নিয়ম শিথিল, কিন্তু ভোক্তার পকেটের চাপ বাড়ছে
ট্রাম্প প্রশাসন দ্বিতীয় মেয়াদে এসে গাড়ির জ্বালানি দক্ষতা, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতির মানদণ্ড আর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্গমন নিয়ন্ত্রণের যে শিথিলতা চালু করেছে, তা প্রথমে ‘খরচ কমানোর’ উদ্যোগ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু ভক্সের পরিবেশবিষয়ক বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই শিথিলতার ফলে গাড়ি নির্মাতাদের ওপর মাইলেজ বাড়ানোর চাপ কমবে, ফলে মানুষকে সারা বছর ধরে বেশি জ্বালানি কিনতে হবে; আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোনো ধাঁচে চললে গ্রাহকদের বিলও ভেসে যাবে জ্বালানির বিশ্ববাজারের ওঠানামায়। প্রশাসনের বক্তব্য ছিল—কম নিয়ম মানতে হলে গাড়ি বা ফ্রিজ তাৎক্ষণিকভাবে সস্তা হবে; কিন্তু আসল ব্যয় তো জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণেই, যেখানে দক্ষতার মানদণ্ড থাকলে ভবিষ্যতের এই খরচ কমে যেত।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ব্যবসার উদ্বেগ
ব্রাজিলে হতে যাওয়া কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের এমন নীতি বার্তা তার মিত্রদের জন্য বিব্রতকর। ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ আগেই বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজস্ব বাজারে বেশি জ্বালানি পোড়ানোর সুযোগ দেয়, তাহলে অন্যরাও একই পথ নেবে, ফলে ১.৫–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যে পৌঁছানো আরও কঠিন হবে। শক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষতা বাড়ানোর নিয়মই জলবায়ু সুরক্ষার সবচেয়ে সস্তা উপায়; জলবায়ু বিপর্যয়ের পর পুনর্গঠন বা পরবর্তী সময়ে কার্বন ধরে রাখার প্রযুক্তি ভর্তুকির চেয়ে এর খরচ অনেক কম। অন্যদিকে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলো বলছে, ফেডারেল পর্যায়ে নিয়ম শিথিল হলেও ক্যালিফোর্নিয়া বা নিউইয়র্কের মতো অঙ্গরাজ্যে কঠোর মানদণ্ড বহাল থাকায় কোম্পানিগুলোকে একই পণ্যের দুই ধরনের সংস্করণ বাজারে আনতে হচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয়ও বাড়াচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















