নীরব সংলাপে জমে থাকা আবেগ
নরওয়েজীয় নির্মাতা ইয়োয়াকিম ত্রিয়ারের নতুন ছবি ‘সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু’কে এপি বলেছে “সংযত কিন্তু গভীর।” ছবিটিতে স্টেলান স্কারসগার্ড এক দূরত্বে থাকা বাবার চরিত্রে, আর রেনাতে রেইনসভে সেই মেয়ের ভূমিকায় যিনি অনেক কিছু ভুলতে প্রস্তুত নন। অসুস্থতা ও আর্থিক জরুরি অবস্থাই তাদের আবার একই ছাদের নিচে নিয়ে আসে। পরিচালক গল্পকে বড় কোনো নাটকীয়তায় না ঠেলে বরং দৃষ্টিভঙ্গি, বিরতি আর অসমাপ্ত বাক্যে রাগ ও অনুশোচনার স্তরগুলো তুলে ধরেছেন। স্কারসগার্ড এমন একজন মানুষের ভঙ্গি ধরে রেখেছেন, যিনি জানেন তিনি অতীতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং দেরিতে সংশোধন করতে এসে খানিকটা লজ্জিতও। রেইনসভে চরিত্রটিকে এমনভাবে ধরেছেন যে ক্ষমা করলেও তা সহজ বলে মনে হয় না; দর্শক বুঝতে পারে যে সম্পর্কটা পুনর্গঠনের জন্য সময় ও সচেতনতা দুটোই দরকার।

প্রচুর শব্দের বাজারে এক শান্ত বিকল্প
নভেম্বরের ভিড়ে যখন স্ট্রিমিং ও ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ছবি প্রাধান্য পাচ্ছে, এই চলচ্চিত্রটি সেখানে এক শান্ত বিকল্প। ছবির সংলাপে হালকা হাস্যরস আছে—প্রজন্মের শৈলী, প্রযুক্তি নিয়ে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি—যা ১১০ মিনিটের এই ড্রামাকে ভারী হতে দেয় না। ত্রিয়ার কাউকেই খলনায়ক বানাননি; তিনি দেখিয়েছেন, অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্ক সম্পর্ক মানে আগের ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকার নতুন রূপরেখা বানানো। স্কারসগার্ডের পরিচিতি আর রেইনসভের নতুন দর্শকগোষ্ঠী মিলিয়ে ছবিটি আর্টহাউস হলে জায়গা পাওয়ার মতো শক্ত কন্টেন্ট হয়ে উঠেছে।
																			
																সারাক্ষণ রিপোর্ট								 



















