০৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
বিশ্বব্যাপী অস্বাস্থ্যকর আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারের বিপুল লাভ এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব উত্তরায় গলা কাটা মরদেহ: অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে কিশোরকে হত্যা অ্যাফ্রিকান গোল্ডেন ক্যাট: একটি বিরল প্রজাতির সুরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ঠান্ডা হাত? এটি হতে পারে রেনো’স রোগ সাইনাস যন্ত্রণা কেন বাড়ে—কারণ, লক্ষণ ও সমাধান মুম্বইয়ের উচ্চ সতর্কতা: দিল্লি বিস্ফোরণ সংক্রান্ত তিনজন আটক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদনকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শারজাহর হোলি কুরআন একাডেমি ও আইসেসকোর সহযোগিতা জোরদারের আলোচনা আকাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উদ্দেশে মাছ রপ্তানি বন্ধ জুলাইয়ের আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করা ফারাবীসহ রাবির ৩ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে পিটুনি

কংগ্রেসের টালমাটাল অবস্থা: রাহুল গান্ধীর বারবার ‘হাওয়া হওয়া’ প্রশ্নের মুখে

ভারতের কংগ্রেস পার্টি টানা নির্বাচনী ভরাডুবির মুখে দাঁড়িয়ে। এমন সংকটময় সময়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, বিশেষত রাহুল গান্ধীর বারবার গায়েব হয়ে যাওয়া পরিস্থিতিকে আরও প্রকট করেছে। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের দিন বা সংকটমুহূর্তে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে সমালোচনা বাড়ছে।


ফলাফল ঘোষণার দিন রাহুল কোথায়?

বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় রাহুল গান্ধী নাকি উপসাগরীয় অঞ্চলে ছিলেন। এদিকে কংগ্রেস মাত্র ৬টি আসনে জিতে ভরাডুবি করেছে। ৬১টি আসনে লড়েও তলানিতে ঠেকে দল। আগেরবার ১৯টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এবার কার্যত মাটিতে মিশে গেছে।
আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব তখন পরিবারগত চাপ, দলের অসন্তোষ ও বিদ্রোহী কর্মীদের সামলাতে ব্যস্ত—কিন্তু পাশে ছিলেন না জোটসঙ্গী রাহুল।
এর আগে উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ব্যর্থ জোটের পরেও একই ঘটনা ঘটে। ফল ঘোষণার পর একা অখিলেশকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হয়; রাহুল ছিলেন উধাও।
বিহার নির্বাচনী প্রচারের মাঝেও রাহুল হঠাৎ দীর্ঘ সফরে দক্ষিণ আমেরিকা চলে যান, যার ব্যাখ্যা দলীয় নেতারাও দিতে পারেননি।


বংশগত রাজনীতি ও নেতৃত্বের পতন

৫৫ বছর বয়সী রাহুল গান্ধী ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি—রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুর বংশধর। একসময় তাঁকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই ভাবা হতো।
মনমোহন সিং ও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন—প্রয়োজন হলে তিনি রাহুলের জন্য জায়গা করে দিতে প্রস্তুত। কিন্তু রাহুল মন্ত্রী হতে অস্বীকৃতি জানান। দলীয় নেতাদের ভাষায়—“গান্ধীরা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কিছু হন না।”
এরপর থেকে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা নিম্নগামী। টানা তিনটি লোকসভা নির্বাচনে হার; তার ওপর কংগ্রেসের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হয়েছে।


ইস্যুতে লাফালাফি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ

সমালোচকদের কাছে রাহুল “ইলেকশন ট্যুরিস্ট”—এক ইস্যু থেকে আরেক ইস্যুতে লাফালাফি করেন, কিন্তু কোনো বিষয়ে স্থির থাকেন না।
নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর গভীর ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে ব্যক্তিগত আক্রমণে—যেমন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বা সর্বশেষ ‘ভোট চুরি’ অভিযোগ।
কিন্তু বিহারের বিশাল ভোটার উপস্থিতি ও বড় জয়ের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করা কংগ্রেসের জন্য সমালোচনা আরও বাড়িয়েছে। বিরোধীরা বলছে—এত বড় জালিয়াতি সম্ভব নয়; বাস্তবতা হলো জনগণই কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে।


রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের পতন

কংগ্রেস পরপর হেরেছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, এখন বিহারেও। দিল্লিতে দলকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। উত্তর ভারতে হিমাচল ছাড়া কোথাও ক্ষমতায় নেই তারা।
বর্তমানে সারা ভারতে মাত্র দুই রাজ্যে—কর্নাটক ও তেলেঙ্গানায়—কংগ্রেস সরকার রয়েছে।
তবুও জাতীয় স্তরে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের আছে, যা যেকোনো জাতীয় বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


কংগ্রেস ছাড়া জাতীয় বিরোধী ফ্রন্ট অসম্ভব

বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেস অপরিহার্য। মমতা ব্যানার্জি বা এম. কে. স্টালিন তাঁদের রাজ্যে শক্তিশালী হলেও জাতীয় পর্যায়ে তাঁরা আঞ্চলিক নেতা।
বিজেপি এ ধরনের নেতার সঙ্গে লড়তে পারে, কিন্তু কংগ্রেসের দুর্বলতায় তাদের কাছে জাতীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন কার্যত সহজ হয়ে গেছে।


