চীনে যুদ্ধজাহাজ আনুষ্ঠানিকভাবে আধুনিকতম বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’ যুক্ত হলো
চীনের তৃতীয় এবং সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী ফুজিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি উদ্বোধনের পর তিন বছর ও প্রায় ১৮ মাসের সমুদ্র-পরীক্ষা শেষে গত সপ্তাহেই এটি পূর্ণাঙ্গ সেবায় প্রবেশ করে।
৮০ হাজার টনের বেশি ওজনের এই রণতরী বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রচলিত জ্বালানিচালিত যুদ্ধজাহাজ। এর আগে চীনের দুটি রণতরী—লিয়াওনিং এবং শানডং—নৌবহরে থাকলেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে ফুজিয়ান তাদের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।
সামরিক প্রযুক্তিতে বড় পরিবর্তন: ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট
ফুজিয়ানে রয়েছে অত্যাধুনিক ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপল্ট সিস্টেম, যা বিমানকে দ্রুতগতিতে উড্ডয়নে সহায়তা করে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ—এর আগে কেবল যুক্তরাষ্ট্রই এ ধরনের রণতরী পরিচালনা করত।
আগের দুটি রণতরীতে যেখানে ‘স্কি-জাম্প’ ডেক ব্যবহৃত হতো, সেখানে ফুজিয়ানের নতুন প্রযুক্তি অধিক ভারী ও আধুনিক যুদ্ধবিমান পরিচালনায় সক্ষম।

সায়নাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট শির উপস্থিতি
হাইনানের সায়না শহরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ফুজিয়ানের ঠিক সামনে ছিল দ্বিতীয় রণতরী শানডং।
উদ্বোধনের পর সি চিন পিং ফুজিne and hashtags:য়ান রণতরীতে ওঠেন, এর যুদ্ধক্ষমতা, ক্যাটাপল্ট ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং সামগ্রিক অপারেশন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং নেন। তিনি কন্ট্রোল টাওয়ার পরিদর্শন করেন এবং পাইলটদের সঙ্গে কথাও বলেন।
ফুজিয়ানের বিমানবহর: একধাপ এগিয়ে চীনা নৌবাহিনী
ফুজিয়ানের এয়ার উইং বা বিমানবহর বেশ শক্তিশালী বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—
- কমপক্ষে ১২টি হেলিকপ্টার
- ৪০টির বেশি ফিক্সড-উইং বিমান, যাদের মধ্যে রয়েছে:
- J-15T মাল্টিরোল ফাইটার
- J-35 স্টেলথ ফাইটার
- KJ-600 প্রারম্ভিক সতর্কীকরণ বিমান
এসব বিমান রণতরীটির যুদ্ধক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ফুজিয়ানের যোগদান চীনের সামুদ্রিক সামরিক শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। উন্নত ক্যাটাপল্ট প্রযুক্তি ও শক্তিশালী বিমানবহরসহ এই রণতরী ভবিষ্যতের যুদ্ধক্ষেত্রে চীনের সক্ষমতাকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
#t চীন, #ফুজিয়ান_রণতরী,# সামরিক_শক্তি,# নৌবাহিনী, প্রযুক্তি
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















