০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
রান্নাঘর বাজার: পেঁয়াজের দাম ১১৫, ইলিশ এখনও নাগালের বাইরে ভারত চীন সীমান্তের কাছে নতুন সামরিক ঘাঁটি উদ্বোধন: কৌশলগত সক্ষমতা আরও জোরদার আগে গণভোট, ছাড়া সংসদ নির্বাচনে যাবে না জামায়াত উমর নাবির শেষ দিনের রহস্য: তদন্তে উঠে আসছে নতুন নতুন সূত্র মালয়েশিয়ার পাম অয়েল এত বেশি কেন ব্যবহার হয়? ইসলামাবাদে আত্মঘাতী হামলার পর চরম সতর্কতা—নিরাপত্তা ঘিরে আতঙ্কে নাগরিকরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না: যুক্তরাজ্যকে জানালেন অধ্যাপক ইউনূস আফগানিস্তানে ভয়াবহ মানবিক সংকট—ক্ষুধা, ঋণ ও সেবাবঞ্চনায় বিপর্যস্ত ৯০% পরিবার পূর্ব আফ্রিকার মানুষের ক্ষমতায়নে  অবদানের জন্য  সুলতানের মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ায়, দেশে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০২৫ পালিত

ক্লাউড নির্ভরতা কমিয়ে নতুন স্মার্টথিংস হাবে স্যামসাংয়ের লোকাল বাজি

ম্যাটার–থ্রেডে ‘এক হাবে’ সব ডিভাইস

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রজন্মের স্মার্টথিংস হাব বাজারে এনেছে স্যামসাং, যার মূল লক্ষ্য—স্মার্টহোম অটোমেশনকে যতটা সম্ভব ক্লাউড থেকে সরিয়ে ঘরের ভেতরেই চালানো। এওটেক নির্মিত স্মার্ট হোম হাব ২ মডেলটি আকারে ছোট হলেও ভেতরে বসানো হয়েছে এমন চিপ ও মেমোরি, যা দিয়ে আগে ক্লাউডে যাওয়া অনেক কমান্ড এখন সরাসরি হাবে প্রক্রিয়াজাত হবে। ফলে ওয়াইফাই বন্ধ থাকলেও দরজা খুললে লাইট জ্বলে ওঠা, হলওয়ে সেন্সর নড়াচড়া টের পেলে আলো জ্বলে ওঠার মতো কাজগুলো চলতে থাকবে বলে দাবি কোম্পানির। ব্লুটুথ লো এনার্জি, জিগবি ও থ্রেড—এই তিন ধরনের রেডিও সমর্থনের ফলে নানা ব্র্যান্ডের লাইট, লক, প্লাগ, থার্মোস্ট্যাট ও সেন্সরকে এক প্ল্যাটফর্মে টেনে আনা সম্ভব হচ্ছে।

নতুন হাবটি একই সঙ্গে ম্যাটার কন্ট্রোলার ও থ্রেড বর্ডার রাউটার হিসেবে কাজ করবে, অর্থাৎ অ্যাপল, গুগল, অ্যামাজনসহ বড় প্রযুক্তি কোম্পানির সমর্থিত ওপেন স্ট্যান্ডার্ড ম্যাটার–ভিত্তিক ডিভাইসগুলোও এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পুরোনো জিগবি ডিভাইস আর নতুন ম্যাটার–ওভার–থ্রেড গ্যাজেটের মধ্যে ‘দোভাষী’ হিসেবে কাজ করবে হাবটি; সবকিছুর ওপর ছাতা হয়ে থাকবে স্মার্টথিংস অ্যাপের সিন ও রুটিন। তবে এ সংস্করণ থেকে জেড–ওয়েভ বাদ দেওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ হিসেবে স্যামসাং মূলত ম্যাটার আর থ্রেডকেই ধরে এগোচ্ছে। অনেক পুরোনো ডিভাইসের মালিক হয়তো এতে হতাশ হবেন, কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য স্পেসিফিকেশন বোঝা কিছুটা সহজ হয়েছে।

টিভি–ফ্রিজ–ফোন জুড়ে এক ইকোসিস্টেমের লড়াই

স্মার্টহোম বাজার এখন এমন এক সময়ে পৌঁছেছে, যখন গুগল নেস্ট, অ্যামাজন ইকো আর অ্যাপল হোমপড—তিন প্ল্যাটফর্মই নিজেদের ইকোসিস্টেমে ব্যবহারকারীকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। স্যামসাং সেখানে যুক্ত করছে বাড়তি এক তাস—স্মার্টথিংস ইতিমধ্যে টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে গ্যালাক্সি ফোন ও ট্যাবলেট পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। ফলে নতুন হাবটি রাউটারের পাশে চুপচাপ বসে থাকলেও বসার ঘরের টিভির পর্দা, স্মার্টওয়াচ কিংবা ফোন থেকেই ব্যবহারকারী সব ডিভাইস দেখে নিতে পারছেন; দরজার সেন্সর ঠিক আছে কিনা, কতটা বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, কোন রুমের লাইট অন আছে—সবকিছু এক ড্যাশবোর্ডে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ক্লাউডের ওপর নির্ভরতা কমালে দুই দিক থেকে লাভ হতে পারে—একদিকে বাড়তি ল্যাটেন্সি কমে প্রতিক্রিয়া দ্রুত হয়, অন্যদিকে ঘরের বাইরে কম ডেটা যাওয়ায় গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগও কিছুটা কমে। যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রেতারা ইতোমধ্যে প্রিমিয়াম স্যামসাং টিভি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সঙ্গে হাবটি বান্ডলে দিচ্ছে, আশা করছে ক্রেতারা পরে ধীরে ধীরে সেন্সর, প্লাগ ও স্মার্ট সুইচ যোগ করবেন। স্যামসাংয়ের কাছে এই হাব মূল ব্যবসা নয়; বরং এটি স্মার্টথিংস–ইকোসিস্টেমে গ্রাহক ধরে রাখার নতুন দরজা, যেখানে ভবিষ্যতে জুড়ে দেওয়া যাবে এনার্জি মনিটরিং, সিকিউরিটি সাবস্ক্রিপশন ও বিভিন্ন প্রিমিয়াম অটোমেশন সার্ভিস। সবশেষে প্রশ্নটা দাঁড়াবে এক জায়গায়—বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ম্যাটার ডিভাইস কত দ্রুত বাস্তবে ‘সimply works’ অভিজ্ঞতা দিতে পারে, আর সেই অভিজ্ঞতা সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে সত্যিই আপগ্রেড মনে হয় কিনা।

জনপ্রিয় সংবাদ

রান্নাঘর বাজার: পেঁয়াজের দাম ১১৫, ইলিশ এখনও নাগালের বাইরে

ক্লাউড নির্ভরতা কমিয়ে নতুন স্মার্টথিংস হাবে স্যামসাংয়ের লোকাল বাজি

০৫:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

ম্যাটার–থ্রেডে ‘এক হাবে’ সব ডিভাইস

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রজন্মের স্মার্টথিংস হাব বাজারে এনেছে স্যামসাং, যার মূল লক্ষ্য—স্মার্টহোম অটোমেশনকে যতটা সম্ভব ক্লাউড থেকে সরিয়ে ঘরের ভেতরেই চালানো। এওটেক নির্মিত স্মার্ট হোম হাব ২ মডেলটি আকারে ছোট হলেও ভেতরে বসানো হয়েছে এমন চিপ ও মেমোরি, যা দিয়ে আগে ক্লাউডে যাওয়া অনেক কমান্ড এখন সরাসরি হাবে প্রক্রিয়াজাত হবে। ফলে ওয়াইফাই বন্ধ থাকলেও দরজা খুললে লাইট জ্বলে ওঠা, হলওয়ে সেন্সর নড়াচড়া টের পেলে আলো জ্বলে ওঠার মতো কাজগুলো চলতে থাকবে বলে দাবি কোম্পানির। ব্লুটুথ লো এনার্জি, জিগবি ও থ্রেড—এই তিন ধরনের রেডিও সমর্থনের ফলে নানা ব্র্যান্ডের লাইট, লক, প্লাগ, থার্মোস্ট্যাট ও সেন্সরকে এক প্ল্যাটফর্মে টেনে আনা সম্ভব হচ্ছে।

