০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
ভূমিকম্পে কক্সবাজারের হোটেল জোনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটক ও কর্মীরা দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে আসেন ভূমিকম্পে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে-বাংলা হলে বড় ফাটল ও হেলে পড়া—শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে গাজীপুরে ভূমিকম্প অনুভূত হতেই কারখানা ছাড়তে গিয়ে ধাক্কাধাক্কিতে আহত হয়েছেন শতাধিক শ্রমিক বাংলাদেশের বিশাল লিড: তৃতীয় দিনে তাইজুল হলেন টাইগারদের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকার কেরানীগঞ্জে সাম্প্রতিক রাতে পৃথক আগুন লাগার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ মাধবদীর ভূমিকম্পে নিহত ৬; দ্রুত সহায়তায় এগিয়ে এলো ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতাল পল্লবী যুবদল নেতা হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তারের ঘণ্টাখানেক পর সন্দেহভাজনের মৃত্যু শক্তিশালী ভূমিকম্পে সারা দেশে ছয়জনের মৃত্যু, বহু আহত ভূমিকম্পে বদলে যাবার পরে কোনটা পুরানো ব্রহ্মপুত্র আর কোনটা নতুন ব্রহ্মপুত্র ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে নারায়ণগঞ্জে তুলা কারখানায় ভয়াবহ আগুন

বাংলাদেশ ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ

বাংলাদেশকে ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ এবং অতীতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ধরণ বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ জাতীয় ভবন নির্মাণবিধি দেশটিকে চারটি ভূকম্প জোনে ভাগ করেছে। প্রতিটি জোনে ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন এবং কিছু অঞ্চলকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।


সম্পূর্ণ বাংলা পরিষ্কার কপি:

বাংলাদেশের ভূগোল ও ভূতাত্ত্বিক অবস্থান দেশটিকে একটি ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। টেকটোনিক প্লেটের চাপ, অতীতের ভূমিকম্পের ইতিহাস এবং মাটির গঠন বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ জাতীয় ভবন নির্মাণবিধি দেশটিকে চারটি ভিন্ন ভূকম্প জোনে ভাগ করেছে। এসব জোনে ঝুঁকির মাত্রা আলাদা এবং কিছু এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

উচ্চ ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে সিলেট ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং সিলেটের জৈন্তাপুরকে সর্বোচ্চ ঝুঁকির অঞ্চলের মধ্যে ধরা হয়।

নীচে সহজভাবে বাংলাদেশের ভূমিকম্প অঞ্চল, ঝুঁকির স্তর ও ভূতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলো।

ভূকম্প জোন বিভাজন

বাংলাদেশকে জাতীয় ভবন নির্মাণবিধি অনুযায়ী চারটি ভূমিকম্প অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে: জোন এক, জোন দুই, জোন তিন ও জোন চার। প্রতিটি জোনে সম্ভাব্য ক্ষতি, মাটির নাড়া বা স্থল-কম্পন এবং কাঠামোগত নিরাপত্তার মানদণ্ড ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা আছে।

ঝুঁকির মাত্রা ও সর্বোচ্চ অনুভূমিক ভূকম্প ত্বরণ (পিজিএ) মান

প্রতিটি জোনে ভিন্ন ভূকম্প সহগ ও সর্বোচ্চ অনুভূমিক ভূকম্প ত্বরণ (পিজিএ) নির্ধারণ করা হয়েছে। পিজিএ মান যত বেশি, ঝুঁকির প্রবণতাও তত বেশি। জোন চার-এ পিজিএ সর্বোচ্চ, যা এটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করে।

সর্বোচ্চ ঝুঁকির এলাকাগুলো

গবেষণা বলছে, সিলেট অঞ্চল দেশের সর্বোচ্চ পিজিএ-যুক্ত এলাকা; ফলে এটি ভূমিকম্পের জন্য সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও জৈন্তাপুরকেও চরম ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

ভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির ধরণ

আরেকটি গবেষণা (এআরপিএন সাময়িকী) সম্ভাব্য কম্পনের মাত্রার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে তিনটি জোনে ভাগ করেছে:

  • জোন এক (সিলেট–ময়মনসিংহ): সম্ভাব্য মাত্রা সাত
  • জোন দুই (চট্টগ্রাম–কুমিল্লা–ঢাকা–টাঙ্গাইল): সম্ভাব্য মাত্রা ছয়
  • জোন তিন (দেশের বাকি অংশ): সম্ভাব্য মাত্রা ছয়

ভূতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের নিচ দিয়ে ভারতীয়, ইউরেশীয় ও বার্মা প্লেট মিলিত হয়েছে। এ তিন প্লেটের চাপ ও সংঘর্ষ দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকিকে বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক ভূমিকম্প-সংবেদনশীল অঞ্চলে পড়ে।

