০৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
হুন্ডাই i20 রুট: দিল্লিতে প্রায় ১১ ঘণ্টা ছিল, বাদরপুর টোল প্লাজা দিয়ে প্রবেশ ড. উমর নবী ও ফারিদাবাদ সংযোগ: লাল কেল্লা বিস্ফোরণে জড়িত সন্ত্রাসী চক্রের খোঁজে পুলিশ মিষ্টি জান্নাত: একজন উদীয়মান অভিনেত্রীর পথচলা ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের মহড়া, নতুন উত্তেজনা সাবরিনা কার্পেন্টার ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ মিউজিকাল ছবির প্রধান চরিত্রে ফারমেন্টেড খাবারের জোয়ার: লেবেল-প্রতিশ্রুতি নয়, নিয়মিততা-ই ফল দেয় কপ৩০-এ আমেরিকার অনুপস্থিতি ‘মূর্খতার পুনরাবৃত্তি’: গ্যাভিন নিউজম অ্যাপ-নির্ভর বোর্ডিং: কাগুজে পাস ছাড়ল রায়ানএয়ার দিল্লি–ইসলামাবাদে পরপর বিস্ফোরণ, সীমান্তজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা ঢাকায় ঘোষিত ‘লকডাউন’-এর আগে উত্তেজনা, সহিংসতার আশঙ্কায় উদ্বেগ

দিল্লি–ইসলামাবাদে পরপর বিস্ফোরণ, সীমান্তজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা

দুই রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত দুই ডজনের মৃত্যু ও বহু আহতের ঘটনা ভারতের ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তৎক্ষণাৎ কড়া করেছে। বিরল এই সমন্বিত হামলা সীমান্তিক উত্তেজনা, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চাপের মাঝে নতুন দুশ্চিন্তা ডেকে আনে। তদন্ত সংস্থাগুলো প্রাথমিক সূত্র পেলেও চূড়ান্ত দায়ী নির্ধারণ করেনি; রাজনৈতিক নেতারা গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানান। বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও কূটনৈতিক পাড়া জুড়ে নিরাপত্তা উপস্থিতি দৃশ্যমান, হাসপাতালগুলোতে জরুরি প্রস্তুতি চালু হয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন—এ ধরনের সমকালীন হামলার উদ্দেশ্য প্রায়ই ভুল পদক্ষেপে উসকানি দেওয়া, সরাসরি ভূখণ্ড দখল নয়। তবু এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে উসকানিমূলক বার্তা নজরে এলে ফোরেনসিক দলগুলোর নজর সেখানে পড়ে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উৎসব মৌসুম ঘিরে ভিড় এলাকায় তল্লাশি জোরদার করে; পাকিস্তান “যুদ্ধকালীন সতর্কতা” বজায় রাখার কথা জানায়। দূতাবাসগুলো সতর্কতা জারি করে, অনেকেই অপ্রয়োজনীয় চলাচল কমাতে কর্মীদের বলে।

যৌথ বা অনুলিপি ধরনের নেটওয়ার্ক—কোনটি জড়িত—তা প্রমাণের লড়াই এখন কূটনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে। নয়াদিল্লি প্রথমে রাজ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আঁটসাঁট করে; ইসলামাবাদ জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠকে সীমান্ত প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ঘাটতি খতিয়ে দেখে। ডিভাইসের টুকরো, বিস্ফোরকের রাসায়নিক স্বাক্ষরসহ প্রমাণ শেয়ারে আঞ্চলিক অংশীদারদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। একই নেটওয়ার্ক প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের চাপ বাড়বে; আলাদা সেল হলে জনমনে শঙ্কা প্রশমনই অগ্রাধিকার। প্রতিবেশীরা হটলাইন ব্যবহারে জোর দিয়ে সংযমের আহ্বান জানায়; নাগরিক সমাজ আহতদের তহবিল ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ করে। দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত এখন মূল—দোষী শনাক্তে দেরি বা তাড়াহুড়ো—দুইই পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হুন্ডাই i20 রুট: দিল্লিতে প্রায় ১১ ঘণ্টা ছিল, বাদরপুর টোল প্লাজা দিয়ে প্রবেশ

দিল্লি–ইসলামাবাদে পরপর বিস্ফোরণ, সীমান্তজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা

০৪:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

দুই রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত দুই ডজনের মৃত্যু ও বহু আহতের ঘটনা ভারতের ও পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তৎক্ষণাৎ কড়া করেছে। বিরল এই সমন্বিত হামলা সীমান্তিক উত্তেজনা, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতির চাপের মাঝে নতুন দুশ্চিন্তা ডেকে আনে। তদন্ত সংস্থাগুলো প্রাথমিক সূত্র পেলেও চূড়ান্ত দায়ী নির্ধারণ করেনি; রাজনৈতিক নেতারা গুজবে কান না দিতে আহ্বান জানান। বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও কূটনৈতিক পাড়া জুড়ে নিরাপত্তা উপস্থিতি দৃশ্যমান, হাসপাতালগুলোতে জরুরি প্রস্তুতি চালু হয়। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন—এ ধরনের সমকালীন হামলার উদ্দেশ্য প্রায়ই ভুল পদক্ষেপে উসকানি দেওয়া, সরাসরি ভূখণ্ড দখল নয়। তবু এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে উসকানিমূলক বার্তা নজরে এলে ফোরেনসিক দলগুলোর নজর সেখানে পড়ে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উৎসব মৌসুম ঘিরে ভিড় এলাকায় তল্লাশি জোরদার করে; পাকিস্তান “যুদ্ধকালীন সতর্কতা” বজায় রাখার কথা জানায়। দূতাবাসগুলো সতর্কতা জারি করে, অনেকেই অপ্রয়োজনীয় চলাচল কমাতে কর্মীদের বলে।

যৌথ বা অনুলিপি ধরনের নেটওয়ার্ক—কোনটি জড়িত—তা প্রমাণের লড়াই এখন কূটনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবে। নয়াদিল্লি প্রথমে রাজ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আঁটসাঁট করে; ইসলামাবাদ জাতীয় নিরাপত্তা বৈঠকে সীমান্ত প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ঘাটতি খতিয়ে দেখে। ডিভাইসের টুকরো, বিস্ফোরকের রাসায়নিক স্বাক্ষরসহ প্রমাণ শেয়ারে আঞ্চলিক অংশীদারদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। একই নেটওয়ার্ক প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের চাপ বাড়বে; আলাদা সেল হলে জনমনে শঙ্কা প্রশমনই অগ্রাধিকার। প্রতিবেশীরা হটলাইন ব্যবহারে জোর দিয়ে সংযমের আহ্বান জানায়; নাগরিক সমাজ আহতদের তহবিল ও দায়িত্বশীল সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ করে। দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত এখন মূল—দোষী শনাক্তে দেরি বা তাড়াহুড়ো—দুইই পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারে।