যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। অ্যারিজোনার ফিনিক্সে রক্ষণশীল সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর এক বড় সমাবেশে তাকে ঘিরে প্রকাশ্যে ও নেপথ্যে শুরু হয়েছে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রস্তুতি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে ভ্যান্সকে সামনে রেখে ২০২৮ সালের নির্বাচনের জমি তৈরি করতে চাইছে সংগঠনটি ।
চার্লি কির্কের উত্তরাধিকার ও ভ্যান্সের প্রতি সমর্থন
টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর প্রতিষ্ঠাতা চার্লি কির্ক নিহত হওয়ার আগে থেকেই জেডি ভ্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে দেখতেন বলে জানান তার স্ত্রী এরিকা কির্ক। স্বামীর মৃত্যুর পর সংগঠনের প্রথম বড় আয়োজনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ঘোষণা দেন, তার স্বামীর বন্ধুকে প্রেসিডেন্ট বানানোর লক্ষ্যেই এগোবে আন্দোলন। সমাবেশে উপস্থিত হাজারো সমর্থকদের সামনে এই বক্তব্য ভ্যান্সকে ঘিরে প্রত্যাশাকে আরও জোরালো করে তোলে।
আইওয়া কে কেন্দ্র করে আগাম রাজনৈতিক প্রস্তুতি
নেপথ্যে ইতোমধ্যেই সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছে টার্নিং পয়েন্ট। রিপাবলিকান মনোনয়ন প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য আইওয়ার নিরানব্বইটি কাউন্টিতেই প্রতিনিধি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, ডেমোক্র্যাটদের অভ্যন্তরীণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেই রিপাবলিকানদের জন্য ভ্যান্সকে একক মুখ হিসেবে তুলে ধরা সম্ভব।
ট্রাম্পের উত্তরসূরি হিসেবে ভ্যান্স
ওহাইও থেকে নির্বাচিত সিনেটর হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া জেডি ভ্যান্সকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে নিজের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পররাষ্ট্রনীতির অভিজ্ঞ নেতা মার্কো রুবিওর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও আলোচনায় এসেছে। রুবিও নিজেও ভ্যান্সের বিরুদ্ধে মনোনয়নের লড়াইয়ে নামবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
মাগা শিবিরে ঐক্যের বার্তা
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভ্যান্স রিপাবলিকান শিবিরের ভেতরের মতবিরোধ কমানোর আহ্বান জানান। মুক্ত বক্তব্য ও বিতর্ককে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ভিন্ন মতের জন্য একে অন্যকে বাতিল করার রাজনীতি এই আন্দোলনের লক্ষ্য নয়। তার ভাষায়, চার্লি কির্ক বিশ্বাস করতেন প্রত্যেকের কথা বলার অধিকার আছে, আর বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে এগোতেই হবে সবাইকে একসঙ্গে।
তরুণ ভোটার ও ভবিষ্যৎ সমীকরণ
টার্নিং পয়েন্টের তরুণ ভিত্তিক সংগঠন ও ভোটার জাগরণ কার্যক্রম আগের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলে দাবি করা হয়। সংগঠনের নেতারা মনে করছেন, তুলনামূলক তরুণ বয়স ও বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার কারণে ভ্যান্স তরুণ ভোটারদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হতে পারেন। অনেক সমর্থকই তাকে ট্রাম্প-পরবর্তী সময়ের স্বাভাবিক নেতৃত্ব হিসেবে দেখছেন।
#জেডিভ্যান্স #যুক্তরাষ্ট্ররাজনীতি #রিপাবলিকান #টার্নিংপয়েন্ট #ট্রাম্পপরবর্তী #২০২৮নির্বাচন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















