লাল কেল্লা বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য—ডাক্তারদের সম্পৃক্ততা। ফারিদাবাদ ও পুলওয়ামা-ভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী চক্রই এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছে বলে ধারণা করছে তদন্তকারী সংস্থাগুলো।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংযোগ
কর্তৃপক্ষের মতে, লাল কেল্লা বিস্ফোরণের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে এটি সেই “আন্তর্জাতিক ও আন্তঃরাজ্য” সন্ত্রাসী গ্রুপের কাজ, যা এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল এবং যার মূল অবস্থান পুলওয়ামা জেলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে ব্যক্তি হুন্ডাই i20 গাড়ি চালাচ্ছিল যা বিস্ফোরিত হয়েছিল, তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে ড. উমর নবী (৩৬), পুলওয়ামার বাসিন্দা এবং ফারিদাবাদের আল-ফালাহ স্কুল অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের কর্মচারী হিসেবে।
ড. উমরের সংশ্লিষ্টতা
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই সন্ত্রাসী গ্রুপের অন্য দুই সদস্য—ড. মুজামিল আহমদ গানি (৩২) এবং ড. আদিল মজিদ রাথার (৩৩)—আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন।
পুলিশ গানির ভাড়া করা বাড়ি থেকে ৩৫৮ কেজি বিস্ফোরক, যা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট হতে পারে, উদ্ধার করেছে।
ড. উমরের সাথে সম্পর্কিত একাধিক CCTV ফুটেজ থেকে জানা গেছে, তিনি বিস্ফোরণের সময় ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
বড় হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার শীর্ষ সূত্রের মতে, এই সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা একটি বড় হামলার পরিকল্পনা করছিল, কিন্তু তাদের পরিকল্পনা গত মাসের শেষের দিকে ফাঁস হয়ে যায়।
একটি তদন্ত কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনের এক সতর্ক অফিসারের মাধ্যমে শুরু হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে গানির নাম সামনে আসে।
পুলিশের ধারণা, ড. উমর সম্ভবত গোপনে পালিয়েছিলেন, কারণ তিনি জানতেন যে তদন্ত গভীর হচ্ছে।
পুলওয়ামা সংযোগ
পুলিশের মতে, ড. উমর এবং ড. গানি পুলওয়ামার কোইল গ্রামের বাসিন্দা এবং একই হাসপাতালে কাজ করতেন।
এছাড়া, আরও এক ডাক্তার—ড. শাহিন শাহিদ আনসারি (৪৬)—যিনি লখনৌ থেকে ফারিদাবাদ হাসপাতালে কাজ করতেন, তারও জড়িত থাকার সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই, পুলওয়ামা থেকে একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আমির রশিদ (২৭), একজন প্লাম্বার, যিনি বিস্ফোরিত গাড়িটি কেনার জন্য ব্যবহৃত ডকুমেন্টের মালিক।
বিস্ফোরণের বিস্তারিত তদন্ত
তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী, ড. গানি ফারিদাবাদের বাড়িতে থাকা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কয়েকদিন ধরে সংগ্রহ করেছিলেন, যা আশপাশের খননস্থান থেকে আসতে পারে।
পুলিশ মনে করছে, হুন্ডাই i20 গাড়িতে আনুমানিক ৬০-৭০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল।
নির্মল জীবনযাপন, তবু সন্দেহজনক আচরণ
অন্যদিকে, তদন্তে জানা গেছে যে এই ডাক্তারদের সবাই উচ্চমানের বেতন পেলেও তারা সাধারণ জীবনযাপন করতেন।
যদিও আল-ফালাহ হাসপাতাল হোস্টেল সুবিধা প্রদান করতো, তবু এই সন্দেহভাজনরা কাছাকাছি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
#লাল_কেল্লা_বিস্ফোরণ #ড_উমর_নবী #ফারিদাবাদ #পুলওয়ামা #সন্ত্রাসী_চক্র #ড_গানি #বিস্ফোরণ_তদন্ত #আতঙ্ক #কাশ্মীর #আন্তর্জাতিক_সন্ত্রাস
সারাক্ষণ রিপোর্ট 





















