০২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত এক পথচারী গাজীপুরে আবার গ্রামীণ ব্যাংকে হামলা — এক সপ্তাহে ৫ জেলার ৬টি শাখায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা ফ্লোরিডায় শিক্ষায় র‍্যাডিক্যাল পরীক্ষা কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা মধ্যরাতে নোয়াখালীতে টায়ার জ্বালিয়ে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন ময়মনসিংহে কভার্ড ভ্যানে আগুন ভারতের উন্নয়নের দুই উদীয়মান রাজ্য দিল্লিতে বোমা বিস্ফোরণ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সন্ত্রাসী অস্থিরতা দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনীতি: বাস্তববাদে নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের উত্থান

গাজা পুনর্গঠন কীভাবে সম্ভব?

গাজায় এক মাস ধরে যুদ্ধবিরতি চলছে, কিন্তু পুনর্গঠনের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধের পর ২০ লাখ মানুষের এই অঞ্চলটি এখনো ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ফলে গাজাবাসীর মনে আশঙ্কা—তাদের এই দুর্দশা কি চিরস্থায়ী হয়ে যাবে? মধ্যপ্রাচ্যে অস্থায়ী বিষয়গুলো স্থায়ী হয়ে যাওয়ার বহু উদাহরণ রয়েছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখল অর্ধশতক পেরিয়েছে, আর পাঁচ বছরের জন্য গঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন ৩০ বছরে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে গাজায় পরিস্থিতি স্থবির হয়ে আছে।


গাজায় পুনর্গঠন শুরু না হওয়ার কারণ

গাজায় একটি আরব-সমর্থিত পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে, কিন্তু হামাস নিরস্ত্র না হলে সেই পরিকল্পনা শুরু হবে না। হামাস এটি মানতে অস্বীকৃতি জানানোয় পুনর্গঠন কার্যত থেমে আছে। কিছু মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তা বিকল্প ধারণা তুলে ধরছেন—গাজার যে অংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সেই সীমান্ত-সংলগ্ন “ইয়েলো লাইন”-এর ওপারে নতুন শহর গড়ে তোলার প্রস্তাব। কিন্তু এই অঞ্চলে খুব কম ফিলিস্তিনি থাকেন এবং আরব দেশগুলো দৃঢ়ভাবে এই পরিকল্পনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এতে গাজার স্থায়ী বিভক্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা অঞ্চলের দেশগুলো অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে।


গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসের চিত্র

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আগস্ট পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ২০১৪ সালের যুদ্ধের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি। প্রায় ১২ লাখ মানুষ গৃহহীন এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর পরও মাত্র ২০ হাজারের কম তাবু গাজায় ঢুকতে পেরেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রায় সবকিছুই ধ্বংস—মোট ব্যবসার ৮৫% অকেজো, কৃষিজমির ৯০% ক্ষতিগ্রস্ত এবং গাজার আবাদযোগ্য জমির দুই-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় পড়ে গেছে। এছাড়া রাস্তার ৭৭% ভেঙে গেছে। এত ব্যাপক ক্ষতির ফলে পুনর্গঠন অনিশ্চয়তায় রয়ে গেছে।


মিসরের নেতৃত্বে পুনর্গঠনের ধাপভিত্তিক পরিকল্পনা

আরব দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক সমর্থন পেয়েছে মিসরের প্রস্তাবিত পুনর্গঠন পরিকল্পনা, যেখানে কয়েকটি ধাপ উল্লেখ রয়েছে। প্রথম ধাপে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আনুমানিক ৬ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ অপসারণের কথা বলা হয়েছে। এসব ধ্বংসাবশেষ দিয়ে নতুন অবকাঠামো গড়ে তুলতে জমি পুনরুদ্ধারের ধারণাও রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে চার বছর ছয় মাসের পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৌশলীরা মনে করেন, ধ্বংসস্তূপ সরাতে ছয় মাস নয় বরং ছয় বছর লেগে যাবে। এছাড়া পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ রাফাহ সীমান্ত দিয়ে আনতে হবে, যেখানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বড় বাধা হয়ে আছে।


অর্থনৈতিক বাধা এবং আন্তর্জাতিক অনীহা

পুনর্গঠন পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থের অভাব। মিসর মোট ব্যয় হিসাব করেছে ৫৩ বিলিয়ন ডলার, আর জাতিসংঘ বলছে প্রয়োজন হবে ৭০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বড় দাতারা জানিয়েছেন—হামাস নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত তারা অর্থ দেবে না। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুসারে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা, কিন্তু আরব দেশগুলো কেউই এই বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিকল্পনাকে অস্পষ্ট বলছে, সৌদি আরব এবং জর্ডান উভয়েই সৈন্য পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অন্য দেশগুলোও এখনো কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।


ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নতুন শহর গড়ার ধারণা

রাফাহর কাছাকাছি ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নতুন শহর নির্মাণের প্রস্তাব উঠেছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার মতো মডুলার শহর গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই পরিকল্পনা অতীতের ব্যর্থ উদ্যোগগুলোর মতোই সন্দেহ তৈরি করছে। আফগানিস্তান ও ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা বলে, এমন প্রকল্প সাধারণত সফল হয় না। ফিলিস্তিনিরা এই এলাকায় যেতে কতটা রাজি হবেন, ইসরায়েল তাদের চলাচলে কতটা স্বাধীনতা দেবে—এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো অনিশ্চিত। আরব দেশগুলো এটিকে গাজার স্থায়ী বিভাজন বলেই মনে করছে এবং কোনো গালফ দেশই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায়নি।


বর্তমান বাস্তবতা: সীমিত সহায়তাই একমাত্র পথ

পুনর্গঠনের বড় পরিকল্পনা আটকে থাকায় বর্তমানে লক্ষ্য হলো ন্যূনতম মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা। সংযুক্ত আরব আমিরাত দক্ষিণ গাজায় প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে, যা মিসরে থাকা একটি প্ল্যান্ট থেকে পাইপলাইনে আসছে। কূটনীতিকরা ইসরায়েলকে গাজায় আরও অস্থায়ী আশ্রয় ঢুকতে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এদিকে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন “ইয়েলো লাইন”-এর পাশে ১৬টি সাহায্যকেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু হামাস নিরস্ত্র না হলে বড় কোনো পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু হবে না, আর সব পরিকল্পনা কাগজেই আটকে থাকবে।


#tag গাজা_সংকট #যুদ্ধবিরতি #পুনর্গঠন #ফিলিস্তিন #ইসরায়েল #মধ্যপ্রাচ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত এক পথচারী

গাজা পুনর্গঠন কীভাবে সম্ভব?

১১:৪৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

গাজায় এক মাস ধরে যুদ্ধবিরতি চলছে, কিন্তু পুনর্গঠনের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। দুই বছরের বিধ্বংসী যুদ্ধের পর ২০ লাখ মানুষের এই অঞ্চলটি এখনো ধ্বংসস্তূপে পরিণত। ফলে গাজাবাসীর মনে আশঙ্কা—তাদের এই দুর্দশা কি চিরস্থায়ী হয়ে যাবে? মধ্যপ্রাচ্যে অস্থায়ী বিষয়গুলো স্থায়ী হয়ে যাওয়ার বহু উদাহরণ রয়েছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখল অর্ধশতক পেরিয়েছে, আর পাঁচ বছরের জন্য গঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এখন ৩০ বছরে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে গাজায় পরিস্থিতি স্থবির হয়ে আছে।


গাজায় পুনর্গঠন শুরু না হওয়ার কারণ

গাজায় একটি আরব-সমর্থিত পুনর্গঠন পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে, কিন্তু হামাস নিরস্ত্র না হলে সেই পরিকল্পনা শুরু হবে না। হামাস এটি মানতে অস্বীকৃতি জানানোয় পুনর্গঠন কার্যত থেমে আছে। কিছু মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তা বিকল্প ধারণা তুলে ধরছেন—গাজার যে অংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে, সেই সীমান্ত-সংলগ্ন “ইয়েলো লাইন”-এর ওপারে নতুন শহর গড়ে তোলার প্রস্তাব। কিন্তু এই অঞ্চলে খুব কম ফিলিস্তিনি থাকেন এবং আরব দেশগুলো দৃঢ়ভাবে এই পরিকল্পনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এতে গাজার স্থায়ী বিভক্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা অঞ্চলের দেশগুলো অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে।


গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসের চিত্র

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আগস্ট পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ২০১৪ সালের যুদ্ধের তুলনায় ১৮ গুণ বেশি। প্রায় ১২ লাখ মানুষ গৃহহীন এবং যুদ্ধবিরতি শুরুর পরও মাত্র ২০ হাজারের কম তাবু গাজায় ঢুকতে পেরেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রায় সবকিছুই ধ্বংস—মোট ব্যবসার ৮৫% অকেজো, কৃষিজমির ৯০% ক্ষতিগ্রস্ত এবং গাজার আবাদযোগ্য জমির দুই-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় পড়ে গেছে। এছাড়া রাস্তার ৭৭% ভেঙে গেছে। এত ব্যাপক ক্ষতির ফলে পুনর্গঠন অনিশ্চয়তায় রয়ে গেছে।


মিসরের নেতৃত্বে পুনর্গঠনের ধাপভিত্তিক পরিকল্পনা

আরব দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিক সমর্থন পেয়েছে মিসরের প্রস্তাবিত পুনর্গঠন পরিকল্পনা, যেখানে কয়েকটি ধাপ উল্লেখ রয়েছে। প্রথম ধাপে গাজাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আনুমানিক ৬ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ অপসারণের কথা বলা হয়েছে। এসব ধ্বংসাবশেষ দিয়ে নতুন অবকাঠামো গড়ে তুলতে জমি পুনরুদ্ধারের ধারণাও রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে চার বছর ছয় মাসের পুনর্নির্মাণ কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রকৌশলীরা মনে করেন, ধ্বংসস্তূপ সরাতে ছয় মাস নয় বরং ছয় বছর লেগে যাবে। এছাড়া পুনর্গঠনের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ রাফাহ সীমান্ত দিয়ে আনতে হবে, যেখানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বড় বাধা হয়ে আছে।


অর্থনৈতিক বাধা এবং আন্তর্জাতিক অনীহা

পুনর্গঠন পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থের অভাব। মিসর মোট ব্যয় হিসাব করেছে ৫৩ বিলিয়ন ডলার, আর জাতিসংঘ বলছে প্রয়োজন হবে ৭০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বড় দাতারা জানিয়েছেন—হামাস নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত তারা অর্থ দেবে না। যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুসারে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা, কিন্তু আরব দেশগুলো কেউই এই বাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী নয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিকল্পনাকে অস্পষ্ট বলছে, সৌদি আরব এবং জর্ডান উভয়েই সৈন্য পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অন্য দেশগুলোও এখনো কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।


ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নতুন শহর গড়ার ধারণা

রাফাহর কাছাকাছি ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে নতুন শহর নির্মাণের প্রস্তাব উঠেছে, যেখানে হাজার হাজার মানুষের থাকার মতো মডুলার শহর গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এই পরিকল্পনা অতীতের ব্যর্থ উদ্যোগগুলোর মতোই সন্দেহ তৈরি করছে। আফগানিস্তান ও ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা বলে, এমন প্রকল্প সাধারণত সফল হয় না। ফিলিস্তিনিরা এই এলাকায় যেতে কতটা রাজি হবেন, ইসরায়েল তাদের চলাচলে কতটা স্বাধীনতা দেবে—এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো অনিশ্চিত। আরব দেশগুলো এটিকে গাজার স্থায়ী বিভাজন বলেই মনে করছে এবং কোনো গালফ দেশই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায়নি।


বর্তমান বাস্তবতা: সীমিত সহায়তাই একমাত্র পথ

পুনর্গঠনের বড় পরিকল্পনা আটকে থাকায় বর্তমানে লক্ষ্য হলো ন্যূনতম মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা। সংযুক্ত আরব আমিরাত দক্ষিণ গাজায় প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে, যা মিসরে থাকা একটি প্ল্যান্ট থেকে পাইপলাইনে আসছে। কূটনীতিকরা ইসরায়েলকে গাজায় আরও অস্থায়ী আশ্রয় ঢুকতে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এদিকে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন “ইয়েলো লাইন”-এর পাশে ১৬টি সাহায্যকেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু হামাস নিরস্ত্র না হলে বড় কোনো পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু হবে না, আর সব পরিকল্পনা কাগজেই আটকে থাকবে।


#tag গাজা_সংকট #যুদ্ধবিরতি #পুনর্গঠন #ফিলিস্তিন #ইসরায়েল #মধ্যপ্রাচ্য