০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতের শিল্প উৎপাদনে দুই বছরের সর্বোচ্চ উত্থান নভেম্বরেই ঘুরে দাঁড়াল অর্থনীতির চাকা অস্ট্রেলিয়ায় সোনার দামে আগুন, ভিক্টোরিয়ায় নতুন প্রজন্মের স্বর্ণখোঁজাদের ঢল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোয়ারে নতুন কোটিপতিরা, সিলিকন ভ্যালির ক্ষমতার মানচিত্র বদলাচ্ছে শত্রু ধ্বংসে নতুন রকেটের হুঁশিয়ারি: কিম জং উনের কারখানা পরিদর্শনে উত্তপ্ত কোরীয় উপদ্বীপ ভারতের শোকবার্তা তারেক রহমানের হাতে তুলে দিলেন জয়শঙ্কর লাখো মানুষের চোখের জলে খালেদা জিয়ার জানাজা কয়লা খনি নিয়ে বিভক্ত নাহদলাতুল উলামা: ধর্মীয় সংগঠনে রাজনীতি ও ব্যবসার টানাপোড়েন শৈত্যপ্রবাহে হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ: সারা দেশে কুয়াশা, শ্বাসকষ্ট আর জীবিকার ঝুঁকি খালেদা জিয়ার মৃত্যু: রাষ্ট্রীয় শোক ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা মুন্সিগঞ্জে ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড; দ্রুত নিয়ন্ত্রণে বড় ক্ষতি এড়ানো গেল

মোটা পোষা প্রাণী, মোটা ভেট বিল: পেট ওবেসিটি এখন শুধু স্বাস্থ্য নয়, টাকারও ঝুঁকি

পোষা প্রাণীর ওজনই নতুন খরচের সূচক

মার্কিন ভেট ক্লিনিকগুলো বলছে, এখন যে কুকুর-বিড়াল আসে তার বড় অংশই বাড়তি ওজন নিয়ে আসে। অনেক ক্ষেত্রে আদরের কুকুর বা বিড়াল আদর্শ ওজনের চেয়ে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভারী — যেটা ডাক্তাররা সরাসরি “ওবেসিটি” বলছেন। এর প্রভাব শুধু হাঁটাচলায় ব্যথা বা হাঁপ ধরা নয়; ডায়াবেটিসের মতো মেটাবলিক সমস্যা, হার্টের বাড়তি চাপ, গড় আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া — সবই দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরেকটি বাস্তবতা: ভেট বিল উঁচু হচ্ছে। আগের মতো শুধু ভ্যাকসিন বা রুটিন চেক-আপ নয়, এখন প্রতিবার ভিজিট মানে ব্লাডওয়ার্ক, এক্স-রে/আল্ট্রাসাউন্ড, ওষুধের ফলো-আপ। পাঁচ বছরে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে ক্লিনিকগুলো জানাচ্ছে।

ভেটদের ব্যাখ্যা হলো, মালিকরা এখন পোষা প্রাণীকে পরিবারের সদস্যের মতো দেখে, আর সেটা ভালোও। কিন্তু স্ন্যাকস, ঘনঘন “ট্রিট,” মানুষের খাবার শেয়ার করা, আর কম শারীরিক পরিশ্রম — বিশেষ করে অ্যাপার্টমেন্টে থাকা ইনডোর পোষ্যদের ক্ষেত্রে — ধীরে ধীরে বাড়তি ওজনকে স্থায়ী রোগে পরিণত করছে। প্রতি অক্টোবরকে অনেক ক্লিনিক “পেট ওবেসিটি অ্যাওয়ারনেস” হিসেবে ব্যবহার করে মালিকদের বলে: খাবারের মাপ ঠিক করুন, নিয়মিত ওজন নথিবদ্ধ করুন, প্রতিদিন নড়াচড়া করান। নতুন বার্তাটা সরাসরি: শুধু প্রাণীর সুস্থতার জন্য নয়, আপনার নিজের পকেট বাঁচাতেও ওজন কমানো জরুরি।

দোষবোধ ও ব্যবসা

এই প্রবণতা নিজস্ব বাজারও তৈরি করেছে। এখন আছে স্পেশাল ‘মেটাবলিক’ ডায়েট ফুড, অ্যাপ-কানেক্টেড স্মার্ট ফিডার যা ক্যালরি ট্র্যাক করে, এমনকি কুকুরের জন্য ফিটনেস ওয়্যারেবল। পোষা প্রাণীর বীমা কোম্পানিগুলো ওজন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম কভার করছে, কারণ দীর্ঘমেয়াদি ওজনজনিত রোগ না সামলালে দাবি (ক্লেম) আরও ব্যয়বহুল হয়। অর্থাৎ, পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্রমেই মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মতো হয়ে যাচ্ছে — একবারের ইনজেকশনের বদলে চিরস্থায়ী মনিটরিং ও ফলো-আপ।

ভেটদের সতর্কবার্তা হলো, “ম্যাজিক সলিউশন” বিশ্বাস করবেন না। কেবল “ডায়েট” লেখা ফুড কিনে একই পরিমাণ খাওয়ালে লাভ নেই। সাপ্লিমেন্ট কিনেও যদি হাঁটাতে না নিয়ে যান, কাজ হবে না। বেসলাইন জিনিসটাই কাজ করে: পরিমিত খাবার, কম ট্রিট, প্রতিদিন একটু হাঁটা আর খেলা। পার্থক্য হলো, ২০২৫ সালে এই বেসিক উপদেশের সঙ্গে টাকার কথাও জুড়ে গেছে। ওজন যদি না কমে, আপনার ভেট বিল-ই আপনাকে শিক্ষা দেবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের শিল্প উৎপাদনে দুই বছরের সর্বোচ্চ উত্থান নভেম্বরেই ঘুরে দাঁড়াল অর্থনীতির চাকা

মোটা পোষা প্রাণী, মোটা ভেট বিল: পেট ওবেসিটি এখন শুধু স্বাস্থ্য নয়, টাকারও ঝুঁকি

০৩:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

পোষা প্রাণীর ওজনই নতুন খরচের সূচক

মার্কিন ভেট ক্লিনিকগুলো বলছে, এখন যে কুকুর-বিড়াল আসে তার বড় অংশই বাড়তি ওজন নিয়ে আসে। অনেক ক্ষেত্রে আদরের কুকুর বা বিড়াল আদর্শ ওজনের চেয়ে ৩০ শতাংশেরও বেশি ভারী — যেটা ডাক্তাররা সরাসরি “ওবেসিটি” বলছেন। এর প্রভাব শুধু হাঁটাচলায় ব্যথা বা হাঁপ ধরা নয়; ডায়াবেটিসের মতো মেটাবলিক সমস্যা, হার্টের বাড়তি চাপ, গড় আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া — সবই দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আরেকটি বাস্তবতা: ভেট বিল উঁচু হচ্ছে। আগের মতো শুধু ভ্যাকসিন বা রুটিন চেক-আপ নয়, এখন প্রতিবার ভিজিট মানে ব্লাডওয়ার্ক, এক্স-রে/আল্ট্রাসাউন্ড, ওষুধের ফলো-আপ। পাঁচ বছরে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে ক্লিনিকগুলো জানাচ্ছে।

ভেটদের ব্যাখ্যা হলো, মালিকরা এখন পোষা প্রাণীকে পরিবারের সদস্যের মতো দেখে, আর সেটা ভালোও। কিন্তু স্ন্যাকস, ঘনঘন “ট্রিট,” মানুষের খাবার শেয়ার করা, আর কম শারীরিক পরিশ্রম — বিশেষ করে অ্যাপার্টমেন্টে থাকা ইনডোর পোষ্যদের ক্ষেত্রে — ধীরে ধীরে বাড়তি ওজনকে স্থায়ী রোগে পরিণত করছে। প্রতি অক্টোবরকে অনেক ক্লিনিক “পেট ওবেসিটি অ্যাওয়ারনেস” হিসেবে ব্যবহার করে মালিকদের বলে: খাবারের মাপ ঠিক করুন, নিয়মিত ওজন নথিবদ্ধ করুন, প্রতিদিন নড়াচড়া করান। নতুন বার্তাটা সরাসরি: শুধু প্রাণীর সুস্থতার জন্য নয়, আপনার নিজের পকেট বাঁচাতেও ওজন কমানো জরুরি।

দোষবোধ ও ব্যবসা

এই প্রবণতা নিজস্ব বাজারও তৈরি করেছে। এখন আছে স্পেশাল ‘মেটাবলিক’ ডায়েট ফুড, অ্যাপ-কানেক্টেড স্মার্ট ফিডার যা ক্যালরি ট্র্যাক করে, এমনকি কুকুরের জন্য ফিটনেস ওয়্যারেবল। পোষা প্রাণীর বীমা কোম্পানিগুলো ওজন ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম কভার করছে, কারণ দীর্ঘমেয়াদি ওজনজনিত রোগ না সামলালে দাবি (ক্লেম) আরও ব্যয়বহুল হয়। অর্থাৎ, পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্যব্যবস্থা ক্রমেই মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মতো হয়ে যাচ্ছে — একবারের ইনজেকশনের বদলে চিরস্থায়ী মনিটরিং ও ফলো-আপ।

ভেটদের সতর্কবার্তা হলো, “ম্যাজিক সলিউশন” বিশ্বাস করবেন না। কেবল “ডায়েট” লেখা ফুড কিনে একই পরিমাণ খাওয়ালে লাভ নেই। সাপ্লিমেন্ট কিনেও যদি হাঁটাতে না নিয়ে যান, কাজ হবে না। বেসলাইন জিনিসটাই কাজ করে: পরিমিত খাবার, কম ট্রিট, প্রতিদিন একটু হাঁটা আর খেলা। পার্থক্য হলো, ২০২৫ সালে এই বেসিক উপদেশের সঙ্গে টাকার কথাও জুড়ে গেছে। ওজন যদি না কমে, আপনার ভেট বিল-ই আপনাকে শিক্ষা দেবে।