০৪:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
মিষ্টি না অতিমিষ্টি? মার্কিন শরতের এই জনপ্রিয় পানীয় ইউরোপে বিভাজন সৃষ্টি করেছে প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৯) দিল্লিতে তিন বছরে সবচেয়ে শীতল ও বৃষ্টিপূর্ণ অক্টোবর, দূষণের ঘন কুয়াশায় শীতের শুরুতেই চিন্তা অন্ধকার থেকে আলোয়: স্যার অ্যান্থনি হপকিন্সের আত্মজয়ের গল্প ইনসাইড আউট ২’: ইতিহাসের শীর্ষে পিক্সার, ফিরে পেল আস্থা ‘দ্য লাইন অব বিউটি’–তে আশির দশকের রাজনীতি, সমকামী সংস্কৃতি ও শ্রেণি-অহমিকার মুখোমুখি লন্ডন মঞ্চ মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬১) সাঙ্গু নদী: পাহাড়ের কোলে জন্ম, জীবনের ধারায় প্রবাহ রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৬) পাকিস্তানে প্রথম চীনা নির্মিত সাবমেরিন- ২০২৬ সালে উদ্বোধন

শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন, দুই বোরসের সূচক নিম্নমুখী

সার্বিক বিক্রির চাপে বাজারে ধস
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার দেশের দুই শেয়ারবাজার—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)—তীব্র দরপতন হয়েছে। দিনের শেষে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় উভয় বোরসেই সূচকগুলো নিম্নমুখী অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়।

ডিএসই-তে সূচকের পতন ও লেনদেনের চিত্র
ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৫৪ পয়েন্ট কমে যায়। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ১২ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) ২১ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়।
লেনদেনের সার্বিক চিত্র ছিল নেতিবাচক। মোট ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার দর হারায়, মাত্র ৪৫টি কোম্পানির দর বাড়ে এবং ৫৩টি অপরিবর্তিত থাকে।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী শেয়ারের অবস্থা
এ, বি ও জেড—সব ক্যাটাগরিতেই শেয়ারের দাম কমেছে। বিশেষ করে ‘এ’ ক্যাটাগরির মধ্যে, যেসব কোম্পানি ভালো পারফরমেন্স ও উচ্চ লভ্যাংশের জন্য পরিচিত, সেখানে ১৬৬টি শেয়ারের দর কমেছে, মাত্র ২৫টি বেড়েছে এবং ২৮টি অপরিবর্তিত ছিল।

ব্লক মার্কেট ও টার্নওভার কমেছে
ব্লক মার্কেটে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে মোট ২৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি একাই ১০ কোটির বেশি মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে শীর্ষে অবস্থান করে।
ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। আগের কার্যদিবসে যেখানে ৫৪৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, সোমবার তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৫১৮ কোটিতে।

দিনের শীর্ষ লাভকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি
ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড দিনের শীর্ষ গেইনার হিসেবে ৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ফেয়ারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশেরও বেশি কমে দিনের সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত শেয়ারে পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বোরসেও একই চিত্র
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বাজার নিম্নমুখী ছিল। সিএসইর মূল সূচক সিএএসপিআই (CASPI) ৮৭ পয়েন্ট কমে যায়।
এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১২৬টির শেয়ার দরপতন হয়েছে, ৪২টির দাম বেড়েছে এবং ২৫টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সিএসইতে টার্নওভার বৃদ্ধি
তবে সূচক পতনের মধ্যেও চট্টগ্রাম বোরসে লেনদেন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের কার্যদিবসে যেখানে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, সোমবার তা বেড়ে ২৪ কোটিতে পৌঁছায়।


সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ব্যাপক বিক্রির চাপের ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কিছুটা কমে গেছে। উভয় বোরসেই সূচক নিম্নমুখী থাকা এবং টার্নওভার হ্রাস পাওয়া বাজারে মন্দাভাবের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রয়োজন।

মিষ্টি না অতিমিষ্টি? মার্কিন শরতের এই জনপ্রিয় পানীয় ইউরোপে বিভাজন সৃষ্টি করেছে

শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন, দুই বোরসের সূচক নিম্নমুখী

০৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

সার্বিক বিক্রির চাপে বাজারে ধস
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার দেশের দুই শেয়ারবাজার—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)—তীব্র দরপতন হয়েছে। দিনের শেষে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় উভয় বোরসেই সূচকগুলো নিম্নমুখী অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়।

ডিএসই-তে সূচকের পতন ও লেনদেনের চিত্র
ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৫৪ পয়েন্ট কমে যায়। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ১২ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) ২১ পয়েন্ট কমে বন্ধ হয়।
লেনদেনের সার্বিক চিত্র ছিল নেতিবাচক। মোট ৩০০টি কোম্পানির শেয়ার দর হারায়, মাত্র ৪৫টি কোম্পানির দর বাড়ে এবং ৫৩টি অপরিবর্তিত থাকে।

ক্যাটাগরি অনুযায়ী শেয়ারের অবস্থা
এ, বি ও জেড—সব ক্যাটাগরিতেই শেয়ারের দাম কমেছে। বিশেষ করে ‘এ’ ক্যাটাগরির মধ্যে, যেসব কোম্পানি ভালো পারফরমেন্স ও উচ্চ লভ্যাংশের জন্য পরিচিত, সেখানে ১৬৬টি শেয়ারের দর কমেছে, মাত্র ২৫টি বেড়েছে এবং ২৮টি অপরিবর্তিত ছিল।

ব্লক মার্কেট ও টার্নওভার কমেছে
ব্লক মার্কেটে ২৩টি কোম্পানির মধ্যে মোট ২৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি একাই ১০ কোটির বেশি মূল্যের শেয়ার বিক্রি করে শীর্ষে অবস্থান করে।
ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। আগের কার্যদিবসে যেখানে ৫৪৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, সোমবার তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৫১৮ কোটিতে।

দিনের শীর্ষ লাভকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি
ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড দিনের শীর্ষ গেইনার হিসেবে ৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, ফেয়ারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ারের দাম ১০ শতাংশেরও বেশি কমে দিনের সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত শেয়ারে পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বোরসেও একই চিত্র
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বাজার নিম্নমুখী ছিল। সিএসইর মূল সূচক সিএএসপিআই (CASPI) ৮৭ পয়েন্ট কমে যায়।
এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১২৬টির শেয়ার দরপতন হয়েছে, ৪২টির দাম বেড়েছে এবং ২৫টির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

সিএসইতে টার্নওভার বৃদ্ধি
তবে সূচক পতনের মধ্যেও চট্টগ্রাম বোরসে লেনদেন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের কার্যদিবসে যেখানে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল, সোমবার তা বেড়ে ২৪ কোটিতে পৌঁছায়।


সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ব্যাপক বিক্রির চাপের ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কিছুটা কমে গেছে। উভয় বোরসেই সূচক নিম্নমুখী থাকা এবং টার্নওভার হ্রাস পাওয়া বাজারে মন্দাভাবের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ প্রয়োজন।