গাজা নগরী ও উপকূলীয় এলাকায় শীতকালীন বৃষ্টি ও ঠান্ডায় মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে। যুদ্ধবিরতি থাকলেও বাস্তব চিত্র বদলায়নি। শীত ও ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে হাজার হাজার পরিবার এখনো ত্রাণ নির্ভর জীবনে দিন কাটাচ্ছে। রাতভর ভারী বৃষ্টিতে বহু তাবু পানিতে তলিয়ে গিয়ে খাবার ও কম্বল নষ্ট হয়েছে।
বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া জীবন
দক্ষিণ গাজার আল মাওয়াসি উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী জামিল আল শারাফির তাবু কয়েক মিনিটেই পানিতে ডুবে যায়। ভিজে যায় খাবার, নষ্ট হয় কম্বল। ছয় সন্তানের এই বাবা বলেন, তাঁর সন্তানরা শীতে ও ভয়ে কাঁপছিল। যুদ্ধের কারণে বহুবার স্থানচ্যুত হয়ে এখন তাঁরা অস্থায়ী আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
তাবুর ভেতর বন্দি পরিবার
গাজার অধিকাংশ মানুষ ত্রিপল দিয়ে তড়িঘড়ি তৈরি করা তাবুতে গাদাগাদি করে বসবাস করছে। বৃষ্টি নামলেই চারপাশে কাদা ও জমে থাকা পানিতে দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এক বৃদ্ধা উম্মে রামি বুলবুল বলেন, তাবুতে থাকা মানেই শীতে মৃত্যু আর গ্রীষ্মে দগ্ধ হওয়া। এখনই পুনর্গঠন নয়, সন্তানদের নিয়ে বাঁচার মতো চলমান আশ্রয় চান তাঁরা।

সহায়তা অপ্রতুল, ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধে গাজার প্রায় আশি শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। প্রায় পনেরো লাখ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছে। স্থানচ্যুতদের জন্য তিন লক্ষের বেশি তাবুর প্রয়োজন হলেও পৌঁছেছে মাত্র অল্পসংখ্যক। ত্রাণ প্রবেশে নানা বিধিনিষেধ থাকায় সংকট আরও তীব্র হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ত্রাণ নেটওয়ার্ক।
আবহাওয়ায় প্রাণহানি
সাম্প্রতিক শীতে গাজায় রাতের তাপমাত্রা আট থেকে বারো ডিগ্রির মধ্যে নেমে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ধসে পড়া ও ঠান্ডায় অন্তত আঠারো জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্স। এক মা সামিয়া আবু জাব্বা প্রশ্ন তোলেন, গাজার শিশুদের এমন দুর্ভোগ কেন পোহাতে হচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















