সিঙ্গাপুরের সবুজ শক্তি প্রকল্প
জুরং দ্বীপ, যা ঐতিহ্যগতভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল ছিল, এখন একটি সবুজ ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে। দ্বীপের প্রায় ৩০০ হেক্টর, যা দ্বীপের মোট ১০% বা প্রায় ৪০০ ফুটবল মাঠের সমান, নতুন শক্তির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন ধরনের সবুজ জ্বালানির ব্যবহার এবং উত্সাহী শক্তির প্রকল্পের আওতায় কাজ চলবে।
এছাড়া, জুরং দ্বীপে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় কম কার্বন ডেটা সেন্টার পার্ক প্রতিষ্ঠিত হবে, যার জন্য ২০ হেক্টর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। এটি প্রায় ২৫টি ফুটবল মাঠের সমান। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ২০৩০ সালের মধ্যে জুরং দ্বীপের শক্তি কার্যক্রমের উন্নতি এবং টেকসই পণ্য উৎপাদনের দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নতুন শক্তি উদ্ভাবন
জুরং দ্বীপে নতুন শক্তির জন্য হাইড্রোজেন-প্রস্তুত প্রাকৃতিক গ্যাস শক্তি প্ল্যান্ট এবং আমোনিয়া ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জাহাজ refueling এর প্রথম প্রকল্প স্থাপন হবে। এই প্রকল্পগুলি সিঙ্গাপুরের শক্তি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করবে।

সিঙ্গাপুরের ডেটা সেন্টার খাত
সিঙ্গাপুরে বর্তমানে ৭০টিরও বেশি ডেটা সেন্টার রয়েছে এবং এ সংখ্যা আগামী কিছু বছরে আরও বাড়ানো হবে। এই ডেটা সেন্টারগুলির জন্য সবুজ শক্তি ব্যবহার করা হবে, বিশেষ করে আমোনিয়া এবং অন্যান্য কম কার্বন শক্তি উৎস থেকে। ডেটা সেন্টারগুলির শক্তির চাহিদা অত্যধিক, তবে বর্তমানে সেগুলি সবুজ শক্তি ব্যবহার করার জন্য নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করছে।
টেকসই শক্তির লক্ষ্য
২০২১ সালে জুরং দ্বীপকে একটি টেকসই শক্তি ও রসায়ন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত করার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ২০৩০ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের রিফাইনারি এবং ক্র্যাকারগুলি তাদের শক্তি দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে। এ পর্যন্ত, এই প্রকল্পগুলি ২০১৯ সালের তুলনায় ১.৪ গুণ বেশি টেকসই পণ্য উৎপাদন করেছে।
এছাড়া, সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ১,০০০টিরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উত্পাদন, উদ্ভাবন এবং প্রক্রিয়া প্রকৌশল।

পরিবেশগত প্রভাব
জুরং দ্বীপে শক্তি এবং রসায়ন খাতের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বছরে ৩৪০ কিলোটন কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন কমানো হবে, যা ৮০,০০০ গাড়ি রাস্তায় না থাকার সমান। এই ধরনের উদ্যোগ সিঙ্গাপুরকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এই পরিকল্পনাগুলি সিঙ্গাপুরের সবুজ অর্থনীতির প্রতি অঙ্গীকার এবং পরিবেশ বান্ধব শক্তির ব্যবহারের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















