০২:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার অবস্থার উন্নতি, চিকিৎসা সঠিকভাবে চলছে: ডা. জাহিদ মনউন্মোচনকারী উপন্যাস ‘লাইটব্রেকার্স’ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে তালেবান ইস্যুতে বাড়ছে আফগান-পাকিস্তান উত্তেজনা জলব্যায়ামে প্রেম, আর শেষ পর্যন্ত পুলেই বিয়ে টেক্সাসে মুসলিম অধিকার সংস্থা ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণার জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া খরা কি উন্নত সিন্ধু সভ্যতার অবসান ঘটিয়েছিল? ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস: শীতের কাঁপুনিতে শুরু হলো ডিসেম্বর প্রযুক্তি ও কৌশলগত অংশীদারত্বেই ভারতের রূপান্তরের চাবিকাঠি মিথেন খাদক অণুজীব: দূষণ কমানোর নতুন সম্ভাবনা

তালেবান ইস্যুতে বাড়ছে আফগান-পাকিস্তান উত্তেজনা

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তজুড়ে সহিংসতা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং ভারতের সঙ্গে তালেবান সরকারের বাড়তি যোগাযোগ—সব মিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আবারও সামরিক উত্তেজনার দিকে ধাবিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলা, বিমান হামলা এবং কূটনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।


বিমান হামলা ও পাল্টা অভিযোগ
গত মঙ্গলবার পূর্ব আফগানিস্তানে বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়, যার মধ্যে নয়জন ছিলেন শিশু। কাবুল দাবি করেছে, এই হামলা পাকিস্তান চালিয়েছে এবং এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তালেবান সরকার মনে করছে, এই হামলা ছিল পেশোয়ারে আগের সপ্তাহে হওয়া একটি আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ, যেখানে পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীর সদরদপ্তরে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়। পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)কে দায়ী করছে, যারা আফগান তালেবান নেতার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেছে।

অক্টোবরেও এমন উত্তেজনা সীমান্তে সপ্তাহজুড়ে সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছিল।


ভারত-তালেবান ঘনিষ্ঠতায় পাকিস্তানের উদ্বেগ
পাকিস্তান বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে ভারত ও তালেবান উভয়ই টিটিপিকে সহায়তা করছে। তবে ভারত এবং কাবুল উভয়েই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবুও দিল্লি ও তালেবান সরকারের বাড়তি যোগাযোগ ইসলামাবাদে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে।

একজন জ্যেষ্ঠ পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তার ভাষায়, “আমরা এই সমীকরণ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

ভারত প্রকাশ্যেই তালেবান সরকারকে নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কাছে টানছে। অক্টোবর মাসে ভারতের আমন্ত্রণে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির এক সপ্তাহব্যাপী সফরের উদাহরণ। যদিও ভারত এখনো তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও তারা কাবুলে দূতাবাস পুনরায় সক্রিয় করেছে, যৌথ বাণিজ্য চেম্বার চালু করেছে এবং ভারত–আফগানিস্তানের মধ্যে বিমানবাণিজ্য করিডর খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তালেবান ভারতের জন্য একটি কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে তখন, যখন পাকিস্তান তালেবানের সঙ্গে তীব্র সংকটে রয়েছে।

ভারতের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হ্যাপিমন জ্যাকব বলেন, “যদি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যায়, তাহলে তালেবানের সঙ্গে কেন নয়?”


তালেবানের বাণিজ্যিক সংকট ও নতুন পথের সন্ধান
পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে মাসের পর মাস টানাপোড়েন চলার ফলে আফগানিস্তানের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় অচল। তালেবান সরকার ব্যবসায়ীদের নতুন বাণিজ্যপথ খুঁজতে উৎসাহ দিচ্ছে। তারা ইরান ও মধ্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়িয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান বলছে—এই সংকট তালেবানের নিজের তৈরি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মন্তব্য করেছেন, তালেবান একটি “অগোছালো দল”, যাদের ওপর আর ভরসা করা যাবে না।

ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক আত্মঘাতী হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান আবারও টিটিপিকে দায়ী করেছে এবং পাশাপাশি আফগান তালেবান ও ভারতকেও পরোক্ষভাবে অভিযুক্ত করেছে—যদিও তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।


ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও আজকের বিরোধ
পাকিস্তান ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তালেবানকে সমর্থন ও আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পