠছে। কারণ সরকার দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। একই সঙ্গে সরকার যোগ্য লোকদের খুঁজে বের করতে পারেনি। যাদেরকে নিয়েছেন তারা সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছেন। সরকারকে তারা সঠিক পরামর্শও দিতে পারেননি বা সে সক্ষমতা তাদের গড়ে ওঠেনি। সে কারণেই এখন এ অনাস্থা তৈরি হয়েছে।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “আগুন আতঙ্ক সর্বত্র”

একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। সর্বত্র বিরাজ করছে আগুন আতঙ্ক। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা হয়েছে সতর্কতা নোটিশও। নির্বাচনী উত্তাপ ও পতিত আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র- এই আগুন আতঙ্কে ঘি ঢালছে। রাজনৈতিক নেতারাও ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোকে নাশকতা হিসেবে দেখছেন। সরকারের তরফেও বলা হয়েছে, এ ঘটনায় নাশকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে দৃঢ় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ১৪ই অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আনোয়ার ফ্যাশন ও আলম ট্রেডার্স নামে রাসায়নিকের গুদামে আগুনের ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল সরজমিন ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আগুনের সেই ভয়াবহতা এখনো বিরাজ করছে পুরো এলাকায়। নার্গিস বেগম, খলিলুর রহমান, মো. জাফরসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, আলম ট্রেডার্সের আগুনে কতোজনের মৃত্যু হলো। এরপরও কিছু পাল্টায়নি। এমন আলম ট্রেডার্সের মতো এই এলাকায় ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে গার্মেন্টস আছে সেখানেই বিপুল পরিমাণ অবৈধ রাসায়নিকের গোডাউন আছে। বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে এসব কেমিক্যালের মজুত করা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় এমন কেমিক্যালের মজুত থেকে আবারো যেকোনো সময় বড় কোনো অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবারো বড় প্রাণহানি হতে পারে। আর এই জন্যই আগুন নিয়ে আমরা সকলে আতঙ্কে আছি। সামনে আবার নির্বাচন। কে কখন কার স্বার্থ হাসিল করতে কী ঘটিয়ে দেয় তা নিয়েও আমরা খুব চিন্তিত।

এদিকে মিরপুরের আগুন না নিভতেই গত ১৬ই অক্টোবর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ৫ নম্বরের অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় আগুন লাগে। ওই ঘটনাতেও পুরো ইপিজেড জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বেশির ভাগ গার্মেন্টস কারখানাতেই নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বলেছেন, চট্টগ্রামের ইপিজেডে আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দেখা গেছে, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে। সেদিনের রাত ১০টার পর সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সাহায্য করে। সব সময়ই যে বৃষ্টি হবে বা পরিবেশ অনুকূলে থাকবে এটাও আশা করা যায় না। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং চলবে। সেই ষড়যন্ত্রের আগুন যদি পোশাক শিল্পে বা কলকারখানায় পড়ে তাহলে সব শেষ। তারা বলেন, আমাদের সকলের হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট এই শিল্পে। যদি অগ্নিসন্ত্রাসের মতো কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে শুধু আমরা না অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বে পুরো দেশ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ মাস, মেলেনি অনেক হিসাব

বাজারে দাম বাড়ানোর পর পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা

০৮:২০:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “বাজারে দাম বাড়ানোর পর পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা”

দেশে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে। বাজারে এখন মানভেদে প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে আসছে ভরা মৌসুম। তখন দাম আরও কমার কথা। এই সময়েই একদল আমদানিকারক ভারত থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা সিন্ডিকেট করে দেশের বাজারে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়ে আমদানির সুযোগ তৈরির চেষ্টা করছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এখন দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই, বরং পর্যাপ্ত মজুত আছে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি। তবু কিছু ব্যবসায়ী আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) পাওয়ার জন্য মরিয়া। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ে জমা পড়েছে ২ হাজার ৮০০ আবেদন। অথচ আগামী দুই মাস পরই উঠবে দেশীয় পেঁয়াজ, যা বাজারে আরও সরবরাহ বাড়াবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ নভেম্বরেই বাজারে আসবে। এখন আমদানির অনুমতি দিলে কৃষক বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আলুর মতো পেঁয়াজের দরপতন আমরা হতে দেব না।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, গত মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্য দাম না পেয়ে পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেলেছেন। ফলে এখন তাদের হাতে তেমন কিছু নেই। মজুতদারদের দখলে চলে গেছে পেঁয়াজ। এই সুযোগে মজুতদাররা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ আটকে রেখে দাম বাড়িয়েছিল। একই সঙ্গে দাম বাড়ার অজুহাত তুলে ভারত থেকে আমদানির জন্য সরকারকে চাপ দিতে থাকে।

একজন আড়তদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যখনই ভারতে পেঁয়াজের দাম কমে, তখন কিছু ব্যবসায়ী দেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে তোলে। দামের অজুহাতে ভারত থেকে কম দামে আমদানি করে বাংলাদেশে বেশি দামে বিক্রি করে। সরকার যদি আমদানির অনুমতি দেয়, ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হন।

সরকারি হিসাবে, দেশে বছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও গত মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এবার উৎপাদন ও সংরক্ষণ দুইই ভালো। এমন অবস্থায় নতুন করে আমদানির প্রয়োজন নেই। গত এপ্রিলে দাম কিছুটা বাড়লে বাণিজ্য উপদেষ্টার পরামর্শে কৃষি মন্ত্রণালয় সীমিত আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। পরে দাম কমে গেলে নতুন কোনো আইপি দেওয়া হয়নি। এরপরও ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের সঙ্গে যোগসাজশে আইপি ছাড়া এলসি খুলে পেঁয়াজ বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন। এখন অনেক পেঁয়াজ বন্দরে পড়ে আছে। আইপি না থাকায় এগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”এনসিপির সঙ্গে যোগাযোগ আছে, তবে জোট গঠন নিয়ে আগেই বলা যাচ্ছে না: সালাহউদ্দিন”

