০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
নীল উপত্যকার টমেটোর গল্পে মিশরীয় স্বাদের ইতিহাস ও নারী ঐতিহ্যের সন্ধান শত্রুর তুলনায় বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতা  অধিক আঘাত দেয়  বলিউডের তারকারা এখন চায় স্ট্রিমিংয়ের লাভের শেয়ার, শুধু অগ্রিম চেক নয় মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৩) যুক্তরাষ্ট্রে সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ৩ শতাংশে পৌঁছালেও প্রত্যাশার নিচে, সুদহার কমাতে স্বস্তিতে ফেড অধিকাংশ শেয়ারদরের পতনে ডিএসই ও সিএসই সপ্তাহ শুরু করল লাল সূচকে শেহবাজ শরিফ ও আসিম মুনির ‘মহান মানুষ’, বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকার ফেরত দাবি—দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় গ্রাহকরা এক টাকার নিচে মূল্যের শেয়ারে ‘টিক সাইজ’ হবে ০.০১ টাকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৬)

আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকার ফেরত দাবি—দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় গ্রাহকরা

দুর্নীতির অর্থ ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

ফার ইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহক ও কর্মচারীরা কোম্পানির তহবিল থেকে আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন।

তারা অভিযোগ করেন, কোম্পানির তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাজরুল ইসলাম ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. খালেক। গ্রাহক ও কর্মচারীরা এসব অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।


অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি

মানববন্ধন থেকে দুদকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। এতে আত্মসাৎ হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার ও অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিবাদের সময় বক্তারা বলেন, নাজরুল ইসলাম ও খালেক কোম্পানির ইতিহাস ধ্বংস করে দিয়েছেন। মিথ্যা বিনিয়োগ, ভুয়া খরচ ও ব্যবস্থাপনায় কারসাজির মাধ্যমে তারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।


গ্রেফতার ও আইনি পদক্ষেপ

২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের পর আদালত সাবেক চেয়ারম্যান নাজরুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায়। ওই মামলায় ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মানববন্ধনে বলেন, “আমরা আমাদের অর্থ ফেরত চাই।” পুনরুদ্ধার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাসুদ হোসেন বলেন, “নাজরুল ও খালেক কোম্পানিটিকে ধ্বংস করেছেন। তারা আইনকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা ন্যায়বিচারের জন্য দৌড়াচ্ছি।”


গ্রাহকদের দুর্ভোগ ও দুদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা

আইনি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ দুদকে দিয়েছি। দুদক যেভাবে নাজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে নীতিধারীদের জমাকৃত অর্থে কোম্পানির তহবিল প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়। কিন্তু তখনকার চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে ভুয়া খরচ, কাগুজে বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশই বিদেশে পাচারের আশঙ্কা রয়েছে।

ফলে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক বর্তমানে তাদের বীমা দাবি ও প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।


মামলার অগ্রগতি

দুদকের উপপরিচালক সাইয়েদ আতাউল কাবির গত ৩১ জুলাই কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নাজরুল ইসলাম, সাবেক এমডি খালেক ও আরও ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, তারা কোম্পানির সম্পদ ক্রয়ের নামে ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।


#ফার_ইস্ট_ইসলামী_লাইফ_ইন্স্যুরেন্স, দুর্নীতি, দুদক, আত্মসাৎ, গ্রাহক_অধিকার, আর্থিক_অপরাধ

জনপ্রিয় সংবাদ

নীল উপত্যকার টমেটোর গল্পে মিশরীয় স্বাদের ইতিহাস ও নারী ঐতিহ্যের সন্ধান

আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকার ফেরত দাবি—দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় গ্রাহকরা

০৯:০৪:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

দুর্নীতির অর্থ ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

ফার ইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের গ্রাহক ও কর্মচারীরা কোম্পানির তহবিল থেকে আত্মসাৎ হওয়া ৪৫০০ কোটি টাকা উদ্ধারের দাবিতে রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন।

তারা অভিযোগ করেন, কোম্পানির তহবিল থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাজরুল ইসলাম ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. খালেক। গ্রাহক ও কর্মচারীরা এসব অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।


অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি

মানববন্ধন থেকে দুদকের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। এতে আত্মসাৎ হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার ও অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিবাদের সময় বক্তারা বলেন, নাজরুল ইসলাম ও খালেক কোম্পানির ইতিহাস ধ্বংস করে দিয়েছেন। মিথ্যা বিনিয়োগ, ভুয়া খরচ ও ব্যবস্থাপনায় কারসাজির মাধ্যমে তারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।


গ্রেফতার ও আইনি পদক্ষেপ

২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতারের পর আদালত সাবেক চেয়ারম্যান নাজরুল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠায়। ওই মামলায় ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মানববন্ধনে বলেন, “আমরা আমাদের অর্থ ফেরত চাই।” পুনরুদ্ধার বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাসুদ হোসেন বলেন, “নাজরুল ও খালেক কোম্পানিটিকে ধ্বংস করেছেন। তারা আইনকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে, আর আমরা ন্যায়বিচারের জন্য দৌড়াচ্ছি।”


গ্রাহকদের দুর্ভোগ ও দুদকের প্রতি কৃতজ্ঞতা

আইনি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ দুদকে দিয়েছি। দুদক যেভাবে নাজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ২০০০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে নীতিধারীদের জমাকৃত অর্থে কোম্পানির তহবিল প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়। কিন্তু তখনকার চেয়ারম্যান ও এমডি তাদের অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে ভুয়া খরচ, কাগুজে বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর বড় অংশই বিদেশে পাচারের আশঙ্কা রয়েছে।

ফলে প্রায় ৪০ লাখ গ্রাহক বর্তমানে তাদের বীমা দাবি ও প্রাপ্য অর্থ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন।


মামলার অগ্রগতি

দুদকের উপপরিচালক সাইয়েদ আতাউল কাবির গত ৩১ জুলাই কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান নাজরুল ইসলাম, সাবেক এমডি খালেক ও আরও ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয় যে, তারা কোম্পানির সম্পদ ক্রয়ের নামে ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।


#ফার_ইস্ট_ইসলামী_লাইফ_ইন্স্যুরেন্স, দুর্নীতি, দুদক, আত্মসাৎ, গ্রাহক_অধিকার, আর্থিক_অপরাধ