জীববৈচিত্র্যরক্ষায় অগ্রাধিকার
ব্রাজিলের বেলেমে এবারের জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয়েছে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। বনরক্ষায় তাদের ভূমিকা ও কম নিঃসরণ বাস্তবতাকে সামনে এনে ভূমির অধিকার, ‘লস-অ্যান্ড-ড্যামেজ’ তহবিল ও কমিউনিটি-নেতৃত্বাধীন সংরক্ষণকে আলোচ্যসূচির শীর্ষে তোলা হয়েছে। উদ্বোধনী আদিবাসী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও গান-প্রার্থনা থামেনি—প্রতীকীভাবে স্থিতিস্থাপকতার বার্তা উঠে আসে। এবারের কপকে “ইমপ্লিমেন্টেশন কপ” বলা হচ্ছে—বড় কোনো নতুন চুক্তির চেয়ে আগের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই লক্ষ্য। বনরক্ষা তহবিল স্কেল-আপ, অর্থের সরাসরি প্রবাহ ও ঐতিহ্যভিত্তিক জ্ঞানকে অভিযোজন পরিকল্পনায় নথিভুক্ত করা—প্রধান প্রত্যাশা।
অর্থায়ন, স্বচ্ছতা ও উষ্ণ বাস্তবতা
১.৫°সেলসিয়াস সীমা ভাঙার ঝুঁকি বাড়ায় বিশ্বাসযোগ্যতার পরীক্ষা আরও কঠিন। প্রতিশ্রুতি এখন অর্থ, পর্যবেক্ষণ ও মাপযোগ্য সুরক্ষায় রূপ নেবে—এটাই দাবি আদিবাসী নেতাদের। بيرোক্রেসি এড়িয়ে সরাসরি কমিউনিটি প্রকল্পে অর্থ পৌঁছানো, ফায়ারব্রেক, কমিউনিটি পেট্রোল, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষিতে সহায়তা—এসবের জন্য সুরক্ষা কাঠামো চান তারা। ব্রাজিল আমাজন বাঁচানোর বার্তা জোর দিলেও সংবেদনশীল এলাকায় তেল অনুসন্ধান নিয়ে সমালোচনা আছে। আলোচনায় এসেছে এআই/ডেটা সেন্টারের বিদ্যুৎ-চাহিদা—ডিকার্বনাইজেশন পরিকল্পনায় নতুন চাপ তৈরি করছে। জনসাধারণের প্রশ্ন সরল: আগামী বছর বন কি নিরাপদ হবে, ফ্রন্টলাইন কমিউনিটি কি বেশি সুরক্ষিত হবে? স্বচ্ছ অর্থপ্রবাহ ও ভূমি-অধিকার বাস্তবায়নে বেলেম অগ্রগতি দেখাতে পারলে তা হবে নীরব কিন্তু কার্যকর সাফল্য।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















