০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
কোরিয়ান ড্রামা এখন নেটফ্লিক্সের শরৎকালীন ‘কম্ফোর্ট ফুড’ — আসছে দ্য ড্রিম লাইফ অব মিস্টার কিম মোটা পোষা প্রাণী, মোটা ভেট বিল: পেট ওবেসিটি এখন শুধু স্বাস্থ্য নয়, টাকারও ঝুঁকি ব্যাটারির ভেতরের লিথিয়াম ফেরত আনো: ইভি রিসাইক্লিংকে যৌথ ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্ট্রাটেজি বানাচ্ছে জাপান ও ইউরোপ দুই ঘণ্টা টানা কোয়ান্টাম কম্পিউটার চালু: গবেষকদের দাবি নতুন যুগ শুরু গাজার যুদ্ধবিরতি এখন মার্কিন তত্ত্বাবধানে: ‘প্ল্যান বি নেই’, সতর্ক করলেন রুবিও অক্টোবরের কমব্যাক ঝড়: কে-পপ এখন হাইপকেই পণ্য বানিয়ে ফেলেছে হ্যালোইন এখন শুধু এক রাতের ভৌতিক মুভি নয় — এটা আরাম বেচার মৌসুম ব্ল্যাকআউট ঠেকাতে ছাড়: মেরিল্যান্ড পাওয়ার প্ল্যান্টকে অতিরিক্ত চালাতে বলল যুক্তরাষ্ট্র সুপারস্টার স্টার্টআপ না ঝুঁকির উৎস? ওপেনএআই নিয়ে নতুন প্রশ্ন গাজা যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে চাপ দিন, আঙ্কারার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রকে

ভারতে প্রি-আইপিও বিনিয়োগে মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা

তালিকাভুক্তির আগে বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা

মুম্বাই, ২৪ অক্টোবর — ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি) মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজারদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনো কোম্পানিতে তালিকাভুক্তির আগে বিনিয়োগ করতে পারবে না। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুইটি সূত্র শুক্রবার রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।


মিউচুয়াল ফান্ডের জিজ্ঞাসায় সেবির স্পষ্ট উত্তর

কিছু মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা জানতে চেয়েছিল, প্রি–ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (প্রি-আইপিও) পর্যায়ের শেয়ার কেনা কি বিনিয়োগের বৈধ অংশ হিসেবে গণ্য হবে কিনা। কিন্তু সেবি জানিয়েছে, কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিক আইপিও প্রক্রিয়ার সময় করা বিনিয়োগই অনুমোদিত, যার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের বড় অঙ্কের ‘অ্যাঙ্কর ইনভেস্টমেন্ট’ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সেবি এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অফিস সময়ের বাইরে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।


রেকর্ড তহবিল সংগ্রহের পথে ভারতীয় কোম্পানিগুলো

চলতি বছর ভারতীয় কোম্পানিগুলো প্রায় ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে যাচ্ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আইপিও বাজারে পরিণত করছে।

প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট হলো কোনো কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে নির্বাচিত কিছু বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া। ভারতে সাধারণত বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল (Alternative Investment Funds) ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই এই সুযোগ পেয়ে থাকে।


মিউচুয়াল ফান্ডের আকার ও ঝুঁকি

বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ৭৫.৬১ ট্রিলিয়ন রুপি (প্রায় ৮৬০.২৩ বিলিয়ন ডলার) সম্পদ পরিচালনা করছে, যা মূলত খুচরা বিনিয়োগকারীদের টাকায় গঠিত।

সূত্র জানায়, “ফান্ড হাউসগুলো বেশি মুনাফা অর্জনের চাপে প্রি-আইপিও বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল। কিন্তু সেবির এই নির্দেশ তাদের সে আশা পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে।”


অনতালিকাভুক্ত শেয়ার রাখার ঝুঁকি

নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফান্ড হাউসগুলোকে জানিয়েছে, যদি তারা কোনো কোম্পানিতে প্রি-আইপিও পর্যায়ে বিনিয়োগ করে এবং সেই কোম্পানি পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত না হয়, তাহলে ফান্ডগুলো অনতালিকাভুক্ত শেয়ার হাতে পাবে—যা তারা রাখতে পারবে না।