দলের সামনে বড় প্রশ্ন

প্রতি নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রায় ২০ শতাংশ ভোট ক্ষয় হচ্ছে।
গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের পুরনো সমীকরণ—“দল জিতবে, তারা নেতৃত্ব দেবে”—এখন আর কাজ করছে না।


রাহুলের জন্য পরামর্শ: নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত

সমালোচকদের মতে, রাহুল গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
তিনি রাজনীতি উপভোগ করেন না, আর জনগণও তাঁর সঙ্গে সংযোগ অনুভব করে না।
ভারত জোড়ো যাত্রা ছিল ব্যতিক্রম, কিন্তু তাতেও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সুবিধা হয়নি; পরে বিজেপি আবার মাঠ দখল করে নেয়।


যে গুরুত্বপূর্ণ সংকটগুলো রাহুল তুলতে পারছেন না

ভারতের দারিদ্র্য, বেকারত্ব, দূষণ, সীমান্ত উত্তেজনা, পররাষ্ট্রনীতি, নিরাপত্তা—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাহুল ধারাবাহিক অবস্থান নিতে ব্যর্থ।
ব্যক্তিগত আক্রমণ ভোটারদের টানে না; তাঁদের প্রয়োজন কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বার্তা।
বিহারে ২০ বছর পরও বিরোধী স্রোত তৈরি হয়নি কারণ মানুষ বিকল্প নেতৃত্বকে বিশ্বাস করতে পারছে না—তেজস্বী যাদব হোন বা রাহুল গান্ধী, কেউই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দিতে পারছেন না।


আগামী পথ: আত্মসমালোচনার সময়

তেজস্বী ও রাহুল দুজনেরই আত্মসমালোচনা করা জরুরি।
তেজস্বী কেন যাদব–মুসলিম ভোটব্যাংকের বাইরে নতুন ভোটার টানতে পারছেন না?
আর রাহুল কেন বারবার গায়েব হন? কেন দলের পরাজয়ের পরও তাঁর আশপাশের গোষ্ঠী সব দোষ ভোটারদের ওপর চাপায়?—উত্তর খুঁজতে হবে  তাঁকেই


ভারত কঠিন সময়ের মধ্যে আছে। বিরোধী নেতৃত্ব দুর্বল হলে গণতন্ত্রও দুর্বল হয়।
কংগ্রেস যদি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, তবে প্রয়োজন দৃশ্যমান, দায়িত্বশীল ও ধারাবাহিক নেতৃত্ব—যা এখনো রাহুল গান্ধী দিতে পারছেন না।


: #ভারতরাজনীতি #কংগ্রেস #রাহুলগান্ধী #বিহারনির্বাচন #ভারতসমসাময়িক #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বব্যাপী অস্বাস্থ্যকর আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারের বিপুল লাভ এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব

কংগ্রেসের টালমাটাল অবস্থা: রাহুল গান্ধীর বারবার ‘হাওয়া হওয়া’ প্রশ্নের মুখে

০৩:০১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের কংগ্রেস পার্টি টানা নির্বাচনী ভরাডুবির মুখে দাঁড়িয়ে। এমন সংকটময় সময়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, বিশেষত রাহুল গান্ধীর বারবার গায়েব হয়ে যাওয়া পরিস্থিতিকে আরও প্রকট করেছে। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের দিন বা সংকটমুহূর্তে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে সমালোচনা বাড়ছে।


ফলাফল ঘোষণার দিন রাহুল কোথায়?

বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় রাহুল গান্ধী নাকি উপসাগরীয় অঞ্চলে ছিলেন। এদিকে কংগ্রেস মাত্র ৬টি আসনে জিতে ভরাডুবি করেছে। ৬১টি আসনে লড়েও তলানিতে ঠেকে দল। আগেরবার ১৯টি আসন পাওয়া কংগ্রেস এবার কার্যত মাটিতে মিশে গেছে।
আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব তখন পরিবারগত চাপ, দলের অসন্তোষ ও বিদ্রোহী কর্মীদের সামলাতে ব্যস্ত—কিন্তু পাশে ছিলেন না জোটসঙ্গী রাহুল।
এর আগে উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের সঙ্গে ব্যর্থ জোটের পরেও একই ঘটনা ঘটে। ফল ঘোষণার পর একা অখিলেশকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হয়; রাহুল ছিলেন উধাও।
বিহার নির্বাচনী প্রচারের মাঝেও রাহুল হঠাৎ দীর্ঘ সফরে দক্ষিণ আমেরিকা চলে যান, যার ব্যাখ্যা দলীয় নেতারাও দিতে পারেননি।


