মেলবোর্নে গানের মাধ্যমে ক্যানসার ফাউন্ডেশনের সহায়তা
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গীত কিংবদন্তি জন ফার্নহামের সম্মানে মেলবোর্নে আয়োজন করা হচ্ছে ব্যতিক্রমী এক সিঙ্গ–অ্যালং। আগামী ১৩ মার্চ ২০২৬ সালে সিডনি মায়ার মিউজিক বাউলে হাজারো ভক্ত একসঙ্গে তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করবেন। দীর্ঘদিনের সংগীত পরিচালক চং লিমের নেতৃত্বে ফার্নহাম ব্যান্ড ও অতিথি শিল্পীরা মঞ্চে থাকবেন, আর দর্শকরাই হয়ে উঠবেন বিশাল কোরাস দল। “ইউ আর দ্য ভয়েস” থেকে “সেডি”—এমন বহু হিট গান একসঙ্গে গাওয়ার পরিকল্পনা আছে আয়োজকদের। ২১ নভেম্বর থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে, যার একটি অংশ যাবে হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসার ফাউন্ডেশনের তহবিলে।
স্বাস্থ্যগত কারণে জন ফার্নহাম নিজে সেখানে থাকতে পারবেন না, কিন্তু লিখিত বার্তায় তিনি আয়োজনকে “মজা আর ভালো কাজের দুর্লভ মিশেল” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি মজা করে বলেছেন, ভক্তরা যদি তাঁর গানের কথা ঠিকঠাক গাইতে পারে, তবে তারা নিজেকেও ছাড়িয়ে যাবে। ২০২০ সালের ফায়ারফাইট কনসার্টের পর এই প্রথমবারের মতো ফার্নহাম ব্যান্ড একসঙ্গে মঞ্চে উঠবে, ফলে এটি তাদের জন্যও আবেগঘন পুনর্মিলন হতে যাচ্ছে। ভক্তদের অনেকের কাছে এ আয়োজনটি শুধু গানের রাতই নয়, বরং প্রিয় শিল্পীর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ।
রেকর্ড ভাঙা, মিলিত আনন্দ আর সমাজের বার্তা
অস্ট্রেলিয়ান বুক অব রেকর্ডস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একের পর এক ব্যতিক্রমী গণ–উদ্যোগের রেকর্ড নথিবদ্ধ করেছে। এর আগে কয়েক হাজার মানুষ একসঙ্গে “দ্য নাটবুশ” নাচ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন, আবার মেলবোর্নেই শতাধিক ব্যাগপাইপার একসঙ্গে বাজিয়ে নতুন রেকর্ড করেছেন। সংগঠনের সহ–প্রতিষ্ঠাতা হেলেন টেইলর, যিনি নিজেও অসংখ্য রেকর্ডের মালিক, বলেছেন—ফার্নহামকে ঘিরে এই নতুন প্রচেষ্টা তাঁর প্রতি অস্ট্রেলীয়দের ভালোবাসার ছোট্ট প্রতিদান।
আয়োজকদের ভাষ্যে, বড় বড় রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা যেমন মিডিয়ার নজর কাড়ে, তেমনি মানুষের মধ্যে যৌথ আনন্দ ও সংহতির অনুভূতিও জাগায়। কোভিড–পরবর্তী সময়ে, যখন অনেকেই আর্থিক চাপ ও মানসিক ক্লান্তিতে ভুগছেন, তখন এমন সিঙ্গ–অ্যালং ইভেন্ট মানুষকে একসঙ্গে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। জন ফার্নহামের বহু প্রজন্মজুড়ে ছড়িয়ে থাকা শ্রোতারা একই ভেন্যুতে দাঁড়িয়ে তাঁর গান গাইলে তা নিঃসন্দেহে এক প্রতীকী মুহূর্ত হবে—যেখানে শিল্পী নিজে উপস্থিত না থেকেও তাঁর সঙ্গীত মানুষের গলায় বেঁচে থাকবে, আর সেই সুর থেকে উঠে আসা অর্থ ক্যানসার–রোগীদের সহায়তায় কাজে লাগবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















