০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
অদৃশ্য বিপদে পৃথিবী ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণায় স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ সংকট আমেরিকার প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের বৈপরীত্য ও আত্মসমালোচনা,গৌরব ও পাপের দ্বৈত মুখোশ উন্মোচন ‘গ্রিন ট্রি সাপ’—সবুজ পাতার আড়ালে লুকানো নীরব সৌন্দর্য আরব আমিরাতের আল আইন জাদুঘর—পাথর যুগ থেকে ইসলামি যুগের ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন মিশরে সূচালো দাঁতওয়ালা ৮ কোটি বছর আগের সামুদ্রিক কুমিরের জীবাশ্ম আবিষ্কার আমেরিকার জন্মকথা—ইতিহাসের দ্বন্দ্ব, স্বাধীনতার গল্প ও মানবতার প্রতিচ্ছবি প্রযুক্তির অবক্ষয় ও পুনর্জাগরণের প্রশ্নে কোরি ডাক্টরোর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৫) দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে আসিয়ান ঐক্যবদ্ধ কিস্তিতে কেনাকাটার নতুন যুগে তরুণ প্রজন্মের সহজ ঋণে গভীর ফাঁদ

চীন–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তির কাঠামোতে সমঝোতা

আলোচনায় অগ্রগতি, কিন্তু চূড়ান্ত নয়

দীর্ঘদিনের বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ২৬ অক্টোবর উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ঘোষণা করেন, তারা শুল্ক ও রপ্তানি ইস্যুতে একটি “চুক্তির কাঠামো” তৈরিতে একমত হয়েছেন। এই অগ্রগতি দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের আসন্ন বৈঠকের আগে এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানান, “আমরা এমন এক কাঠামোর দিকে এগোচ্ছি যা দুই দেশের নেতারা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।” তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে চলমান শুল্কবিরতি বা ‘ট্রুস’ আরও এক বছর বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

চীনের প্রধান আলোচক লি চেংগ্যাং জানান, এই বৈঠক ছিল “খোলামেলা ও গভীর” এবং উভয় পক্ষ “প্রাথমিক ঐকমত্যে” পৌঁছেছে।


আলোচনার স্থান ও মূল বিষয়বস্তু

আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে, আসিয়ান সম্মেলনের সময়, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফর শুরু করেন। বৈঠকে আলোচিত হয়—দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক, মাদকদ্রব্য পাচার রোধে সহযোগিতা এবং শুল্কবিরতি বৃদ্ধি।

গ্রিয়ার জানান, আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বিরল ধাতু বা ‘রেয়ার আর্থ মেটালস’—যার উৎপাদনের মূল কেন্দ্র চীন। ২০২৫ সালে বেইজিং এই ধাতুর ওপর কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা বৈশ্বিক শিল্পে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, “আমরা শুল্কবিরতি বাড়ানোর পাশাপাশি রেয়ার আর্থ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি—বিষয়টি দুই দেশের জন্যই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”


ট্রাম্প–শি বৈঠকের প্রস্তুতি

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবিসিকে জানান, এই সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং বর্তমান চুক্তি কাঠামো হবে সেই বৈঠকের “প্রাক-আলোচনা” বা ‘প্রি-গেম’।

বেসেন্ট বলেন, “প্রেসিডেন্ট আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন আলোচনায়, বিশেষত তখন, যখন তিনি সতর্ক করেছিলেন—যদি চীন তাদের রেয়ার আর্থ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাবে। আমরা এখন সেই পরিস্থিতি এড়াতে পেরেছি।”

তিনি আরও জানান, চীন হয়তো এক বছরের জন্য রেয়ার আর্থ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ স্থগিত রাখবে।


জাহাজ নির্মাণে পাল্টা শুল্ক

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত—চীনে নির্মিত বা চীনা মালিকানাধীন জাহাজে অতিরিক্ত বন্দর ফি আরোপ—নিয়ে আলোচনা হয়। এর জবাবে চীনও মার্কিন তৈরি বা আংশিক মার্কিন মালিকানাধীন জাহাজে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।


