০৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে ইস্পোর্টসের উত্থান: গেমার তরুণরা গড়ছে নতুন ক্যারিয়ার প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন যে পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে? স্ট্রেঞ্জার থিংস ৫ ইভেন্টে ফটোগ্রাফারকে ‘ইউ স্মাইল’—মিলি ববি ব্রাউনের এক ঝটকা জবাব ভাইরাল অনলাইন স্ক্যাম এখন ডকুমেন্টারির গল্প নয়—রোলিং স্টোন জানালো ঠকবে কি না, বুঝবেন কীভাবে কানাডা–মার্কিন সীমান্তে আরও তেল নিয়ে যেতে এনারব্রিজের ১.৪ বিলিয়ন ডলারের নতুন পরিকল্পনা মাইক্রোসফটকে বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ওপেনএআই—ফাঁস হওয়া তথ্য জানাল এআই দৌড়ের আসল খরচ অপরাধ আর অভিবাসন ইস্যুতে ডান দিকে সরে যাচ্ছে চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছুটির দিনেও বিষাক্ত বাতাসে ঢাকা, রাজধানীবাসীর ‘স্বাভাবিক’ হয়ে যাওয়া অস্বস্তি এভরিওয়ান’স আ স্টার!’–এ বয়ব্যান্ড তকমা উল্টে দিল ৫ সেকেন্ডস অব সামার

পুরোনো ডিএমের বদলে এনক্রিপ্টেড ‘চ্যাট’ চালু করল এক্স

নতুন ইনবক্স, কল ও নিরাপদ বার্তা

এক্স নাম নিয়ে টুইটার বদলে যাওয়ার পর প্ল্যাটফর্মে নীরবে বড় পরিবর্তন ছিল ব্যক্তিগত বার্তা ব্যবস্থায়। এবার সেই জায়গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আসছে নতুন ‘চ্যাট’ ফিচার, যা ধীরে ধীরে পুরোনো ডাইরেক্ট মেসেজ বা ডিএমকে পুরোপুরি সরিয়ে দেবে। এক্স বলছে, এক–টু–ওয়ান চ্যাটে ডিফল্টভাবে এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশন থাকবে, ফলে বার্তার ভেতরের অংশ কেবল প্রেরক ও প্রাপকই দেখতে পারবেন। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভয়েস ও ভিডিও কল, ফাইল শেয়ারিং, ছবি পাঠানো এবং নির্দিষ্ট সময় পর নিজে থেকেই মুছে যাওয়া বার্তার মতো সুবিধা।

নতুন ইন্টারফেসে চ্যাট অপশনকে টাইমলাইনের সমান্তরালে তুলে আনা হয়েছে, যেন ব্যবহারকারীরা পোস্ট আর ব্যক্তিগত কথোপকথনের মাঝে দ্রুত যাতায়াত করতে পারে। এনক্রিপ্টেড থ্রেড তৈরি, রিড রিসিপ্ট দেখা, পুরোনো ডিএম থেকে আলাদা করে নতুন চ্যাট থ্রেডে যাওয়া—সবকিছু এক ইনবক্সে সাজানো। বড় আকারের গ্রুপ চ্যাট ও কিছু উন্নত ফিচার ধাপে ধাপে যুক্ত হবে বলে জানাচ্ছে এক্স। প্ল্যাটফর্মটি নিজের ভাষায় এটিকে ‘আরও নিরাপদ ও আধুনিক’ বার্তা–ব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরছে।

তবে সমালোচকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কেবল প্রযুক্তিগত এনক্রিপশনই সব সমস্যার সমাধান নয়। এক্স সম্প্রতি নিরাপত্তা ও কনটেন্ট মডারেশন টিমে একের পর এক ছাঁটাই করেছে, যার ফলে ভরসার জায়গা নড়বড়ে হয়ে গেছে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে। ডিজিটাল অধিকারকর্মীরা বলছেন, বার্তার কন্টেন্ট এনক্রিপ্টেড হলেও মেটাডেটা—কাকে কখন বার্তা পাঠানো হচ্ছে, কীভাবে লগ রাখা হচ্ছে—এসব তথ্য এখনো ঝুঁকিতে থাকতে পারে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে কতটা ডেটা শেয়ার করা হবে, সে প্রশ্নও রয়েই গেছে।

