ওটিটি পারফরম্যান্সই এখন টাকার মাপকাঠি
রোলিং স্টোনের প্রতিবেদন বলছে, মুম্বাইয়ের শীর্ষ তারকারা নতুন কনট্রাক্টে লিখে দিচ্ছেন: টাকা চাই শুধু আগে নয়, পরে-ও। মানে, ছবি কত দ্রুত ওটিটিতে টপ চার্টে ওঠে, কতদিন ধরে ট্রেন্ড করে, সেই মেট্রিক এখন বোনাস নির্ধারণ করবে। আগে ছিল বড় অংকের সাইনিং ফি, তারপর থিয়েটার কেমন খুলল সেটাই সব। এখন থিয়েটার হলো কেবল প্রথম ঝলক; আসল জীবন শুরু হয় যখন মুভি সরাসরি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে চলে যায় এবং তিন দিনের ভিউ নিয়ে মিম, রিলস, শর্ট ক্লিপে ছড়িয়ে পড়ে। তারকারা বলছেন, “ওই ভাইরাল উইন্ডোটা আমাদেরও প্রাপ্য।”
মাঝারি তারকা ও ক্রুদের ঝুঁকি
কিন্তু নতুন রুলসেটের একটা কড়া দিক আছে। যদি এ-লিস্ট হিরো-হিরোইন পরের আয়ের শেয়ার পর্যন্ত দখল করে নেন, তাহলে বাজেটের জায়গা বাঁচাতে প্রযোজকরা প্রথমে কাঁটাছেঁড়া শুরু করবে মাঝামাঝি সারির অভিনেতা ও টেকনিক্যাল টিমে। এতে ইন্ডাস্ট্রির পুরনো ভারসাম্য নড়তে পারে। একই সাথে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো খুশি, কারণ তারা এখন “ডেটা-ড্রিভেন হিট” বলে দাবি করতে পারবে—মানে, তারকার পারিশ্রমিকও নাকি দর্শকের ক্লিকের সাথেই জড়ানো। ইন্ডাস্ট্রির ভাষায়, ডিভিডি সেলস আর স্যাটেলাইট রাইটসের যুগ শেষ; এখন রিয়েল-টাইম ওটিটি ড্যাশবোর্ডই একধরনের রয়্যালটি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















