সমকালের একটি শিরোনাম “জাতিকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া আমাদের এজেন্ডা: সিইসি”
জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, অতীতের ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে কমিশন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। আমাদের এজেন্ডা একটাই, একটি ক্রেডিবল (গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। একটি ভালো নির্বাচন আয়োজন আমাদের দায়িত্ব। ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিনব্যাপী সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পর্যবেক্ষকদের ইসির সহযোগী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান সিইসি। ভোটের মাঠের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, যারা নতুন পর্যবেক্ষক সংস্থা, তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। পর্যবেক্ষণের জন্য যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা যেন রাজনীতি ও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”জাতীয় সংসদ নির্বাচন: এনসিপির নেতৃত্বে চার দলের জোটের আলাপ”
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্বে চারটি দলের জোটবদ্ধ হওয়ার প্রাথমিক আলোচনা চলছে। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এই জোটের অংশ হতে পারে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিপরীতে ছোট দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে শিগগির এই জোটের ঘোষণা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস এই দলগুলোর নেতাদের মধ্যে জোট গড়ার বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা চলছে। ফ্যাসিবাদ-বিরোধী অবস্থান এবং জুলাই সনদ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। তবে দলগুলোর নির্বাচনী আসন ছাড়ের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বলয়ের বাইরে তৃতীয় কোনো শক্তিকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। আমরা এনসিপির নেতৃত্বে তৃতীয় শক্তি গড়ার কথা ভাবছি। এখন পর্যন্ত এবি পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও আপ বাংলাদেশের সঙ্গে আলাপ চলছে। পরবর্তীকালে আরও দু-একটি দল যুক্ত হতে পারে।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তরুণদের নিয়ে তৃতীয় একটা বলয় তৈরি করতে চাই, যাদের সঙ্গে আমাদের আদর্শগত মিল রয়েছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলাপ চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচনে আসন ছাড়ের বিষয়েও কোনো কথা হয়নি।’
জুলাই সনদসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এই দূরত্ব ঘোচাবার চেষ্টা করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই বিএনপি, জামায়াতের বাইরে এসে ছোট দলের দিকেই মনোনিবেশ করতে চায় তরুণদের নতুন দলটি।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রাজধানীতে ৩০০ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত —রাজউক”
সম্প্রতি কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ৩০০টি ভবন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। গতকাল ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রাজউকের আয়োজনে ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়ম ও নকশা-বহির্ভূত ভবন নির্মাণে রাজউক এবং ভবন মালিক—উভয়েরই দায় আছে। তবে মূল দায়ী ভবন মালিক।’
তার দাবি, রাজউকে অর্থের বিনিময়ে কোনো কাজ হয় না। যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়।
রাজউক কারো নির্মাণের পরিকল্পনা করে দেয় না উল্লেখ করে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘রাজউকের নিয়ম মোতাবেক নির্মাণের শর্তে বাড়িওয়ালারাই ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট দিয়ে বাড়ির প্ল্যান করে রাজউকে জমা দেন। পরে তারা সেটা না মানলে জরিমানা কিংবা শাস্তি বাড়িওয়ালাদেরই দেয়া উচিত। এর দায়ভার রাজউকের নয়।’
তবে সিটি করপোরেশন, রাজউক ও ফায়ার সার্ভিস আলাদাভাবে কাজ করায় সবকিছু বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে বলে স্বীকার করেন রাজউক চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘সমন্বিতভাবে কাজ না করা গেলে ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকারকে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।’
সেমিনারে ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবেলায় ছয় মাস থেকে এক বছরের সমন্বিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়নের দিকে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরূপণে সরকারি দপ্তরগুলোর পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ফার্মকে সার্ভের দায়িত্ব দিতে হবে।’
মানবজমিনের একটি শিরোন “বাউল শিল্পীদের ওপর হামলার ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন”
মানিকগঞ্জে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের গ্রেপ্তার এবং তার সমর্থকদের ওপর শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালে সংঘটিত সমন্বিত মব-হামলার কড়া সমালোচনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। টিআইবি বলছে, এই হামলা ও মবের ঘটনা দেশব্যাপী ধর্মীয় সহাবস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যবিরোধী শক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশ, ধর্মান্ধতা ও সংখ্যাগুরুতান্ত্রিক অসহিষ্ণুতার বিপজ্জনক বিস্তৃতির উদ্বেগজনক উদাহরণ। এ ধরনের ঘটনা দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সর্বোপরি মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি চরম হুমকি। টিআইবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে শিল্পীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হলেও, প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত হামলা থেকে আহত বাউল শিল্পীদের রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয় পর্যবেক্ষকের ভূমিকা ও এ প্রসঙ্গে সরকারের নীরবতা আইনের শাসন, মানবাধিকার, মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করেছে। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে টিআইবি। বিবৃতিতে টিআইবি অবিলম্বে বাউলদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছে।
টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অবস্থাদৃষ্টে এমন মনে হওয়া অমূলক নয় যে, এ ঘটনা একটি সুসংগঠিত কৌশলের অংশ। উদ্বেগের বিষয় হলো, গত বছর কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর এ প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। স্থানীয়ভাবে ধর্মান্ধতানির্ভর আক্রমণাত্মক ব্যানারের পেছনে সক্রিয় শক্তিগুলো কার্যত ধর্মীয় বৈচিত্র্য, গোষ্ঠীগত ভিন্নমত, সাংস্কৃতিক বহুত্ব, লোকায়ত ও আধ্যাত্মিক বৈচিত্র্যকে দমন করার উগ্র মিশন চালাচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় মাজার ভাঙচুর, কবর থেকে মৃত পীরের দেহ উত্তোলন ও অগ্নিসংযোগ, বাউল আসর বন্ধ, বাদ্যযন্ত্র জব্দ, গ্রামীণ মেলা, নাটক বন্ধ করা, ভিন্নমতের প্রকাশ্য হেনস্তার মতো ঘটনা নিয়মে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ধর্মান্ধ, উগ্র ও অশোভন তৎপরতার প্রতি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। কেন- এ প্রশ্নের যেমন জবাব পাওয়া যায়নি, তেমনি ধর্মান্ধ মহলের উগ্র চাপের মুখে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করে এ ধরনের অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করলো, তারও কোনো সদুত্তর নেই। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, সরকারের নীরবতা এবং দুর্বল আইনপ্রয়োগ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় তোষণ হিসেবে ব্যবহার করছে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