সব মিলিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া এখনো মিশ্র। অনেকে খুশি হচ্ছেন, কারণ আলাদা কোনো অ্যাপ না খুলেও ভিডিও কল থেকে শুরু করে নথি আদান–প্রদান, সবকিছু এক জায়গায় করা যাবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, টানা পরিবর্তনের মধ্যে থাকা প্ল্যাটফর্মে নতুন ফিচার মানে আরও অনিশ্চয়তা। গত কয়েক বছরে নাম বদল, অ্যালগরিদম ও ভেরিফিকেশন নীতির ঘনঘন পরিবর্তনে তাদের আস্থা আগেই নড়া দিয়েছে।

ইন্দো–প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে, যেখানে সাংবাদিক ও কর্মীরা এক্সে খবর ছড়ানোর পাশাপাশি সংগঠিতও হন, সেখানে এনক্রিপ্টেড চ্যাট নতুন সুযোগের দরজা খুলতে পারে। একই অ্যাপের ভেতরে প্রকাশ্য থ্রেড আর নিরাপদ ব্যক্তিগত বার্তা মিলিয়ে কাজ চালানো তাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। তবে মালিকানা ও নীতি পরিবর্তনের নজির দেখে অনেকে সতর্ক—কোনো সিদ্ধান্ত এক রাতে বদলে গেলে সেই নিরাপত্তা ভেঙে পড়তেও সময় লাগবে না।

বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মানুষ একাধিক মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে। সেখানে এক্সের চ্যাট ফিচার টিকে থাকতে চাইলে বাড়তি কিছু মূল্য যোগ করতে হবে। লাইভ স্পেসেস, ভিডিও ও দীর্ঘ পোস্টের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত চ্যাট অপশন সেই বাড়তি আকর্ষণ জোগাতে পারে। সবশেষে, এনক্রিপশন কতটা নির্ভরযোগ্য, কলের মান কেমন এবং প্ল্যাটফর্ম কতটা স্বচ্ছ থাকে—এসবই ঠিক করবে, এক্সের নতুন চ্যাট সত্যিকারের দৈনন্দিন অভ্যাস হয়ে উঠবে কি না।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে ইস্পোর্টসের উত্থান: গেমার তরুণরা গড়ছে নতুন ক্যারিয়ার

পুরোনো ডিএমের বদলে এনক্রিপ্টেড ‘চ্যাট’ চালু করল এক্স

০৩:০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

নতুন ইনবক্স, কল ও নিরাপদ বার্তা

এক্স নাম নিয়ে টুইটার বদলে যাওয়ার পর প্ল্যাটফর্মে নীরবে বড় পরিবর্তন ছিল ব্যক্তিগত বার্তা ব্যবস্থায়। এবার সেই জায়গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আসছে নতুন ‘চ্যাট’ ফিচার, যা ধীরে ধীরে পুরোনো ডাইরেক্ট মেসেজ বা ডিএমকে পুরোপুরি সরিয়ে দেবে। এক্স বলছে, এক–টু–ওয়ান চ্যাটে ডিফল্টভাবে এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশন থাকবে, ফলে বার্তার ভেতরের অংশ কেবল প্রেরক ও প্রাপকই দেখতে পারবেন। একই সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভয়েস ও ভিডিও কল, ফাইল শেয়ারিং, ছবি পাঠানো এবং নির্দিষ্ট সময় পর নিজে থেকেই মুছে যাওয়া বার্তার মতো সুবিধা।

নতুন ইন্টারফেসে চ্যাট অপশনকে টাইমলাইনের সমান্তরালে তুলে আনা হয়েছে, যেন ব্যবহারকারীরা পোস্ট আর ব্যক্তিগত কথোপকথনের মাঝে দ্রুত যাতায়াত করতে পারে। এনক্রিপ্টেড থ্রেড তৈরি, রিড রিসিপ্ট দেখা, পুরোনো ডিএম থেকে আলাদা করে নতুন চ্যাট থ্রেডে যাওয়া—সবকিছু এক ইনবক্সে সাজানো। বড় আকারের গ্রুপ চ্যাট ও কিছু উন্নত ফিচার ধাপে ধাপে যুক্ত হবে বলে জানাচ্ছে এক্স। প্ল্যাটফর্মটি নিজের ভাষায় এটিকে ‘আরও নিরাপদ ও আধুনিক’ বার্তা–ব্যবস্থা হিসেবে তুলে ধরছে।

তবে সমালোচকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কেবল প্রযুক্তিগত এনক্রিপশনই সব সমস্যার সমাধান নয়। এক্স সম্প্রতি নিরাপত্তা ও কনটেন্ট মডারেশন টিমে একের পর এক ছাঁটাই করেছে, যার ফলে ভরসার জায়গা নড়বড়ে হয়ে গেছে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে। ডিজিটাল অধিকারকর্মীরা বলছেন, বার্তার কন্টেন্ট এনক্রিপ্টেড হলেও মেটাডেটা—কাকে কখন বার্তা পাঠানো হচ্ছে, কীভাবে লগ রাখা হচ্ছে—এসব তথ্য এখনো ঝুঁকিতে থাকতে পারে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুরোধে কতটা ডেটা শেয়ার করা হবে, সে প্রশ্নও রয়েই গেছে।

সব মিলিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া এখনো মিশ্র। অনেকে খুশি হচ্ছেন, কারণ আলাদা কোনো অ্যাপ না খুলেও ভিডিও কল থেকে শুরু করে নথি আদান–প্রদান, সবকিছু এক জায়গায় করা যাবে। আবার কেউ কেউ বলছেন, টানা পরিবর্তনের মধ্যে থাকা প্ল্যাটফর্মে নতুন ফিচার মানে আরও অনিশ্চয়তা। গত কয়েক বছরে নাম বদল, অ্যালগরিদম ও ভেরিফিকেশন নীতির ঘনঘন পরিবর্তনে তাদের আস্থা আগেই নড়া দিয়েছে।

ইন্দো–প্যাসিফিক ও দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে, যেখানে সাংবাদিক ও কর্মীরা এক্সে খবর ছড়ানোর পাশাপাশি সংগঠিতও হন, সেখানে এনক্রিপ্টেড চ্যাট নতুন সুযোগের দরজা খুলতে পারে। একই অ্যাপের ভেতরে প্রকাশ্য থ্রেড আর নিরাপদ ব্যক্তিগত বার্তা মিলিয়ে কাজ চালানো তাদের জন্য সুবিধাজনক হতে পারে। তবে মালিকানা ও নীতি পরিবর্তনের নজির দেখে অনেকে সতর্ক—কোনো সিদ্ধান্ত এক রাতে বদলে গেলে সেই নিরাপত্তা ভেঙে পড়তেও সময় লাগবে না।

বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মানুষ একাধিক মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে। সেখানে এক্সের চ্যাট ফিচার টিকে থাকতে চাইলে বাড়তি কিছু মূল্য যোগ করতে হবে। লাইভ স্পেসেস, ভিডিও ও দীর্ঘ পোস্টের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত চ্যাট অপশন সেই বাড়তি আকর্ষণ জোগাতে পারে। সবশেষে, এনক্রিপশন কতটা নির্ভরযোগ্য, কলের মান কেমন এবং প্ল্যাটফর্ম কতটা স্বচ্ছ থাকে—এসবই ঠিক করবে, এক্সের নতুন চ্যাট সত্যিকারের দৈনন্দিন অভ্যাস হয়ে উঠবে কি না।