০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
নদী ভাঙনে বদলে যাচ্ছে উত্তরবাংলার জীবন: মাটি, ঘর আর স্বপ্ন একসঙ্গে হারাচ্ছে মানুষ বাংলাদেশে ইস্পোর্টসের উত্থান: গেমার তরুণরা গড়ছে নতুন ক্যারিয়ার প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন যে পদ্ধতিতে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ভারত কেন সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে? স্ট্রেঞ্জার থিংস ৫ ইভেন্টে ফটোগ্রাফারকে ‘ইউ স্মাইল’—মিলি ববি ব্রাউনের এক ঝটকা জবাব ভাইরাল অনলাইন স্ক্যাম এখন ডকুমেন্টারির গল্প নয়—রোলিং স্টোন জানালো ঠকবে কি না, বুঝবেন কীভাবে কানাডা–মার্কিন সীমান্তে আরও তেল নিয়ে যেতে এনারব্রিজের ১.৪ বিলিয়ন ডলারের নতুন পরিকল্পনা মাইক্রোসফটকে বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ওপেনএআই—ফাঁস হওয়া তথ্য জানাল এআই দৌড়ের আসল খরচ অপরাধ আর অভিবাসন ইস্যুতে ডান দিকে সরে যাচ্ছে চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ছুটির দিনেও বিষাক্ত বাতাসে ঢাকা, রাজধানীবাসীর ‘স্বাভাবিক’ হয়ে যাওয়া অস্বস্তি

ইইউ আইনের চাপে ইউরোপে হোয়াটসঅ্যাপে তৃতীয় পক্ষের চ্যাট আসছে

ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট ও নতুন ইন্টারঅপারেবিলিটি
মেটা ঘোষণা করেছে, ইউরোপের ব্যবহারকারীদের জন্য শিগগিরই হোয়াটসঅ্যাপে তৃতীয় পক্ষের চ্যাট ইন্টিগ্রেশন চালু করা হবে। এর ফলে নির্দিষ্ট সেটিংস চালু করা ব্যবহারকারীরা অন্য প্ল্যাটফর্মে থাকা যোগাযোগদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই বার্তা, ছবি, ভিডিও, ভয়েস নোট ও ফাইল আদান–প্রদান করতে পারবেন। পদক্ষেপটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট–এর (ডিএমএ) শর্ত মানার অংশ, যা বড় প্রযুক্তি কোম্পানির একচেটিয়া ক্ষমতা কমিয়ে ব্যবহারকারীদের জন্য বিকল্প বাড়াতে চায়। প্রথম ধাপে বার্ডিচ্যাট ও হাইকেটের মতো অংশীদার অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে মেটা জানিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী এই ইন্টিগ্রেশন সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী; ব্যবহারকারী চাইলে সুবিধাটি চালু বা বন্ধ করতে পারবেন। তৃতীয় পক্ষের সব চ্যাটকে মূল হোয়াটসঅ্যাপ আলাপচারিতা থেকে আলাদা করে রাখা হবে, যাতে ব্যবহারকারী সহজে বুঝতে পারেন কোন বার্তা সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ নেটওয়ার্কে চলছে, আর কোনটি বাহ্যিক অংশীদারের মাধ্যমে যাচ্ছে। মেটা বলছে, পার্টনার সব অ্যাপকে হোয়াটসঅ্যাপের সমমানের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন মানতে হবে, যাতে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা দুর্বল না হয়।

প্রতিযোগিতা বাড়বে, বাড়বে ঝুঁকিও
এই পরিবর্তন ইউরোপের মেসেজিং বাজারে নতুন প্রতিযোগিতার সুযোগ খুলে দিতে পারে। ছোট বা বিশেষায়িত প্ল্যাটফর্মগুলো এখন ব্যবহারকারীকে পুরো পরিবেশ বদলাতে না বলে নির্দিষ্ট সুবিধা—যেমন গেমিং, কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট বা নিরাপদ টিম চ্যাট—দেখিয়ে আকৃষ্ট করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা আবার হোয়াটসঅ্যাপে থাকলেও সেই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্ট সেবা নিতে পারবেন। তবে এর সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকিও। কোনো অংশীদার অ্যাপ তথ্য ফাঁস বা নিরাপত্তা ত্রুটির শিকার হলে, ব্যবহারকারীরা দায় প্রশ্নে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেটার দিকেই তাকাতে পারেন।

ডিজিটাল নীতিনির্ধারক ও ভোক্তা-অধিকার কর্মীরা এখন নজর রাখবেন, কত দ্রুত নতুন অ্যাপ যুক্ত হয়, শর্তাবলি কতটা স্বচ্ছ, আর ইন্টিগ্রেশন কি কেবল কয়েকটি নির্বাচিত অংশীদারেই সীমিত থাকে, নাকি বাস্তবেই উন্মুক্ত হয়। আপাতত সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি সীমিত পরিসরের এক পরীক্ষা—একটি–দুটি অ্যাপের সঙ্গে এক–টু–ওয়ান চ্যাট। ভবিষ্যতে যদি সব পক্ষ মানসম্মত প্রোটোকল ও নিরাপত্তা নিয়ে একমত হতে পারে, তবে গ্রুপ চ্যাট, মাল্টিমিডিয়া ফিচার ও নতুন ক্রস-অ্যাপ অভিজ্ঞতাও যোগ হতে পারে। ইউরোপের কঠোর ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভেতর হোয়াটসঅ্যাপের এই পদক্ষেপ তাই শুধু একটি নতুন ফিচার নয়; বরং বড় প্ল্যাটফর্মগুলোর ভবিষ্যৎ রূপ কেমন হতে পারে, তারও ইঙ্গিত।

জনপ্রিয় সংবাদ

নদী ভাঙনে বদলে যাচ্ছে উত্তরবাংলার জীবন: মাটি, ঘর আর স্বপ্ন একসঙ্গে হারাচ্ছে মানুষ

ইইউ আইনের চাপে ইউরোপে হোয়াটসঅ্যাপে তৃতীয় পক্ষের চ্যাট আসছে

০৩:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট ও নতুন ইন্টারঅপারেবিলিটি
মেটা ঘোষণা করেছে, ইউরোপের ব্যবহারকারীদের জন্য শিগগিরই হোয়াটসঅ্যাপে তৃতীয় পক্ষের চ্যাট ইন্টিগ্রেশন চালু করা হবে। এর ফলে নির্দিষ্ট সেটিংস চালু করা ব্যবহারকারীরা অন্য প্ল্যাটফর্মে থাকা যোগাযোগদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই বার্তা, ছবি, ভিডিও, ভয়েস নোট ও ফাইল আদান–প্রদান করতে পারবেন। পদক্ষেপটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট–এর (ডিএমএ) শর্ত মানার অংশ, যা বড় প্রযুক্তি কোম্পানির একচেটিয়া ক্ষমতা কমিয়ে ব্যবহারকারীদের জন্য বিকল্প বাড়াতে চায়। প্রথম ধাপে বার্ডিচ্যাট ও হাইকেটের মতো অংশীদার অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে মেটা জানিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী এই ইন্টিগ্রেশন সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী; ব্যবহারকারী চাইলে সুবিধাটি চালু বা বন্ধ করতে পারবেন। তৃতীয় পক্ষের সব চ্যাটকে মূল হোয়াটসঅ্যাপ আলাপচারিতা থেকে আলাদা করে রাখা হবে, যাতে ব্যবহারকারী সহজে বুঝতে পারেন কোন বার্তা সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ নেটওয়ার্কে চলছে, আর কোনটি বাহ্যিক অংশীদারের মাধ্যমে যাচ্ছে। মেটা বলছে, পার্টনার সব অ্যাপকে হোয়াটসঅ্যাপের সমমানের এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন মানতে হবে, যাতে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা দুর্বল না হয়।

প্রতিযোগিতা বাড়বে, বাড়বে ঝুঁকিও
এই পরিবর্তন ইউরোপের মেসেজিং বাজারে নতুন প্রতিযোগিতার সুযোগ খুলে দিতে পারে। ছোট বা বিশেষায়িত প্ল্যাটফর্মগুলো এখন ব্যবহারকারীকে পুরো পরিবেশ বদলাতে না বলে নির্দিষ্ট সুবিধা—যেমন গেমিং, কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট বা নিরাপদ টিম চ্যাট—দেখিয়ে আকৃষ্ট করতে পারবে। ব্যবহারকারীরা আবার হোয়াটসঅ্যাপে থাকলেও সেই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্দিষ্ট সেবা নিতে পারবেন। তবে এর সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকিও। কোনো অংশীদার অ্যাপ তথ্য ফাঁস বা নিরাপত্তা ত্রুটির শিকার হলে, ব্যবহারকারীরা দায় প্রশ্নে হোয়াটসঅ্যাপ ও মেটার দিকেই তাকাতে পারেন।

ডিজিটাল নীতিনির্ধারক ও ভোক্তা-অধিকার কর্মীরা এখন নজর রাখবেন, কত দ্রুত নতুন অ্যাপ যুক্ত হয়, শর্তাবলি কতটা স্বচ্ছ, আর ইন্টিগ্রেশন কি কেবল কয়েকটি নির্বাচিত অংশীদারেই সীমিত থাকে, নাকি বাস্তবেই উন্মুক্ত হয়। আপাতত সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি সীমিত পরিসরের এক পরীক্ষা—একটি–দুটি অ্যাপের সঙ্গে এক–টু–ওয়ান চ্যাট। ভবিষ্যতে যদি সব পক্ষ মানসম্মত প্রোটোকল ও নিরাপত্তা নিয়ে একমত হতে পারে, তবে গ্রুপ চ্যাট, মাল্টিমিডিয়া ফিচার ও নতুন ক্রস-অ্যাপ অভিজ্ঞতাও যোগ হতে পারে। ইউরোপের কঠোর ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণের ভেতর হোয়াটসঅ্যাপের এই পদক্ষেপ তাই শুধু একটি নতুন ফিচার নয়; বরং বড় প্ল্যাটফর্মগুলোর ভবিষ্যৎ রূপ কেমন হতে পারে, তারও ইঙ্গিত।