রাশিচক্র ও ক্রেতার নতুন চাহিদা
জাপানের বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৬ সালের শুরুতে তারা ঘোড়া-থিমের ‘ফুকুবুকুরো’ বা নববর্ষের সৌভাগ্যের ব্যাগ বাজারে আনবে। ২০২৬ সালের রাশিচক্র প্রাণী যেহেতু ঘোড়া, তাই এই থিমের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আবেদনও জুড়ে যাচ্ছে। সাধারণত ১ জানুয়ারি বিক্রি হওয়া এই সিল করা ব্যাগগুলোতে দোকানগুলো পুরোনো পণ্য ছাড়ে দেয় ও ক্রেতাকেও মনে হয় সে লাভের কিছু কিনেছে। কিন্তু এবার দোকানগুলো শুধু প্রসাধনী, খাবার বা পোশাক নয়, সঙ্গে দিচ্ছে ঘোড়া চড়ার অভিজ্ঞতা,পরিদর্শন, ঘোড়া নিয়ে ফটোশুট কিংবা ঘোড়া-লোগো যুক্ত স্মারক—অর্থাৎ একসঙ্গে পণ্য ও অভিজ্ঞতা। খুচরা বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, তরুণ ক্রেতা ও পরিবারগুলো এখন এমন কিছু খুঁজছে যা ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা যায় এবং যা স্মৃতি হয়ে থাকে। তাই অনেক ব্যাগেই অনলাইনে আগেই সময় বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে অভিজ্ঞতাগুলো পরে উপভোগ করা যায়। জীবিকা ব্যয়ের চাপ ও ভোক্তা ব্যয়ের ধীর গতি থাকা সত্ত্বেও এমন উদ্ভাবনী অফার ক্রেতাকে দোকানে টেনে আনতে সাহায্য করবে।
বদলে যাওয়া খুচরা কৌশলের প্রতিফলন
এই ঘোড়া-থিমের ব্যাগগুলো দেখাচ্ছে, জাপানি খুচরা বিক্রেতারা এখন শুধুই চমক দিয়ে নয়, আস্থা ও মূল্যবোধ দিয়ে ক্রেতা ধরে রাখতে চায়। রাশিচক্রের সঙ্গে মিলিয়ে “শুভ” ব্যাগ বলা হলে ক্রেতারও কেনার একটি অজুহাত থাকে। আবার পুরোপুরি অচেনা জিনিস ভরা ব্যাগের বদলে এখন এমন প্যাকেজ বাড়ছে, যেখানে পাওয়া জিনিসের একটা ধারণা আগেই দেওয়া হয়—এটি মুদ্রাস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশ্বস্ত করে। ঘোড়া চড়ার ক্লাস বা বল ভ্রমণের মতো অভিজ্ঞতা দিলে দোকানের সঙ্গে ক্রেতার সম্পর্ক নববর্ষের পরেও চলতে থাকে, তারা আবার দোকানে ফেরে। দুর্বল ইয়েনের কারণে যেসব বিদেশি পর্যটক জাপানে বেশি করে আসছেন, তাদের জন্যও এই ব্যাগগুলো চটজলদি কেনা যায় এমন একটি সাংস্কৃতিক স্মারক। সফল হলে ২০২৭ সালের ভেড়া বর্ষেও একইভাবে অভিজ্ঞতাভিত্তিক ফুকুবুকুরো দেখা যেতে পারে। আপাতত বার্তাটি পরিষ্কার: জাপানের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের ব্যাগ এখন “সস্তায় চমক” থেকে “পরিকল্পিত লাইফস্টাইল বান্ডেল”-এ রূপ নিচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















