সংঘাতপীড়িত কাহিনির প্রতি আগ্রহ
বুধবার টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সর্বোচ্চ পুরস্কার জিতেছে ফিলিস্তিনি গল্পভিত্তিক ছবি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, যেখানে এক দিনের মধ্যে জেরুজালেমের টানটান পরিস্থিতি কয়েকজন চরিত্রের ব্যক্তিগত টানাপোড়েনের সঙ্গে গেঁথে দেওয়া হয়েছে। আংশিকভাবে ইউরোপে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির গল্পধারা ও চরিত্রায়ণকে বিচারকরা ‘স্তরবহুল ও বিশ্বজনীন’ বলে অভিহিত করেছেন। সারা বছর ধরে এশিয়ার উৎসবগুলোতে যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি ও নারী-কেন্দ্রিক গল্পকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে; সেই ধারারই পরিণতি এই পুরস্কার। এতে বোঝা গেল, শুধু পূর্ব এশিয়া নয়, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার নির্মাতারাও এখন টোকিওর মতো বড় উৎসবের রাডারে রয়েছেন।
নির্মাতাদের জন্য বার্তা
এই জয় ছবিটির আন্তর্জাতিক বিক্রির সুযোগ বাড়াবে এবং বড় কোনো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেও জায়গা করে দিতে পারে, কারণ হলিউডের বাইরের পুরস্কারজয়ী কনটেন্টের জন্য এখন চাহিদা বেশি। একই সঙ্গে টোকিও আয়োজকেরা বাসান বা ভেনিসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে চাইছে, তাই এমন রাজনৈতিক-মানবিক গল্পকে পুরস্কার দেওয়ায় তাদের অবস্থানও স্পষ্ট হলো। সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের চলচ্চিত্রকারদের জন্য এটি ইঙ্গিত দেয় যে যৌথ প্রযোজনা, আন্তর্জাতিক ল্যাব ও উৎসবের নেটওয়ার্ক এখনো দৃশ্যমান হওয়ার সবচেয়ে কার্যকর পথ। এ বছরের উৎসবে শক্তিশালী গল্পের যে প্রত্যাশা ছিল, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সেটির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সাযুজ্য পেয়েছে বলেই শীর্ষ স্বীকৃতি পেল।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















