১০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
নেট্রা মান্তেনার উদয়পুর বিবাহে ‘ডোলা রে ডোলা’-এ মুগ্ধতা ছড়ালেন মাধুরী দীক্ষিত জাপানে ভর্তুকি ও তহবিল পর্যালোচনায় নতুন দপ্তর গঠন দিল্লি বিস্ফোরণ: আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্কে পাকিস্তান-যোগ ও ২৬ লাখ টাকার তহবিল ঢাকায় কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির বৈঠক স্যানিটেশন ব্যবস্থার সুফল উন্মোচন: স্বাস্থ্য, মর্যাদা ও সমৃদ্ধি পাকিস্তানে নতুন ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট নিয়ে তীব্র বিতর্ক: পাঁচ বিচারকের দাবি—শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই হোক জি–২০ সম্মেলনে মোদির ছয় দফা এজেন্ডা, জলবায়ু চুক্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের বয়কট: দক্ষিণ আফ্রিকা বৈঠকের পাঁচ প্রধান বিষয় বেলেঁমের কোপ৩০ সমঝোতা: অর্থ প্রতিশ্রুতি বাড়ল, কিন্তু জ্বালানি কাটছাঁট নেই বাংলাদেশে ভূমিকম্পে সতর্কতা: ফায়ার সার্ভিসের ৮টি নিরাপত্তা নির্দেশনা শাহরিয়ার কবিরের আটক ‘অবৈধ ও ইচ্ছামূলক’: অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের

পাকিস্তানে নতুন ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট নিয়ে তীব্র বিতর্ক: পাঁচ বিচারকের দাবি—শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই হোক

পাকিস্তানে সদ্য গঠিত ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ইসলামাবাদ হাই কোর্টের পাঁচ বিচারক অভিযোগ তুলেছেন—এই নতুন আদালতের আইনগত এখতিয়ার এখনও পরিষ্কার নয়। তাদের মতে, আদালতটি সাংবিধানিক প্রশ্নে নিজেই অনিশ্চিত, তাই তাদের আপিল শুনানি শুধুই সুপ্রিম কোর্টেই হওয়া উচিত।

বিতর্কের সূচনা: কেন বিচারকরা আপত্তি তুললেন?

ইসলামাবাদ হাই কোর্টের পাঁচ বিচারক—
• বিচারপতি মোহসিন আখতার কিয়ানী
• বিচারপতি তারিক মাহমুদ জাহাঙ্গীর
• বিচারপতি বাবর সত্তার
• বিচারপতি সারদার ইজাজ ইসহাক খান
• বিচারপতি সামান রিফাত ইমতিয়াজ

তাদের ইনট্রা কোর্ট আপিল (আইসিএ) নতুন ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টে পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান। তাদের দাবি—সংবিধানের ১৭৫ই বা ১৭৫এফ ধারা অনুযায়ী এই নতুন আদালতের এখতিয়ার সীমিত, আর তাদের মামলা এই ধারাভুক্ত নয়।

ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের বেঞ্চ কেন আলোচনায়?

২৪ নভেম্বর যে বেঞ্চ মামলাটি শুনবে, তার নেতৃত্বে আছেন প্রধান বিচারপতি আমিনউদ্দিন খান। আরও ছয় বিচারপতি নিয়ে গঠিত এই বেঞ্চ এখনই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—যার মূল কারণ আদালতের বৈধতা, এখতিয়ার ও সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়ে ওঠা প্রশ্ন।

বিচারকদের যুক্তি: আইন অপরিবর্তিত, এখতিয়ারও বদলায়নি

বিচারকদের দাবি—
• তাদের আপিল দাখিল হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর) আইন ২০২৩-এর ৫ নম্বর ধারায়।
• সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী এই আইন পরিবর্তন করেনি।
• ফলে এই ধারার অধীন আপিল নতুন আদালতে পাঠানোর কোনো ভিত্তি নেই।

এ ছাড়া ১৭৫এফ(২) ধারা স্পষ্ট—নির্দিষ্ট সাংবিধানিক আপিলই শুধু এ আদালতে যেতে পারে। বিচারকদের মতে, তাদের মামলা সেই শ্রেণির নয়।

২৭তম সংশোধনী: বিতর্ক আরও গভীর

বিচারকদের ধারণা, মামলাটি ২৭তম সংশোধনীর ব্যাখ্যা ধরে ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা জোর দিয়ে বলছেন—
তাদের মামলা সেই তালিকাভুক্ত মামলার মধ্যে পড়ে না।

আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তারা তুলেছেন—
যে আদালত কোনো সংশোধনীর মাধ্যমে গঠিত, সে আদালত কি নিজেই সেই সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা বিচার করতে পারে?
সাবির শাহ মামলার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বিচারকরা বলেন—নিজেকে গঠনকারী আইনের বৈধতা কোনও ট্রাইব্যুনাল নিজেই নির্ধারণ করতে পারে না।

‘বিচারকরাই বিব্রত অবস্থায় পড়তে পারেন’

বিচারকদের মতে—
• ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের বিচারকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আদালতটি নিজেই বৈধ কি না।
• তারা নিজেরাই বৈধ বিচারক কি না—সেটিও এই বেঞ্চকে নির্ধারণ করতে হবে।
• যা ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে একটি আত্মবিরোধী ও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।

 কেন তারা সুপ্রিম কোর্টে ফিরতে চান

বিচারকরা পরিষ্কার করে বলেছেন—
• তাদের আইসিএ সুপ্রিম কোর্টেই শুনানি হওয়া উচিত।
• নতুন আদালতের এখতিয়ার দুর্বল,
• আর ২৭তম সংশোধনীর বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন প্রবল।

এই কারণেই তারা ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের এখতিয়ার সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন, যা পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থায় নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নেট্রা মান্তেনার উদয়পুর বিবাহে ‘ডোলা রে ডোলা’-এ মুগ্ধতা ছড়ালেন মাধুরী দীক্ষিত

পাকিস্তানে নতুন ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট নিয়ে তীব্র বিতর্ক: পাঁচ বিচারকের দাবি—শুনানি সুপ্রিম কোর্টেই হোক

০৮:৫০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানে সদ্য গঠিত ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টকে কেন্দ্র করে বিতর্ক ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ইসলামাবাদ হাই কোর্টের পাঁচ বিচারক অভিযোগ তুলেছেন—এই নতুন আদালতের আইনগত এখতিয়ার এখনও পরিষ্কার নয়। তাদের মতে, আদালতটি সাংবিধানিক প্রশ্নে নিজেই অনিশ্চিত, তাই তাদের আপিল শুনানি শুধুই সুপ্রিম কোর্টেই হওয়া উচিত।

বিতর্কের সূচনা: কেন বিচারকরা আপত্তি তুললেন?

ইসলামাবাদ হাই কোর্টের পাঁচ বিচারক—
• বিচারপতি মোহসিন আখতার কিয়ানী
• বিচারপতি তারিক মাহমুদ জাহাঙ্গীর
• বিচারপতি বাবর সত্তার
• বিচারপতি সারদার ইজাজ ইসহাক খান
• বিচারপতি সামান রিফাত ইমতিয়াজ

তাদের ইনট্রা কোর্ট আপিল (আইসিএ) নতুন ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টে পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানান। তাদের দাবি—সংবিধানের ১৭৫ই বা ১৭৫এফ ধারা অনুযায়ী এই নতুন আদালতের এখতিয়ার সীমিত, আর তাদের মামলা এই ধারাভুক্ত নয়।

ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের বেঞ্চ কেন আলোচনায়?

২৪ নভেম্বর যে বেঞ্চ মামলাটি শুনবে, তার নেতৃত্বে আছেন প্রধান বিচারপতি আমিনউদ্দিন খান। আরও ছয় বিচারপতি নিয়ে গঠিত এই বেঞ্চ এখনই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—যার মূল কারণ আদালতের বৈধতা, এখতিয়ার ও সাংবিধানিক ভিত্তি নিয়ে ওঠা প্রশ্ন।

বিচারকদের যুক্তি: আইন অপরিবর্তিত, এখতিয়ারও বদলায়নি

বিচারকদের দাবি—
• তাদের আপিল দাখিল হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিউর) আইন ২০২৩-এর ৫ নম্বর ধারায়।
• সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী এই আইন পরিবর্তন করেনি।
• ফলে এই ধারার অধীন আপিল নতুন আদালতে পাঠানোর কোনো ভিত্তি নেই।

এ ছাড়া ১৭৫এফ(২) ধারা স্পষ্ট—নির্দিষ্ট সাংবিধানিক আপিলই শুধু এ আদালতে যেতে পারে। বিচারকদের মতে, তাদের মামলা সেই শ্রেণির নয়।

২৭তম সংশোধনী: বিতর্ক আরও গভীর

বিচারকদের ধারণা, মামলাটি ২৭তম সংশোধনীর ব্যাখ্যা ধরে ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা জোর দিয়ে বলছেন—
তাদের মামলা সেই তালিকাভুক্ত মামলার মধ্যে পড়ে না।

আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তারা তুলেছেন—
যে আদালত কোনো সংশোধনীর মাধ্যমে গঠিত, সে আদালত কি নিজেই সেই সংশোধনীর সাংবিধানিক বৈধতা বিচার করতে পারে?
সাবির শাহ মামলার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বিচারকরা বলেন—নিজেকে গঠনকারী আইনের বৈধতা কোনও ট্রাইব্যুনাল নিজেই নির্ধারণ করতে পারে না।

‘বিচারকরাই বিব্রত অবস্থায় পড়তে পারেন’

বিচারকদের মতে—
• ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের বিচারকদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আদালতটি নিজেই বৈধ কি না।
• তারা নিজেরাই বৈধ বিচারক কি না—সেটিও এই বেঞ্চকে নির্ধারণ করতে হবে।
• যা ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে একটি আত্মবিরোধী ও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে।

 কেন তারা সুপ্রিম কোর্টে ফিরতে চান

বিচারকরা পরিষ্কার করে বলেছেন—
• তাদের আইসিএ সুপ্রিম কোর্টেই শুনানি হওয়া উচিত।
• নতুন আদালতের এখতিয়ার দুর্বল,
• আর ২৭তম সংশোধনীর বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন প্রবল।

এই কারণেই তারা ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্টের এখতিয়ার সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন, যা পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থায় নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।