০১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
দীর্ঘায়ুর হিসেবে অবসর পরিকল্পনা নতুন বাস্তবতা বিপ্লব থেকে নির্বাসন: জাক লুই দাভিদের জীবন, রাজনীতি ও ফরাসি শিল্পের অমর উত্তরাধিকার ভারতের প্রতিনিধিত্বে ঢাকায় এসেছেন জয়শঙ্কর, খালেদা জিয়ার শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রহস্যময় রুজভেল্ট: শক্তি, বৈপরীত্য আর ইতিহাসের মঞ্চে এক অনন্য মার্কিন নেতা খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে ঢাকায় নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুদ্রা ধসে ক্ষোভের বিস্ফোরণ, তেহরানে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে চাপে ইরানের শাসনব্যবস্থা লাহোর সফরে অপমান ও আতঙ্কের অভিযোগ, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী কে চিঠিতে কেপি মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র প্রতিবাদ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ, রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ১৯৭ মব সন্ত্রাসে মৃত্যু, ১০২ রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানি, ৩৮ বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ১০৭ কারা হেফাজতে মৃত্যু: ২০২৫ সালে মানবাধিকারের ভয়াবহ চিত্র চিজি টিক্কা ওয়ান্টনের মচমচে স্বাদে উৎসবের আমেজ

শীতে কাঁপছে গাজা, বৃষ্টিতে ডুবে উদ্বাস্তুদের তাবু

গাজা নগরী ও উপকূলীয় এলাকায় শীতকালীন বৃষ্টি ও ঠান্ডায় মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি থাকলেও বাস্তব চিত্র বদলায়নি। শীত ও ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে হাজার হাজার পরিবার এখনো ত্রাণ নির্ভর জীবনে দিন কাটাচ্ছে। রাতভর ভারী বৃষ্টিতে বহু তাবু পানিতে তলিয়ে গিয়ে খাবার ও কম্বল নষ্ট হয়েছে।

বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া জীবন
দক্ষিণ গাজার আল মাওয়াসি উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী জামিল আল শারাফির তাবু কয়েক মিনিটেই পানিতে ডুবে যায়। ভিজে যায় খাবার, নষ্ট হয় কম্বল। ছয় সন্তানের এই বাবা বলেন, তাঁর সন্তানরা শীতে ও ভয়ে কাঁপছিল। যুদ্ধের কারণে বহুবার স্থানচ্যুত হয়ে এখন তাঁরা অস্থায়ী আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

তাবুর ভেতর বন্দি পরিবার
গাজার অধিকাংশ মানুষ ত্রিপল দিয়ে তড়িঘড়ি তৈরি করা তাবুতে গাদাগাদি করে বসবাস করছে। বৃষ্টি নামলেই চারপাশে কাদা ও জমে থাকা পানিতে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এক বৃদ্ধা উম্মে রামি বুলবুল বলেন, তাবুতে থাকা মানেই শীতে মৃত্যু আর গ্রীষ্মে দগ্ধ হওয়া। এখনই পুনর্গঠন নয়, সন্তানদের নিয়ে বাঁচার মতো চলমান আশ্রয় চান তাঁরা।

Shivering from cold and fear': winter rains batter displaced Gazans - RFI

সহায়তা অপ্রতুল, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে গাজার প্রায় আশি শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। প্রায় পনেরো লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে। স্থানচ্যুতদের জন্য তিন লক্ষের বেশি তাবুর প্রয়োজন হলেও পৌঁছেছে মাত্র অল্পসংখ্যক। ত্রাণ প্রবেশে নানা বিধিনিষেধ থাকায় সংকট আরও তীব্র হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ত্রাণ নেটওয়ার্ক।

আবহাওয়ায় প্রাণহানি
সাম্প্রতিক শীতে গাজায় রাতের তাপমাত্রা আট থেকে বারো ডিগ্রির মধ্যে নেমে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে পড়া ও ঠান্ডায় অন্তত আঠারো জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্স। এক মা সামিয়া আবু জাব্বা প্রশ্ন তোলেন, গাজার শিশুদের এমন দুর্ভোগ কেন পোহাতে হচ্ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘায়ুর হিসেবে অবসর পরিকল্পনা নতুন বাস্তবতা

শীতে কাঁপছে গাজা, বৃষ্টিতে ডুবে উদ্বাস্তুদের তাবু

১১:৪৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

গাজা নগরী ও উপকূলীয় এলাকায় শীতকালীন বৃষ্টি ও ঠান্ডায় মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি থাকলেও বাস্তব চিত্র বদলায়নি। শীত ও ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে হাজার হাজার পরিবার এখনো ত্রাণ নির্ভর জীবনে দিন কাটাচ্ছে। রাতভর ভারী বৃষ্টিতে বহু তাবু পানিতে তলিয়ে গিয়ে খাবার ও কম্বল নষ্ট হয়েছে।

বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া জীবন
দক্ষিণ গাজার আল মাওয়াসি উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী জামিল আল শারাফির তাবু কয়েক মিনিটেই পানিতে ডুবে যায়। ভিজে যায় খাবার, নষ্ট হয় কম্বল। ছয় সন্তানের এই বাবা বলেন, তাঁর সন্তানরা শীতে ও ভয়ে কাঁপছিল। যুদ্ধের কারণে বহুবার স্থানচ্যুত হয়ে এখন তাঁরা অস্থায়ী আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

তাবুর ভেতর বন্দি পরিবার
গাজার অধিকাংশ মানুষ ত্রিপল দিয়ে তড়িঘড়ি তৈরি করা তাবুতে গাদাগাদি করে বসবাস করছে। বৃষ্টি নামলেই চারপাশে কাদা ও জমে থাকা পানিতে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এক বৃদ্ধা উম্মে রামি বুলবুল বলেন, তাবুতে থাকা মানেই শীতে মৃত্যু আর গ্রীষ্মে দগ্ধ হওয়া। এখনই পুনর্গঠন নয়, সন্তানদের নিয়ে বাঁচার মতো চলমান আশ্রয় চান তাঁরা।

Shivering from cold and fear': winter rains batter displaced Gazans - RFI

সহায়তা অপ্রতুল, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে গাজার প্রায় আশি শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। প্রায় পনেরো লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে। স্থানচ্যুতদের জন্য তিন লক্ষের বেশি তাবুর প্রয়োজন হলেও পৌঁছেছে মাত্র অল্পসংখ্যক। ত্রাণ প্রবেশে নানা বিধিনিষেধ থাকায় সংকট আরও তীব্র হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ত্রাণ নেটওয়ার্ক।

আবহাওয়ায় প্রাণহানি
সাম্প্রতিক শীতে গাজায় রাতের তাপমাত্রা আট থেকে বারো ডিগ্রির মধ্যে নেমে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে পড়া ও ঠান্ডায় অন্তত আঠারো জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্স। এক মা সামিয়া আবু জাব্বা প্রশ্ন তোলেন, গাজার শিশুদের এমন দুর্ভোগ কেন পোহাতে হচ্ছে।