০৪:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের উপকূলীয় শহর ওওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল শতাধিক ঘর বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুতে এগোচ্ছে জাপান গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছে না, এবার রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ — জিপি ও বাংলালিংকের আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ভারতের স্পষ্ট বার্তা: যেখানেই হোক, সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে ইভি আর স্মার্ট গ্যাজেটের জোরে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা দেখাল শাওমি ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের ভিডিও গেমে জঙ্গি প্রভাব: পুলিশ গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন

গ্যংজুতে শি–লি বৈঠক: কোরিয়া–চীন সম্পর্কে ‘প্রাগম্যাটিক’ পুনর্গঠন

রিজিওনাল রিসেট ও বার্তার রাজনীতি

গ্যংজুতে এপেকের আড়ালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের বৈঠক এক দশক পর সম্পর্ক উষ্ণ করার ইঙ্গিত দিল। সম্পূর্ণ প্রটোকল, “স্থিতিশীলতা”র ভাষ্য ও নিরাপত্তা–বাণিজ্য চ্যানেল পুনরায় খোলার কথা—সবই দৃশ্যমান। সিউল বলছে, লক্ষ্য বাস্তববাদী: সাপ্লাই চেইন, সেমিকন্ডাক্টর, পর্যটন। বেইজিং “পারস্পরিক সম্মান” জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জোট–টানাপোড়েন ও তাইওয়ান ইস্যু নরম করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি শিকে আঞ্চলিক মঞ্চে প্রাধান্যের সুযোগ দেয়; কানাডাসহ একাধিক সাক্ষাৎও তিনি সেরেছেন। কোরিয়ার মূল সমীকরণ আগের মতোই—যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ছাতার সঙ্গে চীনে রপ্তানি–নির্ভর অর্থনীতি সামলানো।

Chinese leader Xi Jinping shakes hands with South Korean President Lee Jae Myung during their meeting in Gyeongju, South Korea, on Saturday.

পরের ধাপ ও সম্ভাব্য প্রভাব

দুই পক্ষ যে দ্রুত কার্যসূচি তুলেছে—রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়, জন বিনিময় ত্বরান্বিত করা, সমুদ্রে–আকাশে ইন্সিডেন্ট এড়াতে ডিফেন্স হটলাইন পুনরায় চালু—এগুলো বাস্তবায়ন হলে প্রভাব পড়বে ইলেকট্রনিক্স ভ্যালু–চেইনে। তবে জটিলতা রয়ে গেছে—জাপান ও কোরিয়া উপকূলে চীনা সামরিক নড়াচড়া, আর বেইজিং–ওয়াশিংটন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সিউল কি এমন সহযোগিতা বাড়াতে পারবে যাতে সেকেন্ডারি স্যাংশনের ঝুঁকি না বাড়ে? পর্যটন–বাণিজ্য ফিরলে কোরিয়ান এয়ারলাইন, ডিউটি–ফ্রি ও কন্টেন্ট রপ্তানি লাভবান হতে পারে। না হলে চীনে কোরিয়ান কোম্পানির উপর চাপ বাড়তে পারে, আর দেশে কড়া নিরাপত্তা ভঙ্গি দেখা দিতে পারে। সারকথা, অঞ্চলটি ‘ডি–রিস্কিং’ করছে—সম্পর্ক ছিন্ন নয়, বরং ঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য—এবং কোরিয়া দুই পক্ষের কাছেই অপরিহার্য থাকতে চায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম

গ্যংজুতে শি–লি বৈঠক: কোরিয়া–চীন সম্পর্কে ‘প্রাগম্যাটিক’ পুনর্গঠন

০৪:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

রিজিওনাল রিসেট ও বার্তার রাজনীতি

গ্যংজুতে এপেকের আড়ালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ংয়ের বৈঠক এক দশক পর সম্পর্ক উষ্ণ করার ইঙ্গিত দিল। সম্পূর্ণ প্রটোকল, “স্থিতিশীলতা”র ভাষ্য ও নিরাপত্তা–বাণিজ্য চ্যানেল পুনরায় খোলার কথা—সবই দৃশ্যমান। সিউল বলছে, লক্ষ্য বাস্তববাদী: সাপ্লাই চেইন, সেমিকন্ডাক্টর, পর্যটন। বেইজিং “পারস্পরিক সম্মান” জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জোট–টানাপোড়েন ও তাইওয়ান ইস্যু নরম করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি শিকে আঞ্চলিক মঞ্চে প্রাধান্যের সুযোগ দেয়; কানাডাসহ একাধিক সাক্ষাৎও তিনি সেরেছেন। কোরিয়ার মূল সমীকরণ আগের মতোই—যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ছাতার সঙ্গে চীনে রপ্তানি–নির্ভর অর্থনীতি সামলানো।

Chinese leader Xi Jinping shakes hands with South Korean President Lee Jae Myung during their meeting in Gyeongju, South Korea, on Saturday.

পরের ধাপ ও সম্ভাব্য প্রভাব

দুই পক্ষ যে দ্রুত কার্যসূচি তুলেছে—রপ্তানি–নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়, জন বিনিময় ত্বরান্বিত করা, সমুদ্রে–আকাশে ইন্সিডেন্ট এড়াতে ডিফেন্স হটলাইন পুনরায় চালু—এগুলো বাস্তবায়ন হলে প্রভাব পড়বে ইলেকট্রনিক্স ভ্যালু–চেইনে। তবে জটিলতা রয়ে গেছে—জাপান ও কোরিয়া উপকূলে চীনা সামরিক নড়াচড়া, আর বেইজিং–ওয়াশিংটন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সিউল কি এমন সহযোগিতা বাড়াতে পারবে যাতে সেকেন্ডারি স্যাংশনের ঝুঁকি না বাড়ে? পর্যটন–বাণিজ্য ফিরলে কোরিয়ান এয়ারলাইন, ডিউটি–ফ্রি ও কন্টেন্ট রপ্তানি লাভবান হতে পারে। না হলে চীনে কোরিয়ান কোম্পানির উপর চাপ বাড়তে পারে, আর দেশে কড়া নিরাপত্তা ভঙ্গি দেখা দিতে পারে। সারকথা, অঞ্চলটি ‘ডি–রিস্কিং’ করছে—সম্পর্ক ছিন্ন নয়, বরং ঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য—এবং কোরিয়া দুই পক্ষের কাছেই অপরিহার্য থাকতে চায়।