চূড়ান্ত নয়, তবে আশাবাদ

লি চেংগ্যাং বলেন, “চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই গঠনমূলকভাবে নিজেদের উদ্বেগের সমাধান খুঁজছে।” তবে তিনি যোগ করেন, প্রতিটি দেশকে এখন নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

“অভ্যন্তরীণ অনুমোদন” শব্দগুচ্ছ চীনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে, যা ভবিষ্যতের নীতিগত পদক্ষেপের সম্ভাবনাও ইঙ্গিত দেয়।


চীনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক প্রভাব

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯ অক্টোবর নতুন রপ্তানি বিধি জারি করেছে, যা রেয়ার আর্থ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির বাইরের দেশগুলোতে স্থানান্তর বন্ধ করেছে।

রেয়ার আর্থ ধাতু আধুনিক শিল্পের অপরিহার্য উপাদান—গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর, ড্রোন, কারখানার রোবট, উইন্ড টারবাইন, এমনকি সামরিক সরঞ্জাম যেমন মিসাইল, ফাইটার জেট ও ট্যাংক তৈরিতেও এদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পরিশোধিত রেয়ার আর্থ এবং প্রায় ১০০ শতাংশ বিশেষ চৌম্বকীয় রেয়ার আর্থ চীনেই উৎপাদিত হয়।


কঠোর নতুন বিধি

চীন ৪ এপ্রিল থেকে বিশ্ববাজারে রেয়ার আর্থ ও চৌম্বকীয় ধাতুর রপ্তানি সীমিত করেছে। ৯ অক্টোবরের ঘোষণামতে, ৮ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

এই নিয়মে এমন সব পণ্য রপ্তানি সীমিত করা হবে যেগুলিতে রেয়ার আর্থ চৌম্বক ব্যবহৃত হয়—যেমন ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনের যন্ত্রপাতি। একইভাবে সেমিকন্ডাক্টর ও সৌর প্যানেল তৈরিতে ব্যবহৃত ডায়মন্ড করাতসহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের রপ্তানিও নিয়ন্ত্রণে আসবে।


সম্ভাব্য ফলাফল

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, যদি চীন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

বেসেন্ট বলেন, “আমরা নেতাদের আলোচনার জন্য একটি সফল কাঠামো তৈরি করেছি।”

এই কাঠামোতে কৃষিপণ্য ক্রয়, ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক, এবং রেয়ার আর্থ রপ্তানি ইস্যু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—যা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য সংঘাত প্রশমনে নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অদৃশ্য বিপদে পৃথিবী ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণায় স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ সংকট

চীন–যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য চুক্তির কাঠামোতে সমঝোতা

০৭:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

আলোচনায় অগ্রগতি, কিন্তু চূড়ান্ত নয়

দীর্ঘদিনের বাণিজ্য উত্তেজনা কমাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ২৬ অক্টোবর উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ঘোষণা করেন, তারা শুল্ক ও রপ্তানি ইস্যুতে একটি “চুক্তির কাঠামো” তৈরিতে একমত হয়েছেন। এই অগ্রগতি দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের আসন্ন বৈঠকের আগে এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানান, “আমরা এমন এক কাঠামোর দিকে এগোচ্ছি যা দুই দেশের নেতারা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।” তিনি আরও বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে চলমান শুল্কবিরতি বা ‘ট্রুস’ আরও এক বছর বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

চীনের প্রধান আলোচক লি চেংগ্যাং জানান, এই বৈঠক ছিল “খোলামেলা ও গভীর” এবং উভয় পক্ষ “প্রাথমিক ঐকমত্যে” পৌঁছেছে।


আলোচনার স্থান ও মূল বিষয়বস্তু

আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে, আসিয়ান সম্মেলনের সময়, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফর শুরু করেন। বৈঠকে আলোচিত হয়—দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক, মাদকদ্রব্য পাচার রোধে সহযোগিতা এবং শুল্কবিরতি বৃদ্ধি।

গ্রিয়ার জানান, আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে বিরল ধাতু বা ‘রেয়ার আর্থ মেটালস’—যার উৎপাদনের মূল কেন্দ্র চীন। ২০২৫ সালে বেইজিং এই ধাতুর ওপর কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যা বৈশ্বিক শিল্পে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, “আমরা শুল্কবিরতি বাড়ানোর পাশাপাশি রেয়ার আর্থ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি—বিষয়টি দুই দেশের জন্যই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”


ট্রাম্প–শি বৈঠকের প্রস্তুতি

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এবিসিকে জানান, এই সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং বর্তমান চুক্তি কাঠামো হবে সেই বৈঠকের “প্রাক-আলোচনা” বা ‘প্রি-গেম’।

বেসেন্ট বলেন, “প্রেসিডেন্ট আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন আলোচনায়, বিশেষত তখন, যখন তিনি সতর্ক করেছিলেন—যদি চীন তাদের রেয়ার আর্থ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে, যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ শুল্ক বসাবে। আমরা এখন সেই পরিস্থিতি এড়াতে পেরেছি।”

তিনি আরও জানান, চীন হয়তো এক বছরের জন্য রেয়ার আর্থ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ স্থগিত রাখবে।


জাহাজ নির্মাণে পাল্টা শুল্ক

আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত—চীনে নির্মিত বা চীনা মালিকানাধীন জাহাজে অতিরিক্ত বন্দর ফি আরোপ—নিয়ে আলোচনা হয়। এর জবাবে চীনও মার্কিন তৈরি বা আংশিক মার্কিন মালিকানাধীন জাহাজে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।


চূড়ান্ত নয়, তবে আশাবাদ

লি চেংগ্যাং বলেন, “চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই গঠনমূলকভাবে নিজেদের উদ্বেগের সমাধান খুঁজছে।” তবে তিনি যোগ করেন, প্রতিটি দেশকে এখন নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

“অভ্যন্তরীণ অনুমোদন” শব্দগুচ্ছ চীনের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে, যা ভবিষ্যতের নীতিগত পদক্ষেপের সম্ভাবনাও ইঙ্গিত দেয়।


চীনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক প্রভাব

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৯ অক্টোবর নতুন রপ্তানি বিধি জারি করেছে, যা রেয়ার আর্থ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির বাইরের দেশগুলোতে স্থানান্তর বন্ধ করেছে।

রেয়ার আর্থ ধাতু আধুনিক শিল্পের অপরিহার্য উপাদান—গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর, ড্রোন, কারখানার রোবট, উইন্ড টারবাইন, এমনকি সামরিক সরঞ্জাম যেমন মিসাইল, ফাইটার জেট ও ট্যাংক তৈরিতেও এদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পরিশোধিত রেয়ার আর্থ এবং প্রায় ১০০ শতাংশ বিশেষ চৌম্বকীয় রেয়ার আর্থ চীনেই উৎপাদিত হয়।


কঠোর নতুন বিধি

চীন ৪ এপ্রিল থেকে বিশ্ববাজারে রেয়ার আর্থ ও চৌম্বকীয় ধাতুর রপ্তানি সীমিত করেছে। ৯ অক্টোবরের ঘোষণামতে, ৮ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।

এই নিয়মে এমন সব পণ্য রপ্তানি সীমিত করা হবে যেগুলিতে রেয়ার আর্থ চৌম্বক ব্যবহৃত হয়—যেমন ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনের যন্ত্রপাতি। একইভাবে সেমিকন্ডাক্টর ও সৌর প্যানেল তৈরিতে ব্যবহৃত ডায়মন্ড করাতসহ সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের রপ্তানিও নিয়ন্ত্রণে আসবে।


সম্ভাব্য ফলাফল

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, যদি চীন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

বেসেন্ট বলেন, “আমরা নেতাদের আলোচনার জন্য একটি সফল কাঠামো তৈরি করেছি।”

এই কাঠামোতে কৃষিপণ্য ক্রয়, ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক, এবং রেয়ার আর্থ রপ্তানি ইস্যু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—যা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য সংঘাত প্রশমনে নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে।