০৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
আদানিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদ আদালতের বাইরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১২, আহত ২৭ গ্লোবাল ফাইন্যান্সের মূল্যায়নে ‘সি’ গ্রেড পেলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর পাকিস্তান ২৭তম সংশোধনী বিল অনুমোদিত, বাড়বে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাও বিচার বিভাগে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ মোহাম্মদপুরে ছাত্রদল নেতার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জামিয়াতে উলেমা-ই-ইসলাম প্রধান মৌলানা ফজলুর রহমান মুদ্রাস্ফীতির সময় টিআইপিএস বন্ডের সীমাবদ্ধতা  আফগান-পাকিস্তান আলোচনায় অচলাবস্থা: সীমান্তে আবারও সংঘাতের আশঙ্কা দুবাই মেট্রোর ব্লু লাইন নির্মাণে নতুন ১০টির বেশি সড়ক পরিবর্তন ‘ঠান্ডায় খাও, জ্বরে উপোস’—প্রচলিত ধারণার পেছনের আসল সত্য

মস্তিষ্কের সুরক্ষা: অ্যালকোহল কমিয়ে আনুন, কমান স্ট্রোক ও মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি

প্রতিদিনের ওয়াইন বা বিয়ারের অভ্যাস অনেকের কাছেই সাধারণ আনন্দের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু গবেষণা বলছে, এই অভ্যাসই নীরবে বাড়িয়ে দিতে পারে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক ও স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি।


ওয়াইন কতটা বেশি, আর কখন তা ক্ষতিকর হয়?

অনেকের কাছে সন্ধ্যায় এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়া বা খেলাধুলা দেখতে দেখতে এক ক্যান বিয়ার খোলা যেন দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন সীমায় গিয়ে এই পানীয় অভ্যাসটি মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হয়?

সম্প্রতি নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে তিন বা তার বেশি গ্লাস অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস  — মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক (ব্লিডিং স্ট্রোক) এবং দীর্ঘমেয়াদি মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।


রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক কীভাবে ঘটে?

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্রেইন হেলথ ও স্ট্রোক বিভাগের প্রধান ড. মিচেল এলকিন্ড ব্যাখ্যা করেছেন, “রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক বা ইনট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ ঘটে তখন, যখন মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্ত লিক করে আশেপাশের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ধরনের স্ট্রোক মোট স্ট্রোকের প্রায় ১৫–২০%।”

অন্যদিকে, প্রায় ৮০% স্ট্রোকই হয় ইসকেমিক স্ট্রোক, যেখানে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় বা জমাট বাঁধে, ফলে মস্তিষ্কের কিছু অংশ অক্সিজেন ও পুষ্টি না পেয়ে মারা যায়। এলকিন্ডের মতে, “রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক সাধারণত বেশি বিপজ্জনক ও পঙ্গুত্বজনক।”


অতিরিক্ত অ্যালকোহলের ভয়াবহ প্রভাব

গবেষণার প্রধান লেখক ড. এম. এডিপ গুরোল বলেন, “যারা গড়ে প্রতিদিন তিন গ্লাস অ্যালকোহল পান করতেন, তাদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে গড় বয়সে ১১ বছর আগেই — যারা কম পান করেন তাদের তুলনায়।”

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় ১০% রক্তক্ষরণজনিত।


উচ্চ রক্তচাপ: সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ

ড. এলকিন্ড জানান, “দুর্ভাগ্যবশত, রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক যে কারও হতে পারে — এমনকি শিশুদেরও। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ৫৫ বছরের পর, ঝুঁকি দ্রুত বাড়ে।”

সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক — প্রায় ১২ কোটি মানুষ — উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও নাক দিয়ে রক্তপাত।

এছাড়া তরুণদের মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের বৃদ্ধির কারণে তাদেরও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে।


অবৈধ মাদকও বাড়ায় স্ট্রোকের আশঙ্কা

অ্যালকোহল ছাড়াও অবৈধ মাদক যেমন কোকেইন, মেথামফেটামিন, হেরোইন বা অন্যান্য ইনজেকটেবল ড্রাগ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় — যা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়।

ড. এলকিন্ড বলেন, “অ্যালকোহল ও উদ্দীপক মাদক উভয়ই রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, ফলে সব ধরনের স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”


জীবনধারায় পরিবর্তনেই সুরক্ষা

ড. গুরোল বলেন, “যাদের মস্তিষ্কে আগে রক্তক্ষরণ হয়েছে বা যাদের এমআরআইতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকির চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাদের সম্পূর্ণভাবে অ্যালকোহল বর্জন করা উচিত — সর্বোচ্চ বছরে ছয় বারের বেশি নয়, এবং এক দিনে এক গ্লাসের বেশি নয়।”

এলকিন্ড বলেন, “স্ট্রোক প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা। চিকিৎসক বা ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করুন, এবং প্রয়োজনে জীবনধারায় পরিবর্তন বা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করুন।”


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উপায়

রক্তচাপ কমানোর সহজ উপায় হলো এরোবিক ব্যায়াম — যেমন হাঁটা। সোজা হয়ে হাঁটা, কাঁধ পেছনে রাখা, হাত দোলানো এবং সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস (বিশেষ করে, নাক দিয়ে) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন জরুরি — যেমন লবণ কমানো এবং ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট অনুসরণ করা, যা হৃদ্‌স্বাস্থ্য উন্নত করে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।


গবেষণার তথ্য ও সীমাবদ্ধতা

গবেষণাটি ১ হাজার ৬০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণকারীর ওপর পরিচালিত হয়, যাদের গড় বয়স ছিল ৭৫ বছর এবং সবাই ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকের কারণে ভর্তি ছিলেন। অধিকাংশই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ।

তবে গবেষণাটি পূর্বের তথ্যের ওপর নির্ভর করায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ড. এলকিন্ডের মতে, “এই তথ্য সংগ্রহ স্ট্রোকের পর করা হয়েছে, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাদের পরিবার অ্যালকোহল ব্যবহারের মাত্রা বেশি বলে জানাতে পারেন, যা তথ্যকে কিছুটা পক্ষপাতমূলক করতে পারে।”

তিনি যোগ করেন, “যদি এটি একটি আগাম পরিকল্পিত গবেষণা হতো, তবে অংশগ্রহণকারীদের ওয়াইন ও অন্যান্য অ্যালকোহল গ্রহণের তথ্য স্ট্রোকের আগেই সংগ্রহ করা যেত, যা ফলাফলকে আরও নির্ভরযোগ্য করত।”


#স্বাস্থ্য #মস্তিষ্ক #ওয়াইন #অ্যালকোহল #স্ট্রোক #রক্তচাপ #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

আদানিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের সিদ্ধান্ত

মস্তিষ্কের সুরক্ষা: অ্যালকোহল কমিয়ে আনুন, কমান স্ট্রোক ও মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি

০১:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

প্রতিদিনের ওয়াইন বা বিয়ারের অভ্যাস অনেকের কাছেই সাধারণ আনন্দের অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু গবেষণা বলছে, এই অভ্যাসই নীরবে বাড়িয়ে দিতে পারে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক ও স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি।


ওয়াইন কতটা বেশি, আর কখন তা ক্ষতিকর হয়?

অনেকের কাছে সন্ধ্যায় এক গ্লাস ওয়াইন খাওয়া বা খেলাধুলা দেখতে দেখতে এক ক্যান বিয়ার খোলা যেন দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন সীমায় গিয়ে এই পানীয় অভ্যাসটি মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হয়?

সম্প্রতি নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন গড়ে তিন বা তার বেশি গ্লাস অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস  — মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক (ব্লিডিং স্ট্রোক) এবং দীর্ঘমেয়াদি মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।


রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক কীভাবে ঘটে?

আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্রেইন হেলথ ও স্ট্রোক বিভাগের প্রধান ড. মিচেল এলকিন্ড ব্যাখ্যা করেছেন, “রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক বা ইনট্রাসেরিব্রাল হেমোরেজ ঘটে তখন, যখন মস্তিষ্কের কোনো রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্ত লিক করে আশেপাশের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ধরনের স্ট্রোক মোট স্ট্রোকের প্রায় ১৫–২০%।”

অন্যদিকে, প্রায় ৮০% স্ট্রোকই হয় ইসকেমিক স্ট্রোক, যেখানে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় বা জমাট বাঁধে, ফলে মস্তিষ্কের কিছু অংশ অক্সিজেন ও পুষ্টি না পেয়ে মারা যায়। এলকিন্ডের মতে, “রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক সাধারণত বেশি বিপজ্জনক ও পঙ্গুত্বজনক।”


অতিরিক্ত অ্যালকোহলের ভয়াবহ প্রভাব

গবেষণার প্রধান লেখক ড. এম. এডিপ গুরোল বলেন, “যারা গড়ে প্রতিদিন তিন গ্লাস অ্যালকোহল পান করতেন, তাদের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ঘটে গড় বয়সে ১১ বছর আগেই — যারা কম পান করেন তাদের তুলনায়।”

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় ১০% রক্তক্ষরণজনিত।


উচ্চ রক্তচাপ: সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ

ড. এলকিন্ড জানান, “দুর্ভাগ্যবশত, রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক যে কারও হতে পারে — এমনকি শিশুদেরও। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে ৫৫ বছরের পর, ঝুঁকি দ্রুত বাড়ে।”

সবচেয়ে বড় ঝুঁকির কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক — প্রায় ১২ কোটি মানুষ — উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয় মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও নাক দিয়ে রক্তপাত।

এছাড়া তরুণদের মধ্যে স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের বৃদ্ধির কারণে তাদেরও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে।


অবৈধ মাদকও বাড়ায় স্ট্রোকের আশঙ্কা

অ্যালকোহল ছাড়াও অবৈধ মাদক যেমন কোকেইন, মেথামফেটামিন, হেরোইন বা অন্যান্য ইনজেকটেবল ড্রাগ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় — যা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ায়।

ড. এলকিন্ড বলেন, “অ্যালকোহল ও উদ্দীপক মাদক উভয়ই রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, ফলে সব ধরনের স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।”


জীবনধারায় পরিবর্তনেই সুরক্ষা

ড. গুরোল বলেন, “যাদের মস্তিষ্কে আগে রক্তক্ষরণ হয়েছে বা যাদের এমআরআইতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ঝুঁকির চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাদের সম্পূর্ণভাবে অ্যালকোহল বর্জন করা উচিত — সর্বোচ্চ বছরে ছয় বারের বেশি নয়, এবং এক দিনে এক গ্লাসের বেশি নয়।”

এলকিন্ড বলেন, “স্ট্রোক প্রতিরোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা। চিকিৎসক বা ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করুন, এবং প্রয়োজনে জীবনধারায় পরিবর্তন বা ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করুন।”


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উপায়

রক্তচাপ কমানোর সহজ উপায় হলো এরোবিক ব্যায়াম — যেমন হাঁটা। সোজা হয়ে হাঁটা, কাঁধ পেছনে রাখা, হাত দোলানো এবং সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস (বিশেষ করে, নাক দিয়ে) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন জরুরি — যেমন লবণ কমানো এবং ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট অনুসরণ করা, যা হৃদ্‌স্বাস্থ্য উন্নত করে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।


গবেষণার তথ্য ও সীমাবদ্ধতা

গবেষণাটি ১ হাজার ৬০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণকারীর ওপর পরিচালিত হয়, যাদের গড় বয়স ছিল ৭৫ বছর এবং সবাই ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকের কারণে ভর্তি ছিলেন। অধিকাংশই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ।

তবে গবেষণাটি পূর্বের তথ্যের ওপর নির্ভর করায় কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ড. এলকিন্ডের মতে, “এই তথ্য সংগ্রহ স্ট্রোকের পর করা হয়েছে, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাদের পরিবার অ্যালকোহল ব্যবহারের মাত্রা বেশি বলে জানাতে পারেন, যা তথ্যকে কিছুটা পক্ষপাতমূলক করতে পারে।”

তিনি যোগ করেন, “যদি এটি একটি আগাম পরিকল্পিত গবেষণা হতো, তবে অংশগ্রহণকারীদের ওয়াইন ও অন্যান্য অ্যালকোহল গ্রহণের তথ্য স্ট্রোকের আগেই সংগ্রহ করা যেত, যা ফলাফলকে আরও নির্ভরযোগ্য করত।”


#স্বাস্থ্য #মস্তিষ্ক #ওয়াইন #অ্যালকোহল #স্ট্রোক #রক্তচাপ #সারাক্ষণরিপোর্ট