০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতের শিল্প উৎপাদনে দুই বছরের সর্বোচ্চ উত্থান নভেম্বরেই ঘুরে দাঁড়াল অর্থনীতির চাকা অস্ট্রেলিয়ায় সোনার দামে আগুন, ভিক্টোরিয়ায় নতুন প্রজন্মের স্বর্ণখোঁজাদের ঢল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোয়ারে নতুন কোটিপতিরা, সিলিকন ভ্যালির ক্ষমতার মানচিত্র বদলাচ্ছে শত্রু ধ্বংসে নতুন রকেটের হুঁশিয়ারি: কিম জং উনের কারখানা পরিদর্শনে উত্তপ্ত কোরীয় উপদ্বীপ ভারতের শোকবার্তা তারেক রহমানের হাতে তুলে দিলেন জয়শঙ্কর লাখো মানুষের চোখের জলে খালেদা জিয়ার জানাজা কয়লা খনি নিয়ে বিভক্ত নাহদলাতুল উলামা: ধর্মীয় সংগঠনে রাজনীতি ও ব্যবসার টানাপোড়েন শৈত্যপ্রবাহে হারিয়ে গেছে বাংলাদেশ: সারা দেশে কুয়াশা, শ্বাসকষ্ট আর জীবিকার ঝুঁকি খালেদা জিয়ার মৃত্যু: রাষ্ট্রীয় শোক ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা মুন্সিগঞ্জে ছয়তলা ভবনে অগ্নিকাণ্ড; দ্রুত নিয়ন্ত্রণে বড় ক্ষতি এড়ানো গেল

বেনাপোল বন্দরে সন্ধ্যার পর কার্যক্রম বন্ধে ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ

হঠাৎ স্থগিতাদেশে বিপর্যস্ত সীমান্ত বাণিজ্য

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিবিসিসিআই) বেনাপোল স্থলবন্দরে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকল আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের আকস্মিক সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, কোনো পূর্বঘোষণা বা আলোচনা ছাড়াই নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশের অন্যতম ব্যস্ততম স্থলবন্দরের স্বাভাবিক বাণিজ্যপ্রবাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাবে।


চোরাচালান রোধের নামে ব্যবসায়িক ক্ষতি

বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, চোরাচালান ও অবৈধ পণ্যের প্রবাহ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ডিবিসিসিআই বলছে, এমন হঠাৎ সিদ্ধান্তে বৈধ বাণিজ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেনাপোল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর, যা ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। ফলে এই নিষেধাজ্ঞা রপ্তানি-আমদানি উভয় ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণেও বড় ধাক্কা দেবে।


বাণিজ্যের পরিসংখ্যান ও বর্তমান পরিস্থিতি

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে ২০ লাখ ১১ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন আমদানি এবং ৪ লাখ ২১ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন রপ্তানি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু নতুন সীমাবদ্ধতা জারির পর বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাকের সারি তৈরি হয়েছে, বিশেষত নষ্টযোগ্য পণ্যের ট্রাকগুলোতে পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়েছে।

বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করত। এখন তা কমে ১৮০–২০০ ট্রাকে নেমে এসেছে।”


ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ও ডিবিসিসিআইয়ের দাবি

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সি অ্যান্ড এফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে বন্দরে চরম বিশৃঙ্খলার জন্ম দিয়েছে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ডিবিসিসিআই কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং বৈধ বাণিজ্যের নির্বিঘ্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


অবৈধ বাণিজ্য ঠেকানো জরুরি, তবে বৈধ বাণিজ্যে বাধা নয়

চেম্বারটি জোর দিয়ে বলেছে, অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন হলেও দেশের ব্যস্ততম স্থলবন্দরে বৈধ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।


#বেনাপোল_বন্দর #ডিবিসিসিআই #বাণিজ্য #আমদানি #রপ্তানি #বাংলাদেশ_ভারত_বাণিজ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের শিল্প উৎপাদনে দুই বছরের সর্বোচ্চ উত্থান নভেম্বরেই ঘুরে দাঁড়াল অর্থনীতির চাকা

বেনাপোল বন্দরে সন্ধ্যার পর কার্যক্রম বন্ধে ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ

০৭:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

হঠাৎ স্থগিতাদেশে বিপর্যস্ত সীমান্ত বাণিজ্য

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিবিসিসিআই) বেনাপোল স্থলবন্দরে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকল আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের আকস্মিক সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। সংস্থাটি জানায়, কোনো পূর্বঘোষণা বা আলোচনা ছাড়াই নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশের অন্যতম ব্যস্ততম স্থলবন্দরের স্বাভাবিক বাণিজ্যপ্রবাহে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটাবে।


চোরাচালান রোধের নামে ব্যবসায়িক ক্ষতি

বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, চোরাচালান ও অবৈধ পণ্যের প্রবাহ ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ডিবিসিসিআই বলছে, এমন হঠাৎ সিদ্ধান্তে বৈধ বাণিজ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেনাপোল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর, যা ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। ফলে এই নিষেধাজ্ঞা রপ্তানি-আমদানি উভয় ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং সরকারের রাজস্ব আহরণেও বড় ধাক্কা দেবে।


বাণিজ্যের পরিসংখ্যান ও বর্তমান পরিস্থিতি

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে ২০ লাখ ১১ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন আমদানি এবং ৪ লাখ ২১ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন রপ্তানি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু নতুন সীমাবদ্ধতা জারির পর বন্দর এলাকায় শত শত পণ্যবাহী ট্রাকের সারি তৈরি হয়েছে, বিশেষত নষ্টযোগ্য পণ্যের ট্রাকগুলোতে পণ্যের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়েছে।

বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করত। এখন তা কমে ১৮০–২০০ ট্রাকে নেমে এসেছে।”


ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ও ডিবিসিসিআইয়ের দাবি

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সি অ্যান্ড এফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে বন্দরে চরম বিশৃঙ্খলার জন্ম দিয়েছে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীদাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ডিবিসিসিআই কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং বৈধ বাণিজ্যের নির্বিঘ্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।


অবৈধ বাণিজ্য ঠেকানো জরুরি, তবে বৈধ বাণিজ্যে বাধা নয়

চেম্বারটি জোর দিয়ে বলেছে, অবৈধ বাণিজ্য প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন হলেও দেশের ব্যস্ততম স্থলবন্দরে বৈধ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।


#বেনাপোল_বন্দর #ডিবিসিসিআই #বাণিজ্য #আমদানি #রপ্তানি #বাংলাদেশ_ভারত_বাণিজ্য