০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
হাজার হাজার ‘ডেথ থ্রেট’ সইতে হচ্ছে গ্লোবাল গার্লগ্রুপ ক্যাটসআইকে ভালুকের হামলা বাড়ায় ‘গভর্নমেন্ট হান্টার’সহ নতুন পরিকল্পনা জাপানে নেট–জিরো লক্ষ্য থেকে সরে দাঁড়াল অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল পার্টি ফায়ার টিভি স্টিকে পাইরেসি ঠেকাতে অ্যাপ ব্লক করছে অ্যামাজন ক্যাম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড সীমান্তে আবার উত্তেজনা, যুদ্ধবিরতি চাপে মঙ্গোলদের শাসনে শাসনে কীভাবে বদলে গেলো চীন ট্রাম্পের ‘জি–টু’ ধারণা কেন চীন গুরুত্ব দিচ্ছে না জাপান–চীন সংলাপ জোরদার জরুরি: সুজুকি চীনের সৌরশক্তি শিল্পের ঝুঁকি কমাতে ও দাম নিয়ন্ত্রনে কঠোর অবস্থান শেরে বাংলা নগরে ইসি ভবনের কাছে পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি ক্র্যাকার উদ্ধার

কম্পিউটিং দুনিয়ায় নতুন বিপ্লবের দুয়ারে বিশ্ব: সামনে আসছে কোয়ান্টাম যুগ

ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা, গাড়িতে ব্যবহৃত নতুন উপকরণ পরীক্ষা, কিংবা বাজারের জটিল পরিস্থিতি ব্যাংকে কী প্রভাব ফেলতে পারে—এ ধরনের কাজ বর্তমানে সবচেয়ে উন্নত কম্পিউটার ব্যবহার করলেও মাস বা বছর লেগে যায়।
কিন্তু যদি এই সময় কমে মাত্র কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘণ্টায় নেমে আসে?
এই আশাই দিচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং—একটি প্রযুক্তি যা বহু দশক ধরে গবেষণায় থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও বিনিয়োগ তৈরি করেছে।


নতুন চিপ উন্মোচন ও প্রযুক্তি দৌড়

বুধবার আইবিএম তাদের পরীক্ষামূলক লুন প্রসেসর এবং নাইটহক কোয়ান্টাম চিপ উন্মোচন করেছে, যা পূর্বের চিপগুলোর তুলনায় আরও জটিল গণনা করতে সক্ষম।
গত দুই বছরে গুগল, মাইক্রোসফটসহ আরও বহু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকেও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে বড় ঘোষণার দেখা মিলেছে।

ম্যাককিনসি অ্যান্ড কোম্পানির হিসেবে, ২০৩৫ সালের মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নির্দিষ্ট কয়েকটি শিল্পে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত মূল্য সৃষ্টি করতে পারে।
কারণ এই প্রযুক্তি ক্রিপ্টোগ্রাফি, আর্থিক খাত, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পরিবহনসহ বহু ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে পারে।
আইবিএম জানায়, যেসব সমস্যা সাধারণ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে হাজার বছর লাগবে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার তা মিনিট বা ঘণ্টায় সমাধান করতে পারে।


কেন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আলাদা

কোয়ান্টাম কম্পিউটার কোনো সুপারফাস্ট সাধারণ কম্পিউটার নয়—এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন নীতিতে কাজ করে।
কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রীধর তায়ুর উদাহরণ,
“ফাইটার জেট কোনো দ্রুতগতির ফেরারি নয়—কারণ তার ডানা আছে। একইভাবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটারের দ্রুত সংস্করণ নয়—এটি সম্পূর্ণ আলাদা নীতিতে চলে।”

সাধারণ কম্পিউটার ‘বিট’ ব্যবহার করে—যা হয় ০ বা ১।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে ‘কিউবিট’—যা একই সঙ্গে ০ এবং ১ উভয় অবস্থায় থাকতে পারে।
একে ঘূর্ণমান কয়েনের সঙ্গে তুলনা করা যায়—যেখানে কয়েনটি একই সঙ্গে হেডস ও টেইলসকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণেই কিউবিট অত্যন্ত দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে।


কোথায় ব্যবহার হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন বদলে দেবে এমনটি নয়।
এটি মূলত এমন বড় বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক সমস্যার জন্য তৈরি, যেখানে বিপুল জটিলতা রয়েছে।
ফলে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি, উপকরণবিজ্ঞান এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির মতো ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।

বিএমডব্লিউ গ্রুপ ও এয়ারবাস কোয়ান্টিনিউম-এর সঙ্গে মিলে জ্বালানি সেল উন্নয়নে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছে।
অ্যাকসেনচার ল্যাবস, বায়োজেন ও ১কিউবিট ওষুধ উদ্ভাবনে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে।
অ্যাকসেনচারের মতে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার এমন বিশাল অণুর তুলনা করতে পারে যা সাধারণ কম্পিউটার করতে অক্ষম।

এমআইটির সহযোগী অধ্যাপক আনন্দ নাটারাজন বলেন,
“সবচেয়ে বড় আশা হলো—ল্যাবে যেসব রাসায়নিক বা জৈব পরীক্ষা আমরা করি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেগুলো সম্পূর্ণভাবে সিমুলেট করতে পারবে।”


ক্রিপ্টোগ্রাফি ও সাইবার নিরাপত্তায় বড় পরিবর্তন

কোয়ান্টাম কম্পিউটার বর্তমান নিরাপত্তা কোড ভেঙে ফেলতে সক্ষম হতে পারে—যা বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তায় বড় প্রভাব ফেলবে।
নাটারাজন বলেন,
“এ কারণেই গবেষণায় আগ্রহ বেশি—আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা যেন এটি করতে না পারে, আর আমরা যেন এই ক্ষমতা অর্জন করতে পারি।”


চ্যালেঞ্জ: কিউবিট খুবই ভঙ্গুর

যদিও সম্ভাবনা বিস্ময়কর, বাস্তবে ব্যবহারের আগে অনেক বাধা পেরোতে হবে।
কিউবিট অত্যন্ত সংবেদনশীল—তাপমাত্রা, আলো বা সামান্য কম্পনেও কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আইবিএমের লুন প্রসেসর ত্রুটি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
তাদের নাইটহক চিপ আরও জটিল ‘গেট’ চালাতে পারে—যা কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মূল বিল্ডিং ব্লক।

গ্যামবেটা বলেন,
“টেবিল একটু কাঁপালেও কোয়ান্টাম কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সামান্য আলো ঢুকলেও সমস্যা।”


প্রতিযোগিতায় গুগল, মাইক্রোসফটও

ফেব্রুয়ারিতে মাইক্রোসফট “মেজরানা ১” চিপ উন্মোচন করেছে—যা আরও স্থিতিশীল কিউবিট তৈরির দাবি করে।
ডিসেম্বরে গুগল তাদের “উইলো” চিপ দেখায়—যা কিউবিট সংখ্যা বাড়লেও ত্রুটি কম রাখতে পারে।
তারা দাবি করে পাঁচ মিনিটে এমন কাজ করা যায় যা সাধারণ কম্পিউটার করতে লাগবে ১০ সেপটিলিয়ন বছর।


কবে আসবে পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম কম্পিউটার?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও এক বা দুই দশক দূরে।
ম্যাককিনসি জানায়, প্রযুক্তি খাতের ৭২% বিশেষজ্ঞ মনে করেন ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি কার্যকর, ত্রুটিমুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার আসতে পারে।
আইবিএমের প্রত্যাশা—এই দশকের শেষেই সেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।


কার্নেগি মেলনের তায়ুর উপমা,
“এখন আমরা যেন চামচ-কাঁটা দিয়ে মস্তিষ্কের অপারেশন করতে চাইছি। আদর্শভাবে আমাদের আরও সূক্ষ্ম ও শক্তিশালী যন্ত্র প্রয়োজন। সেই উন্নত যন্ত্রই হতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার।”



#QuantumComputing   #IBM   #Google   #Microsoft   #TechnologyFuture   #CyberSecurity   #ScientificResearch

জনপ্রিয় সংবাদ

হাজার হাজার ‘ডেথ থ্রেট’ সইতে হচ্ছে গ্লোবাল গার্লগ্রুপ ক্যাটসআইকে

কম্পিউটিং দুনিয়ায় নতুন বিপ্লবের দুয়ারে বিশ্ব: সামনে আসছে কোয়ান্টাম যুগ

১২:৪৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা, গাড়িতে ব্যবহৃত নতুন উপকরণ পরীক্ষা, কিংবা বাজারের জটিল পরিস্থিতি ব্যাংকে কী প্রভাব ফেলতে পারে—এ ধরনের কাজ বর্তমানে সবচেয়ে উন্নত কম্পিউটার ব্যবহার করলেও মাস বা বছর লেগে যায়।
কিন্তু যদি এই সময় কমে মাত্র কয়েক মিনিট বা কয়েক ঘণ্টায় নেমে আসে?
এই আশাই দিচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং—একটি প্রযুক্তি যা বহু দশক ধরে গবেষণায় থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও বিনিয়োগ তৈরি করেছে।


নতুন চিপ উন্মোচন ও প্রযুক্তি দৌড়

বুধবার আইবিএম তাদের পরীক্ষামূলক লুন প্রসেসর এবং নাইটহক কোয়ান্টাম চিপ উন্মোচন করেছে, যা পূর্বের চিপগুলোর তুলনায় আরও জটিল গণনা করতে সক্ষম।
গত দুই বছরে গুগল, মাইক্রোসফটসহ আরও বহু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকেও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে বড় ঘোষণার দেখা মিলেছে।

ম্যাককিনসি অ্যান্ড কোম্পানির হিসেবে, ২০৩৫ সালের মধ্যে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নির্দিষ্ট কয়েকটি শিল্পে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত মূল্য সৃষ্টি করতে পারে।
কারণ এই প্রযুক্তি ক্রিপ্টোগ্রাফি, আর্থিক খাত, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পরিবহনসহ বহু ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে পারে।
আইবিএম জানায়, যেসব সমস্যা সাধারণ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে হাজার বছর লাগবে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার তা মিনিট বা ঘণ্টায় সমাধান করতে পারে।


কেন কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আলাদা

কোয়ান্টাম কম্পিউটার কোনো সুপারফাস্ট সাধারণ কম্পিউটার নয়—এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন নীতিতে কাজ করে।
কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শ্রীধর তায়ুর উদাহরণ,
“ফাইটার জেট কোনো দ্রুতগতির ফেরারি নয়—কারণ তার ডানা আছে। একইভাবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার সাধারণ কম্পিউটারের দ্রুত সংস্করণ নয়—এটি সম্পূর্ণ আলাদা নীতিতে চলে।”

সাধারণ কম্পিউটার ‘বিট’ ব্যবহার করে—যা হয় ০ বা ১।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার ব্যবহার করে ‘কিউবিট’—যা একই সঙ্গে ০ এবং ১ উভয় অবস্থায় থাকতে পারে।
একে ঘূর্ণমান কয়েনের সঙ্গে তুলনা করা যায়—যেখানে কয়েনটি একই সঙ্গে হেডস ও টেইলসকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।
এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণেই কিউবিট অত্যন্ত দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে।


কোথায় ব্যবহার হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং

ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন বদলে দেবে এমনটি নয়।
এটি মূলত এমন বড় বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক সমস্যার জন্য তৈরি, যেখানে বিপুল জটিলতা রয়েছে।
ফলে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি, উপকরণবিজ্ঞান এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির মতো ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে।

বিএমডব্লিউ গ্রুপ ও এয়ারবাস কোয়ান্টিনিউম-এর সঙ্গে মিলে জ্বালানি সেল উন্নয়নে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছে।
অ্যাকসেনচার ল্যাবস, বায়োজেন ও ১কিউবিট ওষুধ উদ্ভাবনে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের সক্ষমতা নিয়ে কাজ করছে।
অ্যাকসেনচারের মতে, কোয়ান্টাম কম্পিউটার এমন বিশাল অণুর তুলনা করতে পারে যা সাধারণ কম্পিউটার করতে অক্ষম।

এমআইটির সহযোগী অধ্যাপক আনন্দ নাটারাজন বলেন,
“সবচেয়ে বড় আশা হলো—ল্যাবে যেসব রাসায়নিক বা জৈব পরীক্ষা আমরা করি, কোয়ান্টাম কম্পিউটার সেগুলো সম্পূর্ণভাবে সিমুলেট করতে পারবে।”


ক্রিপ্টোগ্রাফি ও সাইবার নিরাপত্তায় বড় পরিবর্তন

কোয়ান্টাম কম্পিউটার বর্তমান নিরাপত্তা কোড ভেঙে ফেলতে সক্ষম হতে পারে—যা বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তায় বড় প্রভাব ফেলবে।
নাটারাজন বলেন,
“এ কারণেই গবেষণায় আগ্রহ বেশি—আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা যেন এটি করতে না পারে, আর আমরা যেন এই ক্ষমতা অর্জন করতে পারি।”


চ্যালেঞ্জ: কিউবিট খুবই ভঙ্গুর

যদিও সম্ভাবনা বিস্ময়কর, বাস্তবে ব্যবহারের আগে অনেক বাধা পেরোতে হবে।
কিউবিট অত্যন্ত সংবেদনশীল—তাপমাত্রা, আলো বা সামান্য কম্পনেও কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

আইবিএমের লুন প্রসেসর ত্রুটি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে।
তাদের নাইটহক চিপ আরও জটিল ‘গেট’ চালাতে পারে—যা কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মূল বিল্ডিং ব্লক।

গ্যামবেটা বলেন,
“টেবিল একটু কাঁপালেও কোয়ান্টাম কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সামান্য আলো ঢুকলেও সমস্যা।”


প্রতিযোগিতায় গুগল, মাইক্রোসফটও

ফেব্রুয়ারিতে মাইক্রোসফট “মেজরানা ১” চিপ উন্মোচন করেছে—যা আরও স্থিতিশীল কিউবিট তৈরির দাবি করে।
ডিসেম্বরে গুগল তাদের “উইলো” চিপ দেখায়—যা কিউবিট সংখ্যা বাড়লেও ত্রুটি কম রাখতে পারে।
তারা দাবি করে পাঁচ মিনিটে এমন কাজ করা যায় যা সাধারণ কম্পিউটার করতে লাগবে ১০ সেপটিলিয়ন বছর।


কবে আসবে পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম কম্পিউটার?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও এক বা দুই দশক দূরে।
ম্যাককিনসি জানায়, প্রযুক্তি খাতের ৭২% বিশেষজ্ঞ মনে করেন ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি কার্যকর, ত্রুটিমুক্ত কোয়ান্টাম কম্পিউটার আসতে পারে।
আইবিএমের প্রত্যাশা—এই দশকের শেষেই সেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।


কার্নেগি মেলনের তায়ুর উপমা,
“এখন আমরা যেন চামচ-কাঁটা দিয়ে মস্তিষ্কের অপারেশন করতে চাইছি। আদর্শভাবে আমাদের আরও সূক্ষ্ম ও শক্তিশালী যন্ত্র প্রয়োজন। সেই উন্নত যন্ত্রই হতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার।”



#QuantumComputing   #IBM   #Google   #Microsoft   #TechnologyFuture   #CyberSecurity   #ScientificResearch