নতুন হাবটি একই সঙ্গে ম্যাটার কন্ট্রোলার ও থ্রেড বর্ডার রাউটার হিসেবে কাজ করবে, অর্থাৎ অ্যাপল, গুগল, অ্যামাজনসহ বড় প্রযুক্তি কোম্পানির সমর্থিত ওপেন স্ট্যান্ডার্ড ম্যাটার–ভিত্তিক ডিভাইসগুলোও এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। পুরোনো জিগবি ডিভাইস আর নতুন ম্যাটার–ওভার–থ্রেড গ্যাজেটের মধ্যে ‘দোভাষী’ হিসেবে কাজ করবে হাবটি; সবকিছুর ওপর ছাতা হয়ে থাকবে স্মার্টথিংস অ্যাপের সিন ও রুটিন। তবে এ সংস্করণ থেকে জেড–ওয়েভ বাদ দেওয়ায় বোঝা যাচ্ছে, ভবিষ্যৎ হিসেবে স্যামসাং মূলত ম্যাটার আর থ্রেডকেই ধরে এগোচ্ছে। অনেক পুরোনো ডিভাইসের মালিক হয়তো এতে হতাশ হবেন, কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য স্পেসিফিকেশন বোঝা কিছুটা সহজ হয়েছে।

টিভি–ফ্রিজ–ফোন জুড়ে এক ইকোসিস্টেমের লড়াই

স্মার্টহোম বাজার এখন এমন এক সময়ে পৌঁছেছে, যখন গুগল নেস্ট, অ্যামাজন ইকো আর অ্যাপল হোমপড—তিন প্ল্যাটফর্মই নিজেদের ইকোসিস্টেমে ব্যবহারকারীকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। স্যামসাং সেখানে যুক্ত করছে বাড়তি এক তাস—স্মার্টথিংস ইতিমধ্যে টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে গ্যালাক্সি ফোন ও ট্যাবলেট পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। ফলে নতুন হাবটি রাউটারের পাশে চুপচাপ বসে থাকলেও বসার ঘরের টিভির পর্দা, স্মার্টওয়াচ কিংবা ফোন থেকেই ব্যবহারকারী সব ডিভাইস দেখে নিতে পারছেন; দরজার সেন্সর ঠিক আছে কিনা, কতটা বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, কোন রুমের লাইট অন আছে—সবকিছু এক ড্যাশবোর্ডে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ক্লাউডের ওপর নির্ভরতা কমালে দুই দিক থেকে লাভ হতে পারে—একদিকে বাড়তি ল্যাটেন্সি কমে প্রতিক্রিয়া দ্রুত হয়, অন্যদিকে ঘরের বাইরে কম ডেটা যাওয়ায় গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগও কিছুটা কমে। যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রেতারা ইতোমধ্যে প্রিমিয়াম স্যামসাং টিভি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সঙ্গে হাবটি বান্ডলে দিচ্ছে, আশা করছে ক্রেতারা পরে ধীরে ধীরে সেন্সর, প্লাগ ও স্মার্ট সুইচ যোগ করবেন। স্যামসাংয়ের কাছে এই হাব মূল ব্যবসা নয়; বরং এটি স্মার্টথিংস–ইকোসিস্টেমে গ্রাহক ধরে রাখার নতুন দরজা, যেখানে ভবিষ্যতে জুড়ে দেওয়া যাবে এনার্জি মনিটরিং, সিকিউরিটি সাবস্ক্রিপশন ও বিভিন্ন প্রিমিয়াম অটোমেশন সার্ভিস। সবশেষে প্রশ্নটা দাঁড়াবে এক জায়গায়—বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ম্যাটার ডিভাইস কত দ্রুত বাস্তবে ‘সimply works’ অভিজ্ঞতা দিতে পারে, আর সেই অভিজ্ঞতা সাধারণ ব্যবহারকারীর কাছে সত্যিই আপগ্রেড মনে হয় কিনা।