দেশের সরকারি কলেজগুলোর মান ও পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার নতুন করে চারটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবিন্যাস করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, যেখানে ক্যাটাগরি অনুযায়ী কলেজগুলোর শিক্ষার্থীসংখ্যা ও অনার্স বিষয়ে বৈচিত্র্যকে প্রধান মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন প্রকাশ
২৪ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৫ শাখা থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট সরকারি কলেজ রয়েছে ৭০৮টি।
ক্যাটাগরি ‘এ’ : বড় ও বহুবিষয়ক কলেজ
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৮১টি সরকারি কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থীসংখ্যা ৮ হাজারের বেশি এবং অনার্সের বিষয় রয়েছে ১০টিরও বেশি। তুলনামূলকভাবে এগুলোকে বৃহৎ ও উন্নত সুবিধাসম্পন্ন কলেজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
ক্যাটাগরি ‘বি’ : মাঝারি আকারের কলেজ
‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৭৪টি কলেজ। এখানে শিক্ষার্থীসংখ্যা ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৮ হাজারের মধ্যে এবং অনার্সের বিষয় ৫টির বেশি। এই কলেজগুলো মাঝারি আকারের হলেও একাধিক অনার্স বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করে।

ক্যাটাগরি ‘সি’ : সংখ্যায় সর্বাধিক কলেজ
সবচেয়ে বেশি ৪৪৬টি কলেজ রয়েছে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে। এই ক্যাটাগরির কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০০ পর্যন্ত এবং অনার্সের বিষয় সংখ্যা ১ থেকে সর্বোচ্চ ৪টি। দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানের কলেজ এই শ্রেণিতে পড়েছে।
ক্যাটাগরি ‘ডি’ : শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ
শেষ ক্যাটাগরি ‘ডি’-তে রয়েছে ১০৭টি কলেজ, যেগুলোতে কেবল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রদান করা হয়। এদের অনার্স বা ডিগ্রি পর্যায়ের কার্যক্রম নেই।
#TAG
সরকারি কলেজ ৪ ক্যাটাগরি প্রজ্ঞাপন শ্রেণিবিন্যাস শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