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে বলেও জানান তিনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে তাঁর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট গঠনে আলাপ-আলোচনা চলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত জোট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে। তবে জোটবদ্ধ হব কি হব না, তারা হবে কি হবে না—রাজনীতির মাঠে কোনো কিছুই আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না।’

জাতীয় সরকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে, যাতে করে আমরা যুগপৎ সঙ্গী এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং সরকার গঠন করতে পারি। সেটাই হচ্ছে ঐকমত্যের জাতীয় সরকার। সাধারণ জাতীয় সরকার বলতে যেটা বোঝায় সেটা নয়।’

 

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “জনপ্রশাসন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে, আলোচনায় আবারো ৮২ ব্যাচ”

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোয় চলছে রদবদলের প্রস্তুতি। তবে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তাদের নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন, আসন্ন ভোটের পরিবেশ ও প্রশাসনিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলতে পারেন তারা। সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ও সেখানে কর্মরত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। তাদের প্রায় সবাই আবার প্রশাসন ক্যাডারের ’৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ঘুরেফিরে নানা বিতর্কে সামনে আসছে আলোচিত এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের নাম।

প্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কিছু কর্মকর্তা জামায়াতে ইসলামীর হয়ে কাজ করছেন। একইভাবে জামায়াতের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের বড় অংশই কাজ করছেন বিএনপির পক্ষে। অপরদিকে এনসিপিসহ অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবি, প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন বিএনপি ও জামায়াতের হয়ে। প্রশাসনের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়নের মতো বিষয়গুলো রাজনৈতিক বিবেচনায় হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিগত সরকারের নীতি অনুকরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, দৃঢ় পদক্ষেপ না নেয়া, দলীয় আনুগত্য বিবেচনাসহ বেশকিছু কারণে জনপ্রশাসনে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। জনপ্রশাসনে যোগ্য ও পেশাদার লোকদের পদায়ন না করার কারণে তৈরি হয়েছে অনাস্থা। বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে সরকারঘনিষ্ঠ পদগুলোয় কর্মরতদের বড় অংশকেই দেয়া হয়েছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। তাদের একটি অংশই আবার প্রশাসন ক্যাডারের ’৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা।

সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাবেক রেক্টর একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকারের দোদুল্যমানতা, সরকারের দুর্বলতার কারণেই এখন প্রশ্ন উঠছে। কারণ সরকার দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। একই সঙ্গে সরকার যোগ্য লোকদের খুঁজে বের করতে পারেনি। যাদেরকে নিয়েছেন তারা সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছেন। সরকারকে তারা সঠিক পরামর্শও দিতে পারেননি বা সে সক্ষমতা তাদের গড়ে ওঠেনি। সে কারণেই এখন এ অনাস্থা তৈরি হয়েছে।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “আগুন আতঙ্ক সর্বত্র”

একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। সর্বত্র বিরাজ করছে আগুন আতঙ্ক। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা হয়েছে সতর্কতা নোটিশও। নির্বাচনী উত্তাপ ও পতিত আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র- এই আগুন আতঙ্কে ঘি ঢালছে। রাজনৈতিক নেতারাও ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোকে নাশকতা হিসেবে দেখছেন। সরকারের তরফেও বলা হয়েছে, এ ঘটনায় নাশকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে দৃঢ় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ১৪ই অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আনোয়ার ফ্যাশন ও আলম ট্রেডার্স নামে রাসায়নিকের গুদামে আগুনের ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল সরজমিন ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, আগুনের সেই ভয়াবহতা এখনো বিরাজ করছে পুরো এলাকায়। নার্গিস বেগম, খলিলুর রহমান, মো. জাফরসহ বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, আলম ট্রেডার্সের আগুনে কতোজনের মৃত্যু হলো। এরপরও কিছু পাল্টায়নি। এমন আলম ট্রেডার্সের মতো এই এলাকায় ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে গার্মেন্টস আছে সেখানেই বিপুল পরিমাণ অবৈধ রাসায়নিকের গোডাউন আছে। বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে এসব কেমিক্যালের মজুত করা হয়েছে। আবাসিক এলাকায় এমন কেমিক্যালের মজুত থেকে আবারো যেকোনো সময় বড় কোনো অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবারো বড় প্রাণহানি হতে পারে। আর এই জন্যই আগুন নিয়ে আমরা সকলে আতঙ্কে আছি। সামনে আবার নির্বাচন। কে কখন কার স্বার্থ হাসিল করতে কী ঘটিয়ে দেয় তা নিয়েও আমরা খুব চিন্তিত।

এদিকে মিরপুরের আগুন না নিভতেই গত ১৬ই অক্টোবর চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ৫ নম্বরের অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় আগুন লাগে। ওই ঘটনাতেও পুরো ইপিজেড জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বেশির ভাগ গার্মেন্টস কারখানাতেই নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বলেছেন, চট্টগ্রামের ইপিজেডে আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দেখা গেছে, বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে। সেদিনের রাত ১০টার পর সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ সাহায্য করে। সব সময়ই যে বৃষ্টি হবে বা পরিবেশ অনুকূলে থাকবে এটাও আশা করা যায় না। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে এবং চলবে। সেই ষড়যন্ত্রের আগুন যদি পোশাক শিল্পে বা কলকারখানায় পড়ে তাহলে সব শেষ। তারা বলেন, আমাদের সকলের হাজার হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট এই শিল্পে। যদি অগ্নিসন্ত্রাসের মতো কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে শুধু আমরা না অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বে পুরো দেশ।