মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপিত একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মে মাসের সংঘাতে পাকিস্তান ভারতকে সামরিকভাবে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান চীনের সরবরাহকৃত উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের রাফালসহ একাধিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
সংঘাতের সূচনা
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে একটি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের ভেতরে পাল্টা হামলা চালায়। এই হামলার প্রতিক্রিয়াতেই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত দ্রুত তীব্র হয়ে ওঠে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে।
মার্কিন প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা পর্যালোচনা কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয় যে পাকিস্তান ও চীনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আরও গভীর হয়েছে। এই সংঘাত ছিল সেই সহযোগিতার বাস্তব প্রকাশ, যেখানে পাকিস্তান প্রথমবারের মতো সক্রিয় যুদ্ধে চীনের আধুনিক অস্ত্রব্যবস্থা ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয় যে পাকিস্তান HQ-9 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, PL-15 আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং J-10C যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে, যা সংঘাতের নির্ণায়ক মুহূর্তগুলোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে সংঘাতের সময় পাকিস্তান সাতটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে, যার মধ্যে ফরাসি তৈরি রাফালও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই ঘটনা পরবর্তীতে শুধু দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যকে নতুনভাবে আলোচনায় নিয়ে আসে না, চীনের প্রতিরক্ষা রপ্তানির ক্ষেত্রেও একটি বড় প্রচারণা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
চীনের নতুন প্রস্তাব
ঘটনার পর চীন পাকিস্তানকে ৪০টি J-35 পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, KJ-500 নজরদারি বিমান এবং উন্নত ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রির প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবকে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বের আরেকটি বড় ধাপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সংঘাতের ব্যাপকতা
প্রতিবেদনটি জানায় যে দুই দেশই গত ৫০ বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় পরস্পরের ভূখণ্ডে আরও গভীরে আঘাত হানে। ভারতের ৫-৬ মে রাতের হামলায় পাকিস্তানে বেসামরিক নাগরিক এবং নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়। জবাবে পাকিস্তান রাফালসহ আরও কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং বহু ড্রোন ভূপাতিত করে, যা সংঘাতের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।
পাকিস্তানের পাল্টা অভিযান
সংঘাতের এক পর্যায়ে পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী “অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসুস” নামে একটি বড় ধরনের পাল্টা আক্রমণ পরিচালনা করে। এই অভিযানে ভারতের ২০টিরও বেশি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়। পাকিস্তান এয়ার ফোর্স তাদের JF-17 থান্ডার যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আদমপুরের ভারতীয় S-400 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে, যেখানে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। এই অংশটিকে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল ট্যাকটিক্যাল মুভগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সংঘাতের সমাপ্তি
নিউক্লিয়ার-সক্ষম এই দুই দেশের সংঘাত ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে শেষ হয়। তীব্র উত্তেজনা ও সামরিক ক্ষতির পর উভয় দেশই যুদ্ধ থামাতে সম্মত হয়, তবে ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















