পৃথিবীতে মানুষকে সফল হতে হলে সব ক্ষেত্রে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জন করতে হয়। নেতা মানে কখনও এই নয় যে সে অন্যকে নেতৃত্ব দিবে। নিজের প্রতিটি কাজের নেতাও নিজেকে হতে হয়। এ কারণে জীবনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন নেতৃত্বের গুনগুলো নিজের জীবনা চারণের মধ্যে নিয়ে আসা। মানুষ দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সফল মানুষের জীবন বিশ্লেষণ করে নেতৃত্বের নানান গুন বা আচরণ নির্ধারণ করেছে।
সারাক্ষণে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে তেমনি কিছু স্মার্ট নেতা হবার গুনাবলী ।

সুক্ষ্ম পরিমাপের ক্ষমতা
নেতাকে অবশ্যই তার কাজের ও সমর্থের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিমাপ করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এ অর্জন একদিনে হয় না। ধীরে ধীরে হয়। আবার এই পরিমাপে অবশ্যই তার দল বা টিমকে সঙ্গে রাখতে হবে। তারা যেন তাকে এ পরিমাপে সহায়তা করে।
তাদের সকলের সহায়তাকে অবশ্যই নেতাকে নিজস্ব বিবেচনা দিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে।

কাজের সংখ্যা
কাজের সংখ্যা কত এবং সেটাকে কত ভাগে ভাগ করা যায়। তার পাশাপাশি কোনটার কতটা গুরুত্ব। গুরুত্ব অনুসারে কোনটা আগে আসবে, কোনটা পরে আসবে তা নেতাকে অবশ্যই পর্যালোচনা করা ও সিদ্ধান্ত নেবার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
পাশাপাশি নেতাকে তার এই সংখ্যক কাজে কত সংখ্যক বাধা কোন কোন দিক থেকে আসবে তারও একটা পরিমাপ করতে হবে।
এর সঙ্গে সঙ্গে নেতা তার দল বা টিমকে একই কাজ শেখাবে। যাতে করে তারা নিজেরাও এভাবে কাজকে এগিয়ে নিতে পারে।

কাজের পথের হিসেব নিকেষ
নেতা যেমন কাজের সুক্ষ্ম পরিমাপ করবেন, কাজের সংখ্যা নিধারণ করবেন – তেমনি তাকে খুবই সঠিক হিসাব করতে হবে যে, এই কাজ কীভাবে এগুবে, এর প্রতিটি পর্যায়ে তাকে কীভাবে নেতৃত্ব নিতে হবে। সেখানে তাকে কতটা ধীর স্থির থাকতে হবে।
ঠিকই একই কাজ তিনি করবেন তার দল বা টিমের ক্ষেত্রে। তারাও যেন ধীর স্থির থাকে। কোনমতেই যেন তাদের ভেতর কোন অস্থিরতা কাজ না করে।
![]()
সফলতা কতটুকু আসতে পারে তার পজিটিভ ও নেগেটিভ হিসাব
প্রত্যেকটি কাজের সফলতার চান্স নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। সেখানে সব সময়ই একটা ব্যালান্স মেইনটেইন করে চলতে হয়। এ ক্ষেত্রে কখনও ৬০-৪০ ধরা যেতে পারে আবার কখনো ৫০- ৫০ ধরা যেতে পারে। সমস্ত নেগেটিভ ও পজিটিভ দিকগুলো বিবেচনা করেই এই সাফল্যর এই ব্যালন্স পথটি তৈরি করতে হয়।
ব্যালান্স পথে এগুলে বাস্তবে সফলতার সম্ভাবনা বেশি হয়।
Sarakhon Report 



















