দেবযানী যোগাড় করেছেন অ্যানুয়েল রিপোর্ট অন দি ইনসেন অ্যাসাইলামস ইন বেঙ্গল থেকে।
জেমস ওয়াইজ লিখেছেন, মানসিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসার জন্য হিন্দু ও ইউনানি পদ্ধতিও ছিল। হিন্দু পদ্ধতি ঠাণ্ডা জলপট্টি, নারকেলের জল দিয়ে ঠাণ্ডা শরবত বা বিরেচক পদার্থ ব্যবহার করা হতো। মাথার চাঁদিতে ভেষজ তেল মালিশ করা হতো। যাদের বাসায় রাখা হতো, তাদের কখনো কখানো রাখা হতো অন্ধকার ঘরে। কখনো চাবুক দিয়ে পেটানো হতো।
ফিরিঙ্গিদের [পর্তুগিজ বংশোদ্ভূত] মাথার চাঁদিতে একটি জ্যান্ত ব্যাঙ রাখা হতো। ধরে নেয়া হতো মগজ থেকে উদ্ধৃত পাগলামির উচ্চতা এই শুষে নিত। দৈবের ওপরেও অনেক নির্ভর করতে। চিকিৎসকরাও। তাবিজ পরানো হতো। পাগলা গারদের কর্মচারীদের এত কম বেতন দেওয়া হয়ে যে, খুব দরিদ্র না হলে এখানে কেউ কাজ করতে চাইত না। ১৮৬০ সালে বেতনের পরিমাণ দেখা যাক-
দারোগা- ১০ রুপি
জমাদার-৫ রুপি
পরিচারক- ৩ রুপি
সুইপার- ৩ রুপি
মালি-৩ রুপি
এ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব সবসময় করা হয়েছে।
পরবর্তীকালে তা সামান্য বৃদ্ধি পায়।
১৮৬৫ সালে ঢাকার পাগলা গারদে যেসব মহিলা ছিলেন তাদের একটি তালিকা দেবযানী যোগাড় করেছেন অ্যানুয়েল রিপোর্ট অন দি ইনসেন অ্যাসাইলামস ইন বেঙ্গল থেকে।
আবার মৃত্যু হয়েছে এমন অনেকের বিবরণ পাওয়া গেছে। যেমন, কমলি, মহিলা কেস হিস্ট্রিতেও লেখা ছিল ভর্তি ১৮৬১। টাকা হারিয়ে পাগল হয়ে যায়। অনেক সময় পাগলামি বেড়ে গেলে নিজ বাড়িতেও আগুন দিতে যেত অথবা প্রতিবেশীর ক্ষতি সাধন করত। তার ব্রেন, বুক ও অ্যাবডোমেন নানা ডাক্তারি বর্ণনা যেগুলো বাদ দিলাম। ১৮৬২ সালে কলেরায় মারা যায়। বয়স ৩০ এর মতো।
২. নয়নাবি, মহিলা, ভর্তি ১৮৫৪ সালে, কেস হিস্ট্রি পাওয়া যায়নি। ব্যবহার ভালো। নীরব থাকে। মাঝে মাঝে উন্মত্ত হয়ে ওঠে। ১৮৬১ সালে নিজের পেশাব খেতে থাকে। ১৮৬২ সালে কলেরায় মারা যায়।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 


