এই জোনভিত্তিক বিশ্লেষণ ভবন নির্মাণ, নগর পরিকল্পনা ও দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


#বাংলাদেশভূমিকম্প
#ভূকম্পজোন
#ভূমিকম্পঝুঁকি
#ভবননির্মাণবিধি
#দুর্যোগপ্রস্তুতি

জনপ্রিয় সংবাদ

ভূমিকম্পে কক্সবাজারের হোটেল জোনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পর্যটক ও কর্মীরা দ্রুত রাস্তায় বেরিয়ে আসেন

বাংলাদেশ ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ

০৬:৪১:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশকে ভূমিকম্প-প্রবণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ এবং অতীতে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের ধরণ বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ জাতীয় ভবন নির্মাণবিধি দেশটিকে চারটি ভূকম্প জোনে ভাগ করেছে। প্রতিটি জোনে ঝুঁকির মাত্রা ভিন্ন এবং কিছু অঞ্চলকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।


সম্পূর্ণ বাংলা পরিষ্কার কপি:

বাংলাদেশের ভূগোল ও ভূতাত্ত্বিক অবস্থান দেশটিকে একটি ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত করেছে। টেকটোনিক প্লেটের চাপ, অতীতের ভূমিকম্পের ইতিহাস এবং মাটির গঠন বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ জাতীয় ভবন নির্মাণবিধি দেশটিকে চারটি ভিন্ন ভূকম্প জোনে ভাগ করেছে। এসব জোনে ঝুঁকির মাত্রা আলাদা এবং কিছু এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

উচ্চ ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে সিলেট ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। গবেষণা অনুযায়ী চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং সিলেটের জৈন্তাপুরকে সর্বোচ্চ ঝুঁকির অঞ্চলের মধ্যে ধরা হয়।

নীচে সহজভাবে বাংলাদেশের ভূমিকম্প অঞ্চল, ঝুঁকির স্তর ও ভূতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হলো।

ভূকম্প জোন বিভাজন

বাংলাদেশকে জাতীয় ভবন নির্মাণবিধি অনুযায়ী চারটি ভূমিকম্প অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে: জোন এক, জোন দুই, জোন তিন ও জোন চার। প্রতিটি জোনে সম্ভাব্য ক্ষতি, মাটির নাড়া বা স্থল-কম্পন এবং কাঠামোগত নিরাপত্তার মানদণ্ড ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা আছে।

ঝুঁকির মাত্রা ও সর্বোচ্চ অনুভূমিক ভূকম্প ত্বরণ (পিজিএ) মান

প্রতিটি জোনে ভিন্ন ভূকম্প সহগ ও সর্বোচ্চ অনুভূমিক ভূকম্প ত্বরণ (পিজিএ) নির্ধারণ করা হয়েছে। পিজিএ মান যত বেশি, ঝুঁকির প্রবণতাও তত বেশি। জোন চার-এ পিজিএ সর্বোচ্চ, যা এটিকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করে।

সর্বোচ্চ ঝুঁকির এলাকাগুলো

গবেষণা বলছে, সিলেট অঞ্চল দেশের সর্বোচ্চ পিজিএ-যুক্ত এলাকা; ফলে এটি ভূমিকম্পের জন্য সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ। চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও জৈন্তাপুরকেও চরম ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

ভিন্ন গবেষণায় ঝুঁকির ধরণ

আরেকটি গবেষণা (এআরপিএন সাময়িকী) সম্ভাব্য কম্পনের মাত্রার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে তিনটি জোনে ভাগ করেছে:

  • জোন এক (সিলেট–ময়মনসিংহ): সম্ভাব্য মাত্রা সাত
  • জোন দুই (চট্টগ্রাম–কুমিল্লা–ঢাকা–টাঙ্গাইল): সম্ভাব্য মাত্রা ছয়
  • জোন তিন (দেশের বাকি অংশ): সম্ভাব্য মাত্রা ছয়

ভূতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশের নিচ দিয়ে ভারতীয়, ইউরেশীয় ও বার্মা প্লেট মিলিত হয়েছে। এ তিন প্লেটের চাপ ও সংঘর্ষ দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকিকে বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক ভূমিকম্প-সংবেদনশীল অঞ্চলে পড়ে।

এই জোনভিত্তিক বিশ্লেষণ ভবন নির্মাণ, নগর পরিকল্পনা ও দুর্যোগ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


#বাংলাদেশভূমিকম্প
#ভূকম্পজোন
#ভূমিকম্পঝুঁকি
#ভবননির্মাণবিধি
#দুর্যোগপ্রস্তুতি