০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামের বিরল খনিজে ১৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এলএস ইকো এনার্জির নতুন মুম্বাই বিমানবন্দর চালু, উড়োজাহাজ খাতে আদানির এক লাখ কোটি টাকার বাজি চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত খনি কোম্পানির ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি, ইকুয়েডরের বড় তামা প্রকল্প কিনছে জিয়াংসি কপার সিউলই পারে যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া পরমাণু আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে: বাস্তবতার পথে নতুন কৌশল মার্কিন বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়লেও ভেতরে দুর্বলতার ইঙ্গিত দেখছেন বিশেষজ্ঞরা চীনা গবেষকদের নতুন তত্ত্ব: সময় কি সত্যিই পেছনে যায় না ফুজিয়ান যুদ্ধজাহাজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা, জে–১০সি’র সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা: ২০২৫ সালে চীনের সামরিক অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ দিক ব্রোঞ্জ যুগের কবরস্থান জানাল প্রাচীন চীনে লাল চালের মদ তৈরির রহস্য চীনের অফশোর ইউয়ান বড় মানসিক সীমা ভেঙে শক্তিশালী, মূল্যবৃদ্ধির গতি জোরালো ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ সুরভী গ্রেপ্তার

ওশেনিয়ায় নতুন রেকর্ড: টোয়াইসের ট্যুরে কেপপের ছাদ আরও উঁচু

রেকর্ডবুক পাল্টানো এক সফর
টোয়াইস তাদের ‘দিস ইজ ফর’ বিশ্ব সফরে অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ড জুড়ে বড় বড় অ্যারেনা ভরিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। অঞ্চলে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়ের কেপপ ট্যুর, যেখানে হঠাৎ চাহিদার বদলে টেকসই দর্শকভিত্তি স্পষ্ট হয়েছে। স্থানীয় আয়োজকেরা বলছেন, উৎসব বা একদিনের শোর বদলে একই শহরে একাধিক তারিখ রাখাই এবার ফল দিয়েছে—বিশেষ করে স্ট্রিমিংয়ের কারণে নতুন শ্রোতা টানায়। আগের ‘রেডি টু বি’ ট্যুরে বিশ্বজুড়ে ১৫ লাখ দর্শক পেয়েছিল গ্রুপটি; এবার সিডনি–মেলবোর্নে ভেন্যু আপগ্রেড, অতিরিক্ত তারিখ যোগ, আর যুক্তিযুক্ত রিসেল মূল্যে দ্রুত টিকিট সল্ড-আউট দেখিয়েছে চাহিদার ধারাবাহিকতা। মঞ্চে তাদের সিগনেচার শক্তি—একটু খেলার মেজাজে সাবইউনিট ট্রানজিশন, দ্বিভাষিক সেটলিস্ট, আর ভোকাল–ব্যান্ডের ভারসাম্য—প্রথমবার কনসার্টে যাওয়া অনেককেই ‘পরেরবারও আসব’ ক্লাবে তুলেছে। ফলে অপারেটররা এখন আর ছোট বরাদ্দ রেখে ঝুঁকি কমাচ্ছেন না; শহরের বিমানবন্দর সংযোগ ও গণপরিবহনের সুবিধা থাকলে সপ্তাহের দিনেও একাধিক তারিখ নেওয়ার আস্থা ফিরেছে। তাদের গানভান্ডারও কৌশলী—হালকা মন্দ্র ভরপুর অ্যান্থেমের পাশে উচ্চ-বিপিএম নাচের ট্র্যাক; সেটটি শ্বাস নেওয়ার মতো জায়গা দেয়, তাই তিনঘণ্টার ক্লান্তি ছাড়াই দর্শক শেষ পর্যন্ত থাকে।

No photo description available.

লাইভ ব্যবসার জন্য শিক্ষাটা কী
টোয়াইসের এই সংখ্যাকে শিল্প এখন রুট-ম্যাপ বানাবে। আগে থেকেই অনসেল, ক্যামেরা-কিলস ধরে আসন রিজার্ভ, আর ডাইনামিক প্রাইসিংয়ের ব্যান্ড সংকুচিত—এসবই দেখা যাবে, যাতে অযথা স্ক্যাল্পিং ভোক্তা-অভিজ্ঞতা নষ্ট না করে। প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য দুই দিকনির্দেশনা স্পষ্ট। প্রথমত, লোকালাইজেশনে বিনিয়োগ—শহরভিত্তিক ভিজ্যুয়াল ইন্টারলিউড, রসিকতা, এনকোর—কারণ রিপিট অ্যাটেনডেন্স এখন মাপা যায়। দ্বিতীয়ত, ‘ট্যুর-অ্যাজেসেন্ট’ কনটেন্ট বানানো, যা শোর পরের সপ্তাহে স্ট্রিমিং বাড়ায়। লেবেলগুলোর কাছে এটা ফ্লাইহুইল: প্লেলিস্ট ও শর্ট ভিডিও থেকে আবিষ্কার; অ্যারেনা শোতে তা টিকিটেড চাহিদায় রূপান্তর; পোস্ট-শো এডিটে আবার ক্যাটালগ স্ট্রিম বাড়ে। ভেন্যুগুলো উচ্চ-সাউন্ডস্প্ল্যাশ পপের জন্য অ্যাকুস্টিকস টিউন করবে, যাতে দর্শকের কোরাসও অভিজ্ঞতার অংশ থাকে। ঝুঁকি আছে—টিকিটদর মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা-পাল্টা ওঠানামা, আর ২০২৬-এ বিটিএসসহ মেগা-অ্যাক্টদের ফেরার চাপ। তবে ওশেনিয়ার কেপপ ছাদটা যে উঠেছে, তা স্পষ্ট। টোয়াইস শুধু ঢেউয়ে ভাসেনি; তারা ঢেউ উঁচু করেছে—আর এই ঢেউ এখন অ্যারেনা-পপের টেকসই খেলায় রূপ নিচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামের বিরল খনিজে ১৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এলএস ইকো এনার্জির

ওশেনিয়ায় নতুন রেকর্ড: টোয়াইসের ট্যুরে কেপপের ছাদ আরও উঁচু

০৬:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

রেকর্ডবুক পাল্টানো এক সফর
টোয়াইস তাদের ‘দিস ইজ ফর’ বিশ্ব সফরে অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ড জুড়ে বড় বড় অ্যারেনা ভরিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। অঞ্চলে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয়ের কেপপ ট্যুর, যেখানে হঠাৎ চাহিদার বদলে টেকসই দর্শকভিত্তি স্পষ্ট হয়েছে। স্থানীয় আয়োজকেরা বলছেন, উৎসব বা একদিনের শোর বদলে একই শহরে একাধিক তারিখ রাখাই এবার ফল দিয়েছে—বিশেষ করে স্ট্রিমিংয়ের কারণে নতুন শ্রোতা টানায়। আগের ‘রেডি টু বি’ ট্যুরে বিশ্বজুড়ে ১৫ লাখ দর্শক পেয়েছিল গ্রুপটি; এবার সিডনি–মেলবোর্নে ভেন্যু আপগ্রেড, অতিরিক্ত তারিখ যোগ, আর যুক্তিযুক্ত রিসেল মূল্যে দ্রুত টিকিট সল্ড-আউট দেখিয়েছে চাহিদার ধারাবাহিকতা। মঞ্চে তাদের সিগনেচার শক্তি—একটু খেলার মেজাজে সাবইউনিট ট্রানজিশন, দ্বিভাষিক সেটলিস্ট, আর ভোকাল–ব্যান্ডের ভারসাম্য—প্রথমবার কনসার্টে যাওয়া অনেককেই ‘পরেরবারও আসব’ ক্লাবে তুলেছে। ফলে অপারেটররা এখন আর ছোট বরাদ্দ রেখে ঝুঁকি কমাচ্ছেন না; শহরের বিমানবন্দর সংযোগ ও গণপরিবহনের সুবিধা থাকলে সপ্তাহের দিনেও একাধিক তারিখ নেওয়ার আস্থা ফিরেছে। তাদের গানভান্ডারও কৌশলী—হালকা মন্দ্র ভরপুর অ্যান্থেমের পাশে উচ্চ-বিপিএম নাচের ট্র্যাক; সেটটি শ্বাস নেওয়ার মতো জায়গা দেয়, তাই তিনঘণ্টার ক্লান্তি ছাড়াই দর্শক শেষ পর্যন্ত থাকে।

No photo description available.

লাইভ ব্যবসার জন্য শিক্ষাটা কী
টোয়াইসের এই সংখ্যাকে শিল্প এখন রুট-ম্যাপ বানাবে। আগে থেকেই অনসেল, ক্যামেরা-কিলস ধরে আসন রিজার্ভ, আর ডাইনামিক প্রাইসিংয়ের ব্যান্ড সংকুচিত—এসবই দেখা যাবে, যাতে অযথা স্ক্যাল্পিং ভোক্তা-অভিজ্ঞতা নষ্ট না করে। প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য দুই দিকনির্দেশনা স্পষ্ট। প্রথমত, লোকালাইজেশনে বিনিয়োগ—শহরভিত্তিক ভিজ্যুয়াল ইন্টারলিউড, রসিকতা, এনকোর—কারণ রিপিট অ্যাটেনডেন্স এখন মাপা যায়। দ্বিতীয়ত, ‘ট্যুর-অ্যাজেসেন্ট’ কনটেন্ট বানানো, যা শোর পরের সপ্তাহে স্ট্রিমিং বাড়ায়। লেবেলগুলোর কাছে এটা ফ্লাইহুইল: প্লেলিস্ট ও শর্ট ভিডিও থেকে আবিষ্কার; অ্যারেনা শোতে তা টিকিটেড চাহিদায় রূপান্তর; পোস্ট-শো এডিটে আবার ক্যাটালগ স্ট্রিম বাড়ে। ভেন্যুগুলো উচ্চ-সাউন্ডস্প্ল্যাশ পপের জন্য অ্যাকুস্টিকস টিউন করবে, যাতে দর্শকের কোরাসও অভিজ্ঞতার অংশ থাকে। ঝুঁকি আছে—টিকিটদর মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা-পাল্টা ওঠানামা, আর ২০২৬-এ বিটিএসসহ মেগা-অ্যাক্টদের ফেরার চাপ। তবে ওশেনিয়ার কেপপ ছাদটা যে উঠেছে, তা স্পষ্ট। টোয়াইস শুধু ঢেউয়ে ভাসেনি; তারা ঢেউ উঁচু করেছে—আর এই ঢেউ এখন অ্যারেনা-পপের টেকসই খেলায় রূপ নিচ্ছে।