নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর বাজারের একটি গুদামঘর থেকে প্রায় ১৩.৫ টন বুলেটের খোলস উদ্ধার করেছে প্রশাসন। ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং পুরো বিষয়টির উৎস ও বৈধতা যাচাই করছে।
স্থানীয়দের চাঞ্চল্য, প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ
শনিবার দুপুরে আহমেদপুর বাজারের ওই গুদামে অস্বাভাবিক পরিমাণে বুলেটের খোলস দেখতে পান স্থানীয়রা। তারা দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে জানালে প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুদামটি ঘিরে ফেলে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে।
ব্যবসায়ীর দাবি: নিলামে কেনা স্ক্র্যাপ ধাতু
গুদামঘরটির মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ সিহাব উদ্দিন, যিনি ‘বাবা-মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ’-এর মালিক। তিনি জানান, রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট, গাজীপুর থেকে নিলামের মাধ্যমে স্ক্র্যাপ ধাতু হিসেবে এসব বুলেটের খোলস কিনেছেন। তার দাবি, প্রতিকেজি প্রায় ৪০ টাকা দরে বৈধভাবে তিনি এগুলো সংগ্রহ করেছেন।

পুলিশের যাচাই ও প্রাথমিক তদন্ত
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীর দাখিল করা কাগজপত্র ও গেটপাস পরীক্ষা করেন। তিনি জানান, দলিলপত্র প্রাথমিকভাবে সঠিক মনে হচ্ছে। বিষয়টি রেকর্ড রাখার জন্য বাগাতিপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং পুরো ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর সহায়তায় চলমান তদন্ত
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা বুলেটের খোলসগুলোর প্রকৃত উৎস ও ব্যবহারের উদ্দেশ্য নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনীও এই তদন্তে সহযোগিতা করছে। স্থানীয়দের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন বাড়তি নজরদারি চালু করেছে।
ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগের জন্ম দিলেও পুলিশ প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে যে সব দিক বিবেচনা করে বিষয়টির স্বচ্ছ তদন্ত করা হবে। প্রয়োজন হলে বুলেটের খোলসের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
#নাটোর #বড়াইগ্রাম #আহমেদপুরবাজার #বুলেটখোলস #সেনাবাহিনী #পুলিশতদন্ত #বাংলাদেশনিরাপত্তা
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















