হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে, যা ভূমিকম্প এবং তুষারপাতের কারণে বিপদ সৃষ্টি করছে। গলিত হিমবাহের পানি পাহাড়ের গভীর উপত্যকায় জমা হচ্ছে, সৃষ্টি করছে বিপজ্জনক বড় বড় হ্রদ। এই পানি পরবর্তীতে পাহাড়ি অঞ্চলে বন্যা সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে নেপালের এভারেস্ট অঞ্চলের থামে গ্রামে।
হিমবাহের গলনের প্রভাব
থামে একটি বিচ্ছিন্ন গ্রাম, যেখানে ৩৭০ জন বাস করেন, হিমবাহের গলিত পানির কারণে সম্প্রতি এক বড় বন্যার শিকার হয়েছে। ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে, এই গ্রামটির উপরের পাহাড় থেকে বড় পাথর গলে গিয়ে হ্রদে পড়ে, যা ১০০ মিলিয়ন গ্যালন পানি নিয়ে গ্রামটির দিকে ধাবিত হয়। এতে অনেক ঘর-বাড়ি, স্কুল এবং চিকিৎসাকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যায়।
গলিত হিমবাহের সমস্যা এবং সম্ভাব্য বিপদ
গলিত হিমবাহের পানি নদী এবং হ্রদে পরিণত হচ্ছে, যেগুলো পর্যাপ্ত গভীরতা এবং পরিমাণে হওয়ায় সেগুলো যে কোনো সময় বড় ধরনের বন্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর মাধ্যমে ভূমিধস এবং তুষারপাতের কারণে আকস্মিক বিপদ তৈরি হচ্ছে।
গবেষণা এবং প্রতিকার
গবেষকরা, বিশেষ করে স্কট ওয়াটসন এবং তার দল, গলিত হ্রদগুলোর গভীরতা এবং বিপদের সম্ভাবনা পরিমাপ করছেন। তাদের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, স্থানীয় জনগণের জন্য হুমকি কমানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে, গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ডের মাধ্যমে নেপাল সরকার কিছু হ্রদে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য চ্যানেল তৈরি করছে, তবে গলিত হিমবাহের কারণে সমস্যার সমাধান হওয়া এখনও অনেক দূরে।

থামের মানুষের অভিজ্ঞতা
থামে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, বর্ষাকালে তারা শান্তি অনুভব করেন না, কারণ যেকোনো সময় বন্যা আসতে পারে। একদিকে, কুয়াম্বু অঞ্চলের অন্যান্য বাসিন্দারা তাদের বাড়ি এবং জীবিকা হারাচ্ছে, আবার অন্যদিকে, পাহাড়ি এলাকায় সবার জন্য অনিশ্চয়তার একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
স্মৃতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
গ্রামের প্রাক্তন বাসিন্দা মিংমা রিতা শেরপা, যিনি এক সময় গ্রামে হাইড্রোপাওয়ার প্ল্যান্টে কাজ করতেন, বন্যায় তার বাড়ি এবং ব্যবসা হারানোর পর, রাজধানী কাঠমান্ডুতে সরে এসেছেন। তিনি আর গ্রামে ফিরে আসবেন না, তার জীবনে ভবিষ্যত অনিশ্চিত।
#গলিত_হিমবাহ #নেপাল_বন্যা #থামে_গ্রাম #হিমালয়_গবেষণা #গ্রীন_ক্লাইমেট_ফান্ড #গবেষণা #থামের_বাসিন্দা #বন্যার_ঝুঁকি #হিমবাহ_গলন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















