১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
বিলুপ্তির তালিকায় নতুন নাম—একটি পাখি, একটি শুঁয়োপোকা ও একটি শ্রু প্রজাতি হারিয়ে গেল পৃথিবী থেকে মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৫৬) কানাডায় অনিরাপদ বোধ করছেন ভারতীয়রা, উদ্বেগ জানালেন নয়াদিল্লির হাইকমিশনার নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণও হতে পারে জেএমবির তৎপরতার সময় বোয়ালমারীতে নির্মম হত্যাকাণ্ড—পলাতক চার আসামির অনুপস্থিতিতে আদালতের দণ্ডাদেশ সিলেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি—ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়ক অবরোধ বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা ঘিরে ট্রাম্প–লি বৈঠক; বৃহস্পতিবার চীনা প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ রেকর্ড বৃষ্টিপাতে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা—নয়জনের মৃত্যু, নিখোঁজ পাঁচজন নেপাল ও তিব্বতে প্রচণ্ড তুষারঝড়ের কবলে হাজারো ট্রেকার; হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, পর্যটন বন্ধ ঘোষণা সুপার হেডলাইন: ফটিকছড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু— মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার

স্বর্ণের দাম ধস, বিশ্বজুড়ে ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি

বছরের সবচেয়ে বড় ধসের মুখে পড়েছে স্বর্ণবাজার—২১ অক্টোবর একদিনেই দাম কমেছে ৬.৩ শতাংশ পর্যন্ত, যা ২০১৩ সালের পর সর্বাধিক পতন। তবে এই রেকর্ড মূল্যপতন আতঙ্ক নয়, বরং ক্রেতাদের কাছে হয়ে উঠেছে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ।


বিশ্ববাজারে স্বর্ণের রেকর্ড পতন

অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে স্বর্ণের দামে দেখা যায় এক অভাবনীয় ধস—২১ অক্টোবর দাম কমে যায় ৬.৩ শতাংশ পর্যন্ত, যা ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন। ওই সপ্তাহের শেষে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষতি টিকে থাকে, এবং প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ৪,১১৩.০৫ মার্কিন ডলার। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ১৩৮.৭৭ ডলারের এই পতন ইতিহাসে অন্যতম বড় ধস হিসেবে নথিবদ্ধ হয়।


বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক, কিন্তু সাধারণ ক্রেতার ভিড়

স্বর্ণের দামের আকস্মিক পতনে পেশাদার ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়া—এটিকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন তারা। ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত স্বর্ণ বিক্রেতারা জানান, হঠাৎ করেই ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে।

ব্যাংককের চায়নাটাউনে টেক্সটাইল কারখানার কর্মী সুনিসা কোডকাসর্ন বলেন, “স্বর্ণই সেরা বিনিয়োগ। দাম কমেছে জেনে আমরা সঞ্চয় ভেঙে কিনতে এসেছি।” কিন্তু ছোট আকারের বার শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি কেনা সম্ভব করেননি।


বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রত্যাশা

স্বর্ণের দাম ২০ অক্টোবরের শেষে ৪,৩৮১ ডলারের ওপরে উঠেছিল। কিন্তু পরদিনই ধস নামে। আশ্চর্যের বিষয়, এই পতন কেবল স্বর্ণবাজারে সীমাবদ্ধ ছিল—শেয়ার, তেল বা ট্রেজারি বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি।

বিশ্লেষকদের মতে, বড় হেজ ফান্ডের মুনাফা তোলা ও চীনা ব্যাংকগুলোর বিক্রি এই পতনের অন্যতম কারণ হতে পারে। তবু এটি ছিল প্রত্যাশিত সংশোধন, কারণ স্বর্ণ ইতিমধ্যেই বছরের শুরু থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড গড়েছিল।


বুলিশ প্রবণতার বিরতি, কিন্তু হতাশ নন বিশেষজ্ঞরা

কমেক্স ফিউচার মার্কেটে বিক্রির পক্ষে (পুট অপশন) আগ্রহ বেড়েছে ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবুও বিশ্লেষকরা দীর্ঘমেয়াদে এখনো আশাবাদী। লন্ডন বুলিয়ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের (এলবিএমএ) ২০২৫ সালের জরিপে দেখা গেছে, প্রায় সবাই দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কেউ ভাবেননি এটি ৩৩০০ ডলারের ওপরে যাবে।

জেপি মরগান চেজের বিশ্লেষক গ্রেগরি শেয়ারার বলেন, “বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুললেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাস্তব ক্রেতাদের ক্রয়ে এই পতন সীমিত থাকবে।”


অতীতের শিক্ষা: সংশোধনের পরও উত্থান সম্ভব

২০১১ সালে স্বর্ণের দাম ১,৯২১ ডলারে পৌঁছে পড়ে গেলেও পুনরায় সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে লেগেছিল প্রায় ৯ বছর। ফলে বর্তমান পতনেও বাজারবিশেষজ্ঞরা দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আশা করছেন।

