০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭,৯১৭ জন—এখন অপেক্ষা মৌখিক পরীক্ষার ঝড়, অগ্নিকাণ্ড আর বন্যা বদলে দিচ্ছে গৃহঋণের অংক: বাড়ছে বীমার খরচ, কমছে নিশ্চয়তা চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বৃদ্ধি ও বিদেশিদের কাছে টার্মিনাল ছেড়ে দেওয়া নিয়ে বিতর্ক কেন? শীন রাজবংশের স্থাপত্যে কাঠ ব্যবহারের নতুন তথ্য—২২০০ বছর আগের নির্মাণ রহস্য উন্মোচন কুয়েতে বিশ্ব জ্বালানি সম্মেলনে তরুণদের ভূমিকা—‘ভবিষ্যৎ গড়বে উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও টেকসই শক্তি’ ইউক্রেনে রাশিয়ার ধীরচাপ কৌশল: বড় শহর নয়, ক্লান্তিই এখন আসল অস্ত্র প্রযুক্তিগত বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরায় আকাশে আলাস্কা এয়ারলাইন্স—তথ্যপ্রযুক্তি ত্রুটিতে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল রাশিয়ার নারীদের ইতিহাসে আলো ফেলে জুলিয়া ইয়োফে—অগ্রগতির ভঙ্গুরতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্লেষণ অন্ধকার পদার্থের অস্তিত্ব প্রমাণে আরও এক ধাপ এগোলেন বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহণে বিভ্রান্ত পাখিরা, ভোর ভেবে গাইল গান

মোটা পোষা প্রাণী, মোটা ভেট বিল: পেট ওবেসিটি এখন শুধু স্বাস্থ্য নয়, টাকারও ঝুঁকি

পোষা প্রাণীর ওজনই নতুন খরচের সূচক

মার্কিন ভেট ক্লিনিকগুলো বলছে, এখন যে কুকুর-বিড়াল আসে তার বড় অংশই বাড়তি ওজন নিয়ে আসে। অনেক ক্ষেত্রে আদরের কুকুর বা বিড়াল আদর্শ ওজনের চেয়ে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভারী — যেটা ডাক্তাররা সরাসরি “ওবেসিটি” বলছেন। এর প্রভাব শুধু হাঁটাচলায় ব্যথা বা হাঁপ ধরা নয়; ডায়াবেটিসের মতো মেটাবলিক সমস্যা, হার্টের বাড়তি চাপ, গড় আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া — সবই দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরেকটি বাস্তবতা: ভেট বিল উঁচু হচ্ছে। আগের মতো শুধু ভ্যাকসিন বা রুটিন চেক-আপ নয়, এখন প্রতিবার ভিজিট মানে ব্লাডওয়ার্ক, এক্স-রে/আল্ট্রাসাউন্ড, ওষুধের ফলো-আপ। পাঁচ বছরে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে ক্লিনিকগুলো জানাচ্ছে।

ভেটদের ব্যাখ্যা হলো, মালিকরা এখন পোষা প্রাণীকে পরিবারের সদস্যের মতো দেখে, আর সেটা ভালোও। কিন্তু স্ন্যাকস, ঘনঘন “ট্রিট,” মানুষের খাবার শেয়ার করা, আর কম শারীরিক পরিশ্রম — বিশেষ করে অ্যাপার্টমেন্টে থাকা ইনডোর পোষ্যদের ক্ষেত্রে — ধীরে ধীরে বাড়তি ওজনকে স্থায়ী রোগে পরিণত করছে। প্রতি অক্টোবরকে অনেক ক্লিনিক “পেট ওবেসিটি অ্যাওয়ারনেস” হিসেবে ব্যবহার করে মালিকদের বলে: খাবারের মাপ ঠিক করুন, নিয়মিত ওজন নথিবদ্ধ করুন, প্রতিদিন নড়াচড়া করান। নতুন বার্তাটা সরাসরি: শুধু প্রাণীর সুস্থতার জন্য নয়, আপনার নিজের পকেট বাঁচাতেও ওজন কমানো জরুরি।

দোষবোধ ও ব্যবসা

এই প্রবণতা নিজস্ব বাজারও তৈরি করেছে। এখন আছে স্পেশাল ‘মেটাবলিক’ ডায়েট ফুড, অ্যাপ-কানেক্টেড স্মার্ট ফিডার যা ক্যালরি ট্র্যাক করে, এমনকি কুকুরের জন্য ফিটনেস ওয়্যারেবল। পোষা প্রাণীর বীমা কোম্পানিগুলো ওজন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম কভার করছে, কারণ দীর্ঘমেয়াদি ওজনজনিত রোগ না সামলালে দাবি (ক্লেম) আরও ব্যয়বহুল হয়। অর্থাৎ, পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্রমেই মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মতো হয়ে যাচ্ছে — একবারের ইনজেকশনের বদলে চিরস্থায়ী মনিটরিং ও ফলো-আপ।

ভেটদের সতর্কবার্তা হলো, “ম্যাজিক সলিউশন” বিশ্বাস করবেন না। কেবল “ডায়েট” লেখা ফুড কিনে একই পরিমাণ খাওয়ালে লাভ নেই। সাপ্লিমেন্ট কিনেও যদি হাঁটাতে না নিয়ে যান, কাজ হবে না। বেসলাইন জিনিসটাই কাজ করে: পরিমিত খাবার, কম ট্রিট, প্রতিদিন একটু হাঁটা আর খেলা। পার্থক্য হলো, ২০২৫ সালে এই বেসিক উপদেশের সঙ্গে টাকার কথাও জুড়ে গেছে। ওজন যদি না কমে, আপনার ভেট বিল-ই আপনাকে শিক্ষা দেবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭,৯১৭ জন—এখন অপেক্ষা মৌখিক পরীক্ষার

মোটা পোষা প্রাণী, মোটা ভেট বিল: পেট ওবেসিটি এখন শুধু স্বাস্থ্য নয়, টাকারও ঝুঁকি

০৩:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

পোষা প্রাণীর ওজনই নতুন খরচের সূচক

মার্কিন ভেট ক্লিনিকগুলো বলছে, এখন যে কুকুর-বিড়াল আসে তার বড় অংশই বাড়তি ওজন নিয়ে আসে। অনেক ক্ষেত্রে আদরের কুকুর বা বিড়াল আদর্শ ওজনের চেয়ে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভারী — যেটা ডাক্তাররা সরাসরি “ওবেসিটি” বলছেন। এর প্রভাব শুধু হাঁটাচলায় ব্যথা বা হাঁপ ধরা নয়; ডায়াবেটিসের মতো মেটাবলিক সমস্যা, হার্টের বাড়তি চাপ, গড় আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া — সবই দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরেকটি বাস্তবতা: ভেট বিল উঁচু হচ্ছে। আগের মতো শুধু ভ্যাকসিন বা রুটিন চেক-আপ নয়, এখন প্রতিবার ভিজিট মানে ব্লাডওয়ার্ক, এক্স-রে/আল্ট্রাসাউন্ড, ওষুধের ফলো-আপ। পাঁচ বছরে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে ক্লিনিকগুলো জানাচ্ছে।

ভেটদের ব্যাখ্যা হলো, মালিকরা এখন পোষা প্রাণীকে পরিবারের সদস্যের মতো দেখে, আর সেটা ভালোও। কিন্তু স্ন্যাকস, ঘনঘন “ট্রিট,” মানুষের খাবার শেয়ার করা, আর কম শারীরিক পরিশ্রম — বিশেষ করে অ্যাপার্টমেন্টে থাকা ইনডোর পোষ্যদের ক্ষেত্রে — ধীরে ধীরে বাড়তি ওজনকে স্থায়ী রোগে পরিণত করছে। প্রতি অক্টোবরকে অনেক ক্লিনিক “পেট ওবেসিটি অ্যাওয়ারনেস” হিসেবে ব্যবহার করে মালিকদের বলে: খাবারের মাপ ঠিক করুন, নিয়মিত ওজন নথিবদ্ধ করুন, প্রতিদিন নড়াচড়া করান। নতুন বার্তাটা সরাসরি: শুধু প্রাণীর সুস্থতার জন্য নয়, আপনার নিজের পকেট বাঁচাতেও ওজন কমানো জরুরি।

দোষবোধ ও ব্যবসা

এই প্রবণতা নিজস্ব বাজারও তৈরি করেছে। এখন আছে স্পেশাল ‘মেটাবলিক’ ডায়েট ফুড, অ্যাপ-কানেক্টেড স্মার্ট ফিডার যা ক্যালরি ট্র্যাক করে, এমনকি কুকুরের জন্য ফিটনেস ওয়্যারেবল। পোষা প্রাণীর বীমা কোম্পানিগুলো ওজন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম কভার করছে, কারণ দীর্ঘমেয়াদি ওজনজনিত রোগ না সামলালে দাবি (ক্লেম) আরও ব্যয়বহুল হয়। অর্থাৎ, পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্রমেই মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মতো হয়ে যাচ্ছে — একবারের ইনজেকশনের বদলে চিরস্থায়ী মনিটরিং ও ফলো-আপ।

ভেটদের সতর্কবার্তা হলো, “ম্যাজিক সলিউশন” বিশ্বাস করবেন না। কেবল “ডায়েট” লেখা ফুড কিনে একই পরিমাণ খাওয়ালে লাভ নেই। সাপ্লিমেন্ট কিনেও যদি হাঁটাতে না নিয়ে যান, কাজ হবে না। বেসলাইন জিনিসটাই কাজ করে: পরিমিত খাবার, কম ট্রিট, প্রতিদিন একটু হাঁটা আর খেলা। পার্থক্য হলো, ২০২৫ সালে এই বেসিক উপদেশের সঙ্গে টাকার কথাও জুড়ে গেছে। ওজন যদি না কমে, আপনার ভেট বিল-ই আপনাকে শিক্ষা দেবে।