০৬:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
আরপিও সংশোধনে বিএনপির আপত্তি, ইসিকে চিঠি সাবেক প্রধান বিচারপতিকে কেন জামিন নয়, হাইকোটে রুল পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা ঘিরে যুদ্ধের হুমকি বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থবির, উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি বিএসসিআইসি শিল্প এলাকায় রঙ কারখানার বয়লার কক্ষে ভয়াবহ বিস্ফোরণ জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী তাকাইচির প্রথম পদক্ষেপ: ‘ক্যাশ রিলিফ’ আর দ্রুত সামরিক শক্তি সীমান্ত বাণিজ্য থমকে যাওয়ায় নীরব দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন কোরিয়ান হিট ‘হাউস অব ডায়নামাইট’: শুধু ড্রামা নয়, সাউন্ডট্র্যাকও হচ্ছে আলাদা ব্যবসা কেনিয়ার মাসাই মারায় একা বেঁচে থাকা চিতা শাবককে ঘিরে তর্ক: বাঁচানো নাকি বশ মানানো? অ্যাপলের আইওএস ফাঁসকাণ্ডে লিকার প্রসরের বিরুদ্ধে ডিফল্ট অর্ডার, এখন ঝুঁকিতে পুরো ‘লিক কালচার

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি—বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে নতুন গতি

ছয় মাস আগের আশঙ্কা এখন অতীত

ছয় মাস আগে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নজিরবিহীন বাণিজ্যযুদ্ধের ঘোষণা দেন, তখন বিশ্বজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করেছিল বড় ধরনের মন্দার। শেয়ারবাজারে ধস নামার ইঙ্গিত মিলেছিল, আমেরিকান ভোক্তাদের আস্থা কমে গিয়েছিল, এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তাত্ক্ষণিক সূচকগুলো হঠাৎ নিচে নেমেছিল।
কিন্তু আজ, আমেরিকা ও চীনের তিক্ত বাগযুদ্ধ চললেও সেই ভয় আর বাস্তবতা হয়নি।


অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন

গোল্ডম্যান স্যাকসের তথ্যানুসারে, বসন্তকালের মন্দা কাটিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন প্রায় আগের গতিতেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেপি মরগান গ্লোবাল কম্পোজিট পিএমআই—যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি দ্রুত সূচক—আগস্টে পৌঁছেছে ১৪ মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
আমেরিকার আটলান্টা ফেডারেল রিজার্ভের রিয়েল-টাইম হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি বার্ষিক ৩.৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। যদিও বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হতে পারে।


বর্তমানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (OECD)-এর মাত্র একটি দেশ, ফিনল্যান্ড, মন্দায় আছে—যেখানে ২০২৩ সালের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল আট। অর্থনীতিবিদরা ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস এপ্রিল মাসে ২.২ শতাংশে নামালেও এখন সেটি বেড়ে ২.৬ শতাংশে ফিরে এসেছে।


ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব কমে এসেছে

বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতি টিকে আছে মূলত ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ প্রত্যাশার তুলনায় কম কঠোর হওয়ার কারণে। এপ্রিলের ঘোষণায় কার্যকর শুল্কহার হতে পারত ২৮ শতাংশ, কিন্তু পরবর্তী সমঝোতা ও ছাড়ের ফলে বর্তমানে আমদানিতে কার্যকর করহার প্রায় ১০ শতাংশের একটু বেশি।
এছাড়া, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে উদার রাজস্বনীতির ফলে চাহিদা বাড়ছে। যদিও ভবিষ্যতে ট্রাম্প নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন বা সরকারগুলো বাজেট ঘাটতি কমানোর পথে যেতে পারে, আপাতত বাজারে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে প্রবৃদ্ধি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।


শেয়ারবাজারে আশাবাদ ও করপোরেট মুনাফা বৃদ্ধি

২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের করপোরেট আয়ের পূর্বাভাস আশাব্যঞ্জক। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি গড়ের চেয়ে বেশি।
এমএসসিআই গ্লোবাল সূচক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সাধারণত অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের সময়ে গাড়ি ও নির্মাণ সরঞ্জামের মতো ‘চক্রীয়’ পণ্যের কোম্পানিগুলো প্রতিরক্ষামূলক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভালো করে। এপ্রিলের মন্দাভাবের বিপরীতে এবার এসব চক্রীয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর দ্রুত বাড়ছে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিনিয়োগের প্রভাব সীমিত

একটি সাধারণ আশঙ্কা হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ডেটা সেন্টারভিত্তিক বিনিয়োগই বর্তমানে প্রবৃদ্ধির একমাত্র চালিকা শক্তি। তবে বাস্তবে এটি পুরোপুরি সত্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম ও সফটওয়্যারে (IPES) বিনিয়োগ গত এক বছরে বাস্তব জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রায় ৪০ শতাংশের উৎস হলেও এর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি AI-সম্পর্কিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন কম্পিউটার কেনার খরচও এতে ধরা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তেমন কোনো প্রমাণও নেই যে আইটি খাতই বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি টানছে।


কর্মসংস্থান: আশঙ্কার তুলনায় স্থিতিশীল

আমেরিকায় চাকরির প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হলেও এর পেছনে AI নয়, বরং প্রশাসনের অভিবাসন-নীতি কঠোরতার প্রভাব বেশি। ইয়েল বাজেট ল্যাবের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ChatGPT চালুর পর থেকে শ্রমবাজারে কোনো বড় পরিবর্তন বা বিঘ্ন ঘটেনি।
আমেরিকার বাইরেও OECD দেশগুলোতে চাকরির সংখ্যা স্বাভাবিক হারে বাড়ছে—২০২৫ সালের প্রথমার্ধে প্রায় ৩০ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি হয়েছে, যা কোভিড-পূর্ব সময়ের গড় হারের সমান।


ভোক্তা আস্থা ও বাজার অনিশ্চয়তা

যদিও যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা আস্থা এপ্রিল-মে মাসের নিম্নতম স্তর থেকে কিছুটা বেড়েছে, তা এখনো কোভিড-পূর্ব মানে পৌঁছায়নি। অন্যান্য দেশেও পরিস্থিতি খুব একটা ভিন্ন নয়।


বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নীতি-অনিশ্চয়তা সূচক এখনো উচ্চ পর্যায়ে, এবং গুগলে ‘tariff’ বা শুল্ক সংক্রান্ত অনুসন্ধানও বেড়েছে—যা দেখায় ট্রাম্পের নীতিগুলো এখনো মানুষের মনে প্রভাব ফেলছে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, যদি AI-নির্ভর শেয়ারবাজারে ধস নামে, তা মানুষের আস্থা আরও দুর্বল করতে পারে। তবে বাস্তবে গত ছয় মাসে কোনো বড় বিপর্যয় ঘটেনি, যা প্রমাণ করে—বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি স্থিতিস্থাপক।


 স্থিতিস্থাপকতার নতুন যুগ

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ, AI বিনিয়োগের উত্থান, কিংবা বাজারের অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়েও বিশ্ব অর্থনীতি এখনো দৃঢ়ভাবে টিকে আছে। ভোক্তা, ব্যবসা ও বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে।
সব দিক বিবেচনায়, বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন এক স্থিতিশীল কিন্তু সতর্ক অগ্রগতির পথে।

#ট্রাম্প #বাণিজ্যযুদ্ধ #বৈশ্বিকঅর্থনীতি #AI #শেয়ারবাজার #কর্মসংস্থান #অর্থনৈতিকপ্রবৃদ্ধি #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

আরপিও সংশোধনে বিএনপির আপত্তি, ইসিকে চিঠি

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি—বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনে নতুন গতি

০২:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ছয় মাস আগের আশঙ্কা এখন অতীত

ছয় মাস আগে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নজিরবিহীন বাণিজ্যযুদ্ধের ঘোষণা দেন, তখন বিশ্বজুড়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করেছিল বড় ধরনের মন্দার। শেয়ারবাজারে ধস নামার ইঙ্গিত মিলেছিল, আমেরিকান ভোক্তাদের আস্থা কমে গিয়েছিল, এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তাত্ক্ষণিক সূচকগুলো হঠাৎ নিচে নেমেছিল।
কিন্তু আজ, আমেরিকা ও চীনের তিক্ত বাগযুদ্ধ চললেও সেই ভয় আর বাস্তবতা হয়নি।


অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন

গোল্ডম্যান স্যাকসের তথ্যানুসারে, বসন্তকালের মন্দা কাটিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন প্রায় আগের গতিতেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেপি মরগান গ্লোবাল কম্পোজিট পিএমআই—যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি দ্রুত সূচক—আগস্টে পৌঁছেছে ১৪ মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
আমেরিকার আটলান্টা ফেডারেল রিজার্ভের রিয়েল-টাইম হিসাব অনুযায়ী, ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি বার্ষিক ৩.৯ শতাংশ হারে বেড়েছে। যদিও বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হতে পারে।


বর্তমানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা (OECD)-এর মাত্র একটি দেশ, ফিনল্যান্ড, মন্দায় আছে—যেখানে ২০২৩ সালের শুরুতে এই সংখ্যা ছিল আট। অর্থনীতিবিদরা ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস এপ্রিল মাসে ২.২ শতাংশে নামালেও এখন সেটি বেড়ে ২.৬ শতাংশে ফিরে এসেছে।


ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব কমে এসেছে

বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতি টিকে আছে মূলত ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ প্রত্যাশার তুলনায় কম কঠোর হওয়ার কারণে। এপ্রিলের ঘোষণায় কার্যকর শুল্কহার হতে পারত ২৮ শতাংশ, কিন্তু পরবর্তী সমঝোতা ও ছাড়ের ফলে বর্তমানে আমদানিতে কার্যকর করহার প্রায় ১০ শতাংশের একটু বেশি।
এছাড়া, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে উদার রাজস্বনীতির ফলে চাহিদা বাড়ছে। যদিও ভবিষ্যতে ট্রাম্প নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন বা সরকারগুলো বাজেট ঘাটতি কমানোর পথে যেতে পারে, আপাতত বাজারে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে প্রবৃদ্ধি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।


শেয়ারবাজারে আশাবাদ ও করপোরেট মুনাফা বৃদ্ধি

২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের করপোরেট আয়ের পূর্বাভাস আশাব্যঞ্জক। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক কোম্পানির মুনাফা আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি গড়ের চেয়ে বেশি।
এমএসসিআই গ্লোবাল সূচক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সাধারণত অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের সময়ে গাড়ি ও নির্মাণ সরঞ্জামের মতো ‘চক্রীয়’ পণ্যের কোম্পানিগুলো প্রতিরক্ষামূলক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভালো করে। এপ্রিলের মন্দাভাবের বিপরীতে এবার এসব চক্রীয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর দ্রুত বাড়ছে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিনিয়োগের প্রভাব সীমিত

একটি সাধারণ আশঙ্কা হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ডেটা সেন্টারভিত্তিক বিনিয়োগই বর্তমানে প্রবৃদ্ধির একমাত্র চালিকা শক্তি। তবে বাস্তবে এটি পুরোপুরি সত্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি সরঞ্জাম ও সফটওয়্যারে (IPES) বিনিয়োগ গত এক বছরে বাস্তব জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রায় ৪০ শতাংশের উৎস হলেও এর দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি AI-সম্পর্কিত নয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নতুন কম্পিউটার কেনার খরচও এতে ধরা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তেমন কোনো প্রমাণও নেই যে আইটি খাতই বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি টানছে।


কর্মসংস্থান: আশঙ্কার তুলনায় স্থিতিশীল

আমেরিকায় চাকরির প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হলেও এর পেছনে AI নয়, বরং প্রশাসনের অভিবাসন-নীতি কঠোরতার প্রভাব বেশি। ইয়েল বাজেট ল্যাবের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ChatGPT চালুর পর থেকে শ্রমবাজারে কোনো বড় পরিবর্তন বা বিঘ্ন ঘটেনি।
আমেরিকার বাইরেও OECD দেশগুলোতে চাকরির সংখ্যা স্বাভাবিক হারে বাড়ছে—২০২৫ সালের প্রথমার্ধে প্রায় ৩০ লাখ নতুন চাকরি সৃষ্টি হয়েছে, যা কোভিড-পূর্ব সময়ের গড় হারের সমান।


ভোক্তা আস্থা ও বাজার অনিশ্চয়তা

যদিও যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা আস্থা এপ্রিল-মে মাসের নিম্নতম স্তর থেকে কিছুটা বেড়েছে, তা এখনো কোভিড-পূর্ব মানে পৌঁছায়নি। অন্যান্য দেশেও পরিস্থিতি খুব একটা ভিন্ন নয়।


বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নীতি-অনিশ্চয়তা সূচক এখনো উচ্চ পর্যায়ে, এবং গুগলে ‘tariff’ বা শুল্ক সংক্রান্ত অনুসন্ধানও বেড়েছে—যা দেখায় ট্রাম্পের নীতিগুলো এখনো মানুষের মনে প্রভাব ফেলছে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, যদি AI-নির্ভর শেয়ারবাজারে ধস নামে, তা মানুষের আস্থা আরও দুর্বল করতে পারে। তবে বাস্তবে গত ছয় মাসে কোনো বড় বিপর্যয় ঘটেনি, যা প্রমাণ করে—বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি স্থিতিস্থাপক।


 স্থিতিস্থাপকতার নতুন যুগ

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ, AI বিনিয়োগের উত্থান, কিংবা বাজারের অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়েও বিশ্ব অর্থনীতি এখনো দৃঢ়ভাবে টিকে আছে। ভোক্তা, ব্যবসা ও বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে।
সব দিক বিবেচনায়, বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন এক স্থিতিশীল কিন্তু সতর্ক অগ্রগতির পথে।

#ট্রাম্প #বাণিজ্যযুদ্ধ #বৈশ্বিকঅর্থনীতি #AI #শেয়ারবাজার #কর্মসংস্থান #অর্থনৈতিকপ্রবৃদ্ধি #সারাক্ষণরিপোর্ট