০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

সরকার বলছে, নেত্র নিউজের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর

বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনা বলে সরকারের প্রত্যাখ্যান

সরকার নেত্র নিউজে প্রকাশিত পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) সংক্রান্ত সাম্প্রতিক একটি ফটো ফিচারকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘তথ্যগতভাবে ভুল’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। উক্ত প্রতিবেদনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত’, ‘সামরিকীকৃত’ বা ‘সামরিক শাসনের অধীনে’ বলা হয়েছিল।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের বর্ণনা শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকরই নয়, বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদার প্রতি অসম্মানজনক।


পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ

বিবৃতিতে সরকার স্পষ্টভাবে জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং অঞ্চলটি বেসামরিক প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, কোনো সামরিক শাসনের অধীনে নয়।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত রয়েছে শান্তি রক্ষা, নাগরিকদের সুরক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য।


পশ্চিম তীরের সঙ্গে তুলনা ‘অমূলক’

সরকার দৃঢ়ভাবে জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ‘ওয়েস্ট ব্যাংক’ বা অন্য কোনো অধিকৃত অঞ্চলের তুলনা করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার বিকৃতি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র, এবং দেশের কোনো অংশ কোনোভাবেই ‘অধিকৃত’ নয়।


মানবাধিকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ

বিবৃতিতে সরকার পুনরায় নিশ্চিত করে যে, বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এতে আরও বলা হয়, সরকার মানবাধিকার বিষয়ক যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য ও প্রমাণভিত্তিক প্রতিবেদনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সেগুলোকে স্বাগত জানায়।


নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিত নির্যাতনের প্রমাণ নেই

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এখন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো যাচাইযোগ্য বা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।


দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আহ্বান

সরকার জোর দিয়ে বলে, বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মূল্যায়ন করে, তবে এই স্বাধীনতা অবশ্যই তথ্যনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, জটিল ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংবাদ বা শিল্পকর্ম প্রকাশের সময় গণমাধ্যম ও সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত পেশাদারিত্ব, সংবেদনশীলতা এবং বাস্তবতার প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫০)

সরকার বলছে, নেত্র নিউজের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর

০৯:০০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনা বলে সরকারের প্রত্যাখ্যান

সরকার নেত্র নিউজে প্রকাশিত পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) সংক্রান্ত সাম্প্রতিক একটি ফটো ফিচারকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও ‘তথ্যগতভাবে ভুল’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। উক্ত প্রতিবেদনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘অধিকৃত’, ‘সামরিকীকৃত’ বা ‘সামরিক শাসনের অধীনে’ বলা হয়েছিল।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই ধরনের বর্ণনা শুধুমাত্র বিভ্রান্তিকরই নয়, বরং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম মর্যাদার প্রতি অসম্মানজনক।


পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ

বিবৃতিতে সরকার স্পষ্টভাবে জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সার্বভৌম ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং অঞ্চলটি বেসামরিক প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, কোনো সামরিক শাসনের অধীনে নয়।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপস্থিত রয়েছে শান্তি রক্ষা, নাগরিকদের সুরক্ষা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য।


পশ্চিম তীরের সঙ্গে তুলনা ‘অমূলক’

সরকার দৃঢ়ভাবে জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামের সঙ্গে ‘ওয়েস্ট ব্যাংক’ বা অন্য কোনো অধিকৃত অঞ্চলের তুলনা করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার বিকৃতি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র, এবং দেশের কোনো অংশ কোনোভাবেই ‘অধিকৃত’ নয়।


মানবাধিকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ

বিবৃতিতে সরকার পুনরায় নিশ্চিত করে যে, বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এতে আরও বলা হয়, সরকার মানবাধিকার বিষয়ক যেকোনো বিশ্বাসযোগ্য ও প্রমাণভিত্তিক প্রতিবেদনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সেগুলোকে স্বাগত জানায়।


নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে নিয়মিত নির্যাতনের প্রমাণ নেই

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এখন পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়মিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো যাচাইযোগ্য বা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।


দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার আহ্বান

সরকার জোর দিয়ে বলে, বাংলাদেশ দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মূল্যায়ন করে, তবে এই স্বাধীনতা অবশ্যই তথ্যনিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, জটিল ঐতিহাসিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সংবাদ বা শিল্পকর্ম প্রকাশের সময় গণমাধ্যম ও সৃজনশীল প্ল্যাটফর্মগুলোর উচিত পেশাদারিত্ব, সংবেদনশীলতা এবং বাস্তবতার প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখা।