চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার দুপুরে নিজ বাসার কাছেই গুলিতে নিহত হয়েছেন যুবদল কর্মী মো. আলমগীর ওরফে আলম। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটে কায়কোবাদ জামে মসজিদের নিকটে, যখন আলমগীরকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। স্থানীয়দের আতঙ্কের মধ্যেই তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আলমগীরকে প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে এবং আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনও ঘটনাস্থলে আছি, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”

বিএনপি নেতার ক্ষোভ ও দাবি
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকার এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “আলমগীর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় ১২ বছর কারাভোগ করেছেন এবং সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছিলেন। তার এই হত্যাকাণ্ড গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য ভয়াবহ সংকেত।”
তিনি অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ
ঘটনার পর থেকে রাউজান পৌর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় টহল জোরদার করেছে।
#রাউজান #যুবদল #বিএনপি #গুলিকাণ্ড #চট্টগ্রাম #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