দুই সূত্রের ভাষায়, “মিউচুয়াল ফান্ডের অনতালিকাভুক্ত শেয়ার রাখার অনুমতি নেই।”


সেবির এই নির্দেশ মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বিনিয়োগ কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। বিনিয়োগ নিরাপত্তা ও বাজার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।


#ভারত #সেবি #মিউচুয়াল_ফান্ড #প্রি_আইপিও #বিনিয়োগ #আর্থিক_নীতি #রয়টার্স #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

কোরিয়ান ড্রামা এখন নেটফ্লিক্সের শরৎকালীন ‘কম্ফোর্ট ফুড’ — আসছে দ্য ড্রিম লাইফ অব মিস্টার কিম

ভারতে প্রি-আইপিও বিনিয়োগে মিউচুয়াল ফান্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা

১২:০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

তালিকাভুক্তির আগে বিনিয়োগে নিষেধাজ্ঞা

মুম্বাই, ২৪ অক্টোবর — ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি) মিউচুয়াল ফান্ড ম্যানেজারদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনো কোম্পানিতে তালিকাভুক্তির আগে বিনিয়োগ করতে পারবে না। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুইটি সূত্র শুক্রবার রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।


মিউচুয়াল ফান্ডের জিজ্ঞাসায় সেবির স্পষ্ট উত্তর

কিছু মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থা জানতে চেয়েছিল, প্রি–ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (প্রি-আইপিও) পর্যায়ের শেয়ার কেনা কি বিনিয়োগের বৈধ অংশ হিসেবে গণ্য হবে কিনা। কিন্তু সেবি জানিয়েছে, কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিক আইপিও প্রক্রিয়ার সময় করা বিনিয়োগই অনুমোদিত, যার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের বড় অঙ্কের ‘অ্যাঙ্কর ইনভেস্টমেন্ট’ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সেবি এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অফিস সময়ের বাইরে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।


রেকর্ড তহবিল সংগ্রহের পথে ভারতীয় কোম্পানিগুলো

চলতি বছর ভারতীয় কোম্পানিগুলো প্রায় ১৮.৫ বিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে যাচ্ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম আইপিও বাজারে পরিণত করছে।

প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট হলো কোনো কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে নির্বাচিত কিছু বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া। ভারতে সাধারণত বিকল্প বিনিয়োগ তহবিল (Alternative Investment Funds) ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই এই সুযোগ পেয়ে থাকে।


মিউচুয়াল ফান্ডের আকার ও ঝুঁকি

বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো ৭৫.৬১ ট্রিলিয়ন রুপি (প্রায় ৮৬০.২৩ বিলিয়ন ডলার) সম্পদ পরিচালনা করছে, যা মূলত খুচরা বিনিয়োগকারীদের টাকায় গঠিত।

সূত্র জানায়, “ফান্ড হাউসগুলো বেশি মুনাফা অর্জনের চাপে প্রি-আইপিও বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল। কিন্তু সেবির এই নির্দেশ তাদের সে আশা পুরোপুরি শেষ করে দিয়েছে।”


অনতালিকাভুক্ত শেয়ার রাখার ঝুঁকি

নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফান্ড হাউসগুলোকে জানিয়েছে, যদি তারা কোনো কোম্পানিতে প্রি-আইপিও পর্যায়ে বিনিয়োগ করে এবং সেই কোম্পানি পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত না হয়, তাহলে ফান্ডগুলো অনতালিকাভুক্ত শেয়ার হাতে পাবে—যা তারা রাখতে পারবে না।

দুই সূত্রের ভাষায়, “মিউচুয়াল ফান্ডের অনতালিকাভুক্ত শেয়ার রাখার অনুমতি নেই।”


সেবির এই নির্দেশ মিউচুয়াল ফান্ড খাতের বিনিয়োগ কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। বিনিয়োগ নিরাপত্তা ও বাজার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।


#ভারত #সেবি #মিউচুয়াল_ফান্ড #প্রি_আইপিও #বিনিয়োগ #আর্থিক_নীতি #রয়টার্স #সারাক্ষণ_রিপোর্ট