০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
দুবাইয়ের লাইব্রেরিয়ান থেকে বিশ্বব্যাপী গল্প-আন্দোলন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল রঘুনাথের উদ্যোগ আইডিএফ–এর ‘হামাস গ্রাম’ প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভেতরে: আরবান গেরিলা যুদ্ধের নতুন রূপরেখা ঘরকে মাকড়সার হাত থেকে রক্ষা করুন—জালমুক্ত রাখার ৮টি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর উপায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কেন জড়ো হয়েছেন প্রায় দেড়শো মানুষ? পল্লবীতে ককটেল বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্য আহত আদানি বিরোধে সিঙ্গাপুর সালিশি স্থগিত: বাংলাদেশ আদালতের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন রাস আল খাইমাহর ওল্ড কর্নিশে দুই ১২ বছর বয়সী পাকিস্তানি বন্ধুর করুণ মৃত্যু মে মাসের যুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক সাফল্য: মার্কিন প্রতিবেদনে নতুন তথ্য আরব সাগরে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে চীন থেকে আসা স্বল্পমূল্যের ই-কমার্স পণ্য নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়

আদানি প্রকল্পে ব্যয়–অস্বচ্ছতা নিয়ে উত্তর প্রদেশে চুক্তি স্থগিত

উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আদানি গ্রুপের নতুন ২ বিলিয়ন ডলারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয়–চুক্তি অনুমোদন স্থগিত করেছে। ব্যয়সংক্রান্ত অস্পষ্টতা এবং আর্থিক বিশ্লেষণের ঘাটতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


উত্তর প্রদেশের চুক্তি স্থগিত

২০২৫ সালের মে মাসে আদানি পাওয়ার ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৫.৩৮ রুপি-প্রতি-ইউনিট দরে চুক্তি জেতে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, প্রকল্প খরচ নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা, না পাওয়ায় চুক্তি অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছে।


নিয়ম শিথিল হওয়ায় ব্যয়ের হিসাব বদলেছে

ভারত সরকার ২০২৫ সালের জুলাই মাসে কিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সালফার ডাইঅক্সাইড অপসারণকারী যন্ত্রপাতি (FGD) বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপন করার নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেয়।
এই অব্যাহতি আদানি সহ অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য হাজার কোটি রুপি সাশ্রয় করতে পারে।


তথ্য ও বিশ্লেষণের অভাব

নিয়ন্ত্রকের মতে, উত্তর প্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন এই যন্ত্রপাতি না লাগানোর ফলে কত টাকা সাশ্রয় হবে—তার নিজস্ব বিশ্লেষণ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ কারণে কমিশন আদানি পাওয়ারকে মামলার পক্ষ হিসেবে যুক্ত করা এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত ব্যয় হিসাব জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আগামী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর।


আগের শুনানির পর্যবেক্ষণ

সেপ্টেম্বরের পূর্ববর্তী শুনানিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, যন্ত্রপাতি স্থাপন না–করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিদ্যুৎ সংস্থাকে নতুন স্থির চার্জ ও পরিচালন ব্যয় পুনর্নির্ধারণ করে কমিশনের কাছে পাঠানো উচিত ছিল।
সংশোধিত জিএসটি হারের প্রভাবও বিদ্যুৎ ক্রয়–চুক্তিতে যুক্ত করে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন ছিল।


ভারতের বিদ্যুৎ চাহিদা ও কয়লাভিত্তিক উৎপাদন

দেশটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ালেও সন্ধ্যার সময় বিদ্যুৎ চাহিদা হঠাৎ বাড়ার সম্ভাবনা মোকাবেলায় বেশ কয়েকটি রাজ্য দীর্ঘমেয়াদি কয়লাভিত্তিক চুক্তি করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দুবাইয়ের লাইব্রেরিয়ান থেকে বিশ্বব্যাপী গল্প-আন্দোলন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল রঘুনাথের উদ্যোগ

আদানি প্রকল্পে ব্যয়–অস্বচ্ছতা নিয়ে উত্তর প্রদেশে চুক্তি স্থগিত

১২:২৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আদানি গ্রুপের নতুন ২ বিলিয়ন ডলারের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ ক্রয়–চুক্তি অনুমোদন স্থগিত করেছে। ব্যয়সংক্রান্ত অস্পষ্টতা এবং আর্থিক বিশ্লেষণের ঘাটতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


উত্তর প্রদেশের চুক্তি স্থগিত

২০২৫ সালের মে মাসে আদানি পাওয়ার ১,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ৫.৩৮ রুপি-প্রতি-ইউনিট দরে চুক্তি জেতে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, প্রকল্প খরচ নিয়ে সঠিক ব্যাখ্যা, না পাওয়ায় চুক্তি অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছে।


নিয়ম শিথিল হওয়ায় ব্যয়ের হিসাব বদলেছে

ভারত সরকার ২০২৫ সালের জুলাই মাসে কিছু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সালফার ডাইঅক্সাইড অপসারণকারী যন্ত্রপাতি (FGD) বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপন করার নিয়ম থেকে অব্যাহতি দেয়।
এই অব্যাহতি আদানি সহ অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য হাজার কোটি রুপি সাশ্রয় করতে পারে।


তথ্য ও বিশ্লেষণের অভাব

নিয়ন্ত্রকের মতে, উত্তর প্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন এই যন্ত্রপাতি না লাগানোর ফলে কত টাকা সাশ্রয় হবে—তার নিজস্ব বিশ্লেষণ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ কারণে কমিশন আদানি পাওয়ারকে মামলার পক্ষ হিসেবে যুক্ত করা এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত ব্যয় হিসাব জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আগামী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর।


আগের শুনানির পর্যবেক্ষণ

সেপ্টেম্বরের পূর্ববর্তী শুনানিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, যন্ত্রপাতি স্থাপন না–করার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিদ্যুৎ সংস্থাকে নতুন স্থির চার্জ ও পরিচালন ব্যয় পুনর্নির্ধারণ করে কমিশনের কাছে পাঠানো উচিত ছিল।
সংশোধিত জিএসটি হারের প্রভাবও বিদ্যুৎ ক্রয়–চুক্তিতে যুক্ত করে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন ছিল।


ভারতের বিদ্যুৎ চাহিদা ও কয়লাভিত্তিক উৎপাদন

দেশটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ালেও সন্ধ্যার সময় বিদ্যুৎ চাহিদা হঠাৎ বাড়ার সম্ভাবনা মোকাবেলায় বেশ কয়েকটি রাজ্য দীর্ঘমেয়াদি কয়লাভিত্তিক চুক্তি করছে।