বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার উত্তীর্ণ হয়েছেন মোট ৭ হাজার ৯১৭ জন প্রার্থী। শনিবার বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ জুন অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৭,৯১৭ জন সফল হয়েছেন। ফলাফলের তালিকায় প্রার্থীদের রোল নম্বর বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
পরবর্তী ধাপ: মৌখিক পরীক্ষা
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। বার কাউন্সিল জানিয়েছে, মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে। পরীক্ষার সময়সূচি ও কেন্দ্র সংক্রান্ত তথ্য বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব ও জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার স্বাক্ষরিত ফলাফলের বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে।
আইনজীবী হওয়ার তিন ধাপের প্রক্রিয়া
বাংলাদেশে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে একজন প্রার্থীকে তিনটি ধাপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
ইন্টিমেশন জমা: আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর অন্তত ১০ বছর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সিনিয়র আইনজীবীর অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা: ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার ছয় মাস পর প্রার্থী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এমসিকিউতে উত্তীর্ণরাই লিখিত পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান।
মৌখিক পরীক্ষা: লিখিত পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের জন্য এটি চূড়ান্ত ধাপ। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই প্রার্থী বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে আনুষ্ঠানিক সনদ লাভ করেন।
সনদপ্রাপ্তির পর পেশায় প্রবেশ
সনদপ্রাপ্তির পর আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট জেলা বারে যোগদান করতে পারেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে আইন পেশায় কাজ শুরু করেন। পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করে দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা—বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
বাংলাদেশে আইন পেশায় প্রবেশের পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ৭,৯১৭ জন এখন মৌখিক পরীক্ষার অপেক্ষায়, যা শেষে তাঁরা দেশের আদালত ব্যবস্থায় নতুন প্রজন্মের আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হবেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