এ বছর স্বর্ণের উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ক্রয়, বিশেষ করে ২০২২ সালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পর। পাশাপাশি, বৈশ্বিক ঋণের ভারও বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

জেপি মরগানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালের শেষ প্রান্তিকে স্বর্ণের গড় মূল্য ৫,০০০ ডলারের ওপরে থাকতে পারে—তবে শেয়ারার সতর্ক করেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ক্রয় কমালে তা বড় ঝুঁকি হতে পারে।


সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নতুন ‘গোল্ড রাশ’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্তের চেষ্টা করার পর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বর্ণ কেনার ঢেউ দেখা যায়। দোকানগুলোতে স্টক ফুরিয়ে যায়, আর স্বর্ণভিত্তিক এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়।

সিঙ্গাপুরে বুলিয়নস্টার কোম্পানির উপপ্রধান নির্বাহী পিট ওয়ালডেন বলেন, “২১ অক্টোবর আমাদের কোম্পানির ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যস্ত দিন ছিল। দোকান খোলার আগেই লাইন লেগে যায়।”

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মানি মেটালস এক্সচেঞ্জের স্টেফান গ্লিসন জানান, “দামের পতনকে সুযোগ ভেবে ক্রেতাদের ভিড় সামলানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল।”


দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি

টোকিওর গিনজা এলাকায় পড়াশোনা করা ভিয়েতনামি ছাত্র হ্যাং ভিয়েত বলেন, “আমি বিশ্বাস করি দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের দাম বাড়বেই। তাই এই পতনকে সুযোগ হিসেবে দেখেছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সংশোধনই বাজারকে দীর্ঘস্থায়ী করে। এমকেএস প্যাম্পের বিশ্লেষক নিকি শিলসের ভাষায়, “বুলিশ বাজার টিকে থাকার জন্য মাঝে মাঝে এমন সংশোধন প্রয়োজন, যা অতিরিক্ত উত্তেজনা দূর করে স্থিতিশীলতা আনে।”


স্বর্ণবাজারের সাম্প্রতিক ধস স্বল্পমেয়াদে ক্রেতাদের জন্য এক আকর্ষণীয় সুযোগ তৈরি করেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজারের প্রবণতা এখনো ইতিবাচক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চাহিদা, বৈশ্বিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগের আগ্রহ—সব মিলিয়ে স্বর্ণ এখনো নিরাপদ বিনিয়োগের অন্যতম প্রতীক হয়ে আছে।


# স্বর্ণবাজার, #বিনিয়োগ,# কেন্দ্রীয় ব্যাংক, #জেপি মরগান, #বৈশ্বিক অর্থনীতি, #মূল্যপতন,# দামের উত্থান

জনপ্রিয় সংবাদ

বিলুপ্তির তালিকায় নতুন নাম—একটি পাখি, একটি শুঁয়োপোকা ও একটি শ্রু প্রজাতি হারিয়ে গেল পৃথিবী থেকে

স্বর্ণের দাম ধস, বিশ্বজুড়ে ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি

১২:৩০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

বছরের সবচেয়ে বড় ধসের মুখে পড়েছে স্বর্ণবাজার—২১ অক্টোবর একদিনেই দাম কমেছে ৬.৩ শতাংশ পর্যন্ত, যা ২০১৩ সালের পর সর্বাধিক পতন। তবে এই রেকর্ড মূল্যপতন আতঙ্ক নয়, বরং ক্রেতাদের কাছে হয়ে উঠেছে বিনিয়োগের নতুন সুযোগ।


বিশ্ববাজারে স্বর্ণের রেকর্ড পতন

অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে স্বর্ণের দামে দেখা যায় এক অভাবনীয় ধস—২১ অক্টোবর দাম কমে যায় ৬.৩ শতাংশ পর্যন্ত, যা ২০১৩ সালের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক পতন। ওই সপ্তাহের শেষে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষতি টিকে থাকে, এবং প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম দাঁড়ায় ৪,১১৩.০৫ মার্কিন ডলার। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ১৩৮.৭৭ ডলারের এই পতন ইতিহাসে অন্যতম বড় ধস হিসেবে নথিবদ্ধ হয়।


বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক, কিন্তু সাধারণ ক্রেতার ভিড়

স্বর্ণের দামের আকস্মিক পতনে পেশাদার ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়া—এটিকে বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন তারা। ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত স্বর্ণ বিক্রেতারা জানান, হঠাৎ করেই ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে।

ব্যাংককের চায়নাটাউনে টেক্সটাইল কারখানার কর্মী সুনিসা কোডকাসর্ন বলেন, “স্বর্ণই সেরা বিনিয়োগ। দাম কমেছে জেনে আমরা সঞ্চয় ভেঙে কিনতে এসেছি।” কিন্তু ছোট আকারের বার শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি কেনা সম্ভব করেননি।


বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রত্যাশা

স্বর্ণের দাম ২০ অক্টোবরের শেষে ৪,৩৮১ ডলারের ওপরে উঠেছিল। কিন্তু পরদিনই ধস নামে। আশ্চর্যের বিষয়, এই পতন কেবল স্বর্ণবাজারে সীমাবদ্ধ ছিল—শেয়ার, তেল বা ট্রেজারি বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি।

বিশ্লেষকদের মতে, বড় হেজ ফান্ডের মুনাফা তোলা ও চীনা ব্যাংকগুলোর বিক্রি এই পতনের অন্যতম কারণ হতে পারে। তবু এটি ছিল প্রত্যাশিত সংশোধন, কারণ স্বর্ণ ইতিমধ্যেই বছরের শুরু থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড গড়েছিল।


বুলিশ প্রবণতার বিরতি, কিন্তু হতাশ নন বিশেষজ্ঞরা

কমেক্স ফিউচার মার্কেটে বিক্রির পক্ষে (পুট অপশন) আগ্রহ বেড়েছে ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবুও বিশ্লেষকরা দীর্ঘমেয়াদে এখনো আশাবাদী। লন্ডন বুলিয়ন মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের (এলবিএমএ) ২০২৫ সালের জরিপে দেখা গেছে, প্রায় সবাই দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কেউ ভাবেননি এটি ৩৩০০ ডলারের ওপরে যাবে।

জেপি মরগান চেজের বিশ্লেষক গ্রেগরি শেয়ারার বলেন, “বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুললেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাস্তব ক্রেতাদের ক্রয়ে এই পতন সীমিত থাকবে।”


অতীতের শিক্ষা: সংশোধনের পরও উত্থান সম্ভব

২০১১ সালে স্বর্ণের দাম ১,৯২১ ডলারে পৌঁছে পড়ে গেলেও পুনরায় সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে লেগেছিল প্রায় ৯ বছর। ফলে বর্তমান পতনেও বাজারবিশেষজ্ঞরা দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা আশা করছেন।

এ বছর স্বর্ণের উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ক্রয়, বিশেষ করে ২০২২ সালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পর। পাশাপাশি, বৈশ্বিক ঋণের ভারও বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

জেপি মরগানের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ সালের শেষ প্রান্তিকে স্বর্ণের গড় মূল্য ৫,০০০ ডলারের ওপরে থাকতে পারে—তবে শেয়ারার সতর্ক করেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ক্রয় কমালে তা বড় ঝুঁকি হতে পারে।


সাধারণ বিনিয়োগকারীদের নতুন ‘গোল্ড রাশ’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে বরখাস্তের চেষ্টা করার পর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বর্ণ কেনার ঢেউ দেখা যায়। দোকানগুলোতে স্টক ফুরিয়ে যায়, আর স্বর্ণভিত্তিক এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয়।

সিঙ্গাপুরে বুলিয়নস্টার কোম্পানির উপপ্রধান নির্বাহী পিট ওয়ালডেন বলেন, “২১ অক্টোবর আমাদের কোম্পানির ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যস্ত দিন ছিল। দোকান খোলার আগেই লাইন লেগে যায়।”

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মানি মেটালস এক্সচেঞ্জের স্টেফান গ্লিসন জানান, “দামের পতনকে সুযোগ ভেবে ক্রেতাদের ভিড় সামলানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল।”


দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি

টোকিওর গিনজা এলাকায় পড়াশোনা করা ভিয়েতনামি ছাত্র হ্যাং ভিয়েত বলেন, “আমি বিশ্বাস করি দীর্ঘমেয়াদে স্বর্ণের দাম বাড়বেই। তাই এই পতনকে সুযোগ হিসেবে দেখেছি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সংশোধনই বাজারকে দীর্ঘস্থায়ী করে। এমকেএস প্যাম্পের বিশ্লেষক নিকি শিলসের ভাষায়, “বুলিশ বাজার টিকে থাকার জন্য মাঝে মাঝে এমন সংশোধন প্রয়োজন, যা অতিরিক্ত উত্তেজনা দূর করে স্থিতিশীলতা আনে।”


স্বর্ণবাজারের সাম্প্রতিক ধস স্বল্পমেয়াদে ক্রেতাদের জন্য এক আকর্ষণীয় সুযোগ তৈরি করেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজারের প্রবণতা এখনো ইতিবাচক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চাহিদা, বৈশ্বিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগের আগ্রহ—সব মিলিয়ে স্বর্ণ এখনো নিরাপদ বিনিয়োগের অন্যতম প্রতীক হয়ে আছে।


# স্বর্ণবাজার, #বিনিয়োগ,# কেন্দ্রীয় ব্যাংক, #জেপি মরগান, #বৈশ্বিক অর্থনীতি, #মূল্যপতন,# দামের উত্থান