বংশগত রাজনীতি ও নেতৃত্বের পতন

৫৫ বছর বয়সী রাহুল গান্ধী ভারতের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি—রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুর বংশধর। একসময় তাঁকে ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই ভাবা হতো।
মনমোহন সিং ও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন—প্রয়োজন হলে তিনি রাহুলের জন্য জায়গা করে দিতে প্রস্তুত। কিন্তু রাহুল মন্ত্রী হতে অস্বীকৃতি জানান। দলীয় নেতাদের ভাষায়—“গান্ধীরা প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কিছু হন না।”
এরপর থেকে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা নিম্নগামী। টানা তিনটি লোকসভা নির্বাচনে হার; তার ওপর কংগ্রেসের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হয়েছে।


ইস্যুতে লাফালাফি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ

সমালোচকদের কাছে রাহুল “ইলেকশন ট্যুরিস্ট”—এক ইস্যু থেকে আরেক ইস্যুতে লাফালাফি করেন, কিন্তু কোনো বিষয়ে স্থির থাকেন না।
নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর গভীর ক্ষোভের প্রকাশ ঘটে ব্যক্তিগত আক্রমণে—যেমন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বা সর্বশেষ ‘ভোট চুরি’ অভিযোগ।
কিন্তু বিহারের বিশাল ভোটার উপস্থিতি ও বড় জয়ের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করা কংগ্রেসের জন্য সমালোচনা আরও বাড়িয়েছে। বিরোধীরা বলছে—এত বড় জালিয়াতি সম্ভব নয়; বাস্তবতা হলো জনগণই কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করেছে।


রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের পতন

কংগ্রেস পরপর হেরেছে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, এখন বিহারেও। দিল্লিতে দলকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। উত্তর ভারতে হিমাচল ছাড়া কোথাও ক্ষমতায় নেই তারা।
বর্তমানে সারা ভারতে মাত্র দুই রাজ্যে—কর্নাটক ও তেলেঙ্গানায়—কংগ্রেস সরকার রয়েছে।
তবুও জাতীয় স্তরে প্রায় ২০ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের আছে, যা যেকোনো জাতীয় বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


কংগ্রেস ছাড়া জাতীয় বিরোধী ফ্রন্ট অসম্ভব

বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেস অপরিহার্য। মমতা ব্যানার্জি বা এম. কে. স্টালিন তাঁদের রাজ্যে শক্তিশালী হলেও জাতীয় পর্যায়ে তাঁরা আঞ্চলিক নেতা।
বিজেপি এ ধরনের নেতার সঙ্গে লড়তে পারে, কিন্তু কংগ্রেসের দুর্বলতায় তাদের কাছে জাতীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন কার্যত সহজ হয়ে গেছে।


দলের সামনে বড় প্রশ্ন

প্রতি নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রায় ২০ শতাংশ ভোট ক্ষয় হচ্ছে।
গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের পুরনো সমীকরণ—“দল জিতবে, তারা নেতৃত্ব দেবে”—এখন আর কাজ করছে না।


রাহুলের জন্য পরামর্শ: নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত

সমালোচকদের মতে, রাহুল গান্ধীর সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
তিনি রাজনীতি উপভোগ করেন না, আর জনগণও তাঁর সঙ্গে সংযোগ অনুভব করে না।
ভারত জোড়ো যাত্রা ছিল ব্যতিক্রম, কিন্তু তাতেও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সুবিধা হয়নি; পরে বিজেপি আবার মাঠ দখল করে নেয়।


যে গুরুত্বপূর্ণ সংকটগুলো রাহুল তুলতে পারছেন না

ভারতের দারিদ্র্য, বেকারত্ব, দূষণ, সীমান্ত উত্তেজনা, পররাষ্ট্রনীতি, নিরাপত্তা—এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাহুল ধারাবাহিক অবস্থান নিতে ব্যর্থ।
ব্যক্তিগত আক্রমণ ভোটারদের টানে না; তাঁদের প্রয়োজন কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার বার্তা।
বিহারে ২০ বছর পরও বিরোধী স্রোত তৈরি হয়নি কারণ মানুষ বিকল্প নেতৃত্বকে বিশ্বাস করতে পারছে না—তেজস্বী যাদব হোন বা রাহুল গান্ধী, কেউই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দিতে পারছেন না।


আগামী পথ: আত্মসমালোচনার সময়

তেজস্বী ও রাহুল দুজনেরই আত্মসমালোচনা করা জরুরি।
তেজস্বী কেন যাদব–মুসলিম ভোটব্যাংকের বাইরে নতুন ভোটার টানতে পারছেন না?
আর রাহুল কেন বারবার গায়েব হন? কেন দলের পরাজয়ের পরও তাঁর আশপাশের গোষ্ঠী সব দোষ ভোটারদের ওপর চাপায়?—উত্তর খুঁজতে হবে  তাঁকেই


ভারত কঠিন সময়ের মধ্যে আছে। বিরোধী নেতৃত্ব দুর্বল হলে গণতন্ত্রও দুর্বল হয়।
কংগ্রেস যদি আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায়, তবে প্রয়োজন দৃশ্যমান, দায়িত্বশীল ও ধারাবাহিক নেতৃত্ব—যা এখনো রাহুল গান্ধী দিতে পারছেন না।


: #ভারতরাজনীতি #কংগ্রেস #রাহুলগান্ধী #বিহারনির্বাচন #ভারতসমসাময়িক #সারাক্ষণরিপোর্ট