১০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
সাঙ্গু নদী: পাহাড়ের কোলে জন্ম, জীবনের ধারায় প্রবাহ রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৬) পাকিস্তানে প্রথম চীনা নির্মিত সাবমেরিন- ২০২৬ সালে উদ্বোধন সরকার বলছে, নেত্র নিউজের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর প্রার্থী বাছাইয়ে নারীদের প্রতি অবহেলা: বিএনপির রাজনীতিতে অদৃশ্য অর্ধেক বাংলাদেশে এ শীতে ১০ দফা শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা: আবহাওয়া অধিদপ্তর ভ্যাটিকান মন্ত্রীর কক্সবাজার সফর: রোহিঙ্গা শিবিরে মানবিক সংহতির বার্তা শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন, দুই বোরসের সূচক নিম্নমুখী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হলেন মাহমুদুল হাসান রাজধানীতে মঙ্গলবার সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সমাবেশ

দক্ষিণ কোরিয়ার পঞ্চম স্পাই স্যাটেলাইট সফলভাবে কক্ষপথে উৎক্ষেপন করেছে

দক্ষিণ কোরিয়ার পঞ্চম স্পাই স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ

দক্ষিণ কোরিয়া তার পঞ্চম দেশীয় স্পাই স্যাটেলাইটটি সফলভাবে কক্ষপথে উৎক্ষেপিত করেছে। এই স্যাটেলাইটটি ইউএস স্পেস স্টেশন কেপ ক্যানাভেরাল থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি দেশের স্বাধীন নজরদারি সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

উৎক্ষেপণের সময় রকেটটি কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে স্থানীয় সময় রাত ১:০৯ মিনিটে উত্থান করে এবং ১৪ মিনিটের মধ্যে স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পৌঁছায়। স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা পরে গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে, যা এর স্বাভাবিক কার্যক্রমের সফলতা নিশ্চিত করে।

এই স্যাটেলাইটটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (SAR) প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং এটি দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচটি স্পাই স্যাটেলাইটের মধ্যে পঞ্চম এবং চূড়ান্ত স্যাটেলাইট। এই প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পাঁচটি স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে, যার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারি বৃদ্ধি ও মার্কিন স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যাবে।

5th spy satellite successfully put into orbit

পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম তিনটি স্যাটেলাইট সফলভাবে কাজ শুরু করেছে, এবং চতুর্থটি বর্তমানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে। সব পাঁচটি স্যাটেলাইট চালু হলে, দক্ষিণ কোরিয়া প্রতি দুই ঘণ্টায় উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর “কিল চেইন” সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি প্রধান স্তম্ভ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আহন গিউ-বাক বলেছেন, এই উৎক্ষেপণ “সামরিক নজরদারি” সক্ষমতাকে পূর্ণ করেছে এবং দেশের প্রতিরক্ষা মহাকাশ কার্যক্রম আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তার প্রথম স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে, যা ইলেকট্রো-অপটিক্যাল এবং ইনফ্রারেড সেন্সর দিয়ে সজ্জিত ছিল, এবং এখন পর্যন্ত তিনটি স্যাটেলাইট SAR সেন্সর সহ উৎক্ষেপণ করেছে, যা আবহাওয়ার উপর নির্ভর না করে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম।

এদিকে, উত্তর কোরিয়াও তার মহাকাশ নজরদারি সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছে। উত্তর কোরিয়া তার প্রথম স্পাই স্যাটেলাইট “মাল্লিগ্যং-১” নভেম্বর ২০২৩ এ উৎক্ষেপণ করেছে এবং ২০২৪ সালে আরও তিনটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, গত বছরের মে মাসে স্যাটেলাইট বহনকারী একটি রকেট উৎক্ষেপণের পর বিস্ফোরিত হলে, পরবর্তী উৎক্ষেপণ সফল হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়া নিজের স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল করল, উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণে নতুন দিগন্ত।

সাঙ্গু নদী: পাহাড়ের কোলে জন্ম, জীবনের ধারায় প্রবাহ

দক্ষিণ কোরিয়ার পঞ্চম স্পাই স্যাটেলাইট সফলভাবে কক্ষপথে উৎক্ষেপন করেছে

০১:১৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার পঞ্চম স্পাই স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ

দক্ষিণ কোরিয়া তার পঞ্চম দেশীয় স্পাই স্যাটেলাইটটি সফলভাবে কক্ষপথে উৎক্ষেপিত করেছে। এই স্যাটেলাইটটি ইউএস স্পেস স্টেশন কেপ ক্যানাভেরাল থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি দেশের স্বাধীন নজরদারি সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

উৎক্ষেপণের সময় রকেটটি কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে স্থানীয় সময় রাত ১:০৯ মিনিটে উত্থান করে এবং ১৪ মিনিটের মধ্যে স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পৌঁছায়। স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা পরে গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে, যা এর স্বাভাবিক কার্যক্রমের সফলতা নিশ্চিত করে।

এই স্যাটেলাইটটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (SAR) প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং এটি দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচটি স্পাই স্যাটেলাইটের মধ্যে পঞ্চম এবং চূড়ান্ত স্যাটেলাইট। এই প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পাঁচটি স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে, যার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার ওপর নজরদারি বৃদ্ধি ও মার্কিন স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যাবে।

5th spy satellite successfully put into orbit

পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম তিনটি স্যাটেলাইট সফলভাবে কাজ শুরু করেছে, এবং চতুর্থটি বর্তমানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে। সব পাঁচটি স্যাটেলাইট চালু হলে, দক্ষিণ কোরিয়া প্রতি দুই ঘণ্টায় উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর “কিল চেইন” সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা দেশের প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি প্রধান স্তম্ভ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আহন গিউ-বাক বলেছেন, এই উৎক্ষেপণ “সামরিক নজরদারি” সক্ষমতাকে পূর্ণ করেছে এবং দেশের প্রতিরক্ষা মহাকাশ কার্যক্রম আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে তার প্রথম স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে, যা ইলেকট্রো-অপটিক্যাল এবং ইনফ্রারেড সেন্সর দিয়ে সজ্জিত ছিল, এবং এখন পর্যন্ত তিনটি স্যাটেলাইট SAR সেন্সর সহ উৎক্ষেপণ করেছে, যা আবহাওয়ার উপর নির্ভর না করে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম।

এদিকে, উত্তর কোরিয়াও তার মহাকাশ নজরদারি সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কাজ করছে। উত্তর কোরিয়া তার প্রথম স্পাই স্যাটেলাইট “মাল্লিগ্যং-১” নভেম্বর ২০২৩ এ উৎক্ষেপণ করেছে এবং ২০২৪ সালে আরও তিনটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে, গত বছরের মে মাসে স্যাটেলাইট বহনকারী একটি রকেট উৎক্ষেপণের পর বিস্ফোরিত হলে, পরবর্তী উৎক্ষেপণ সফল হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়া নিজের স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সফল করল, উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণে নতুন দিগন্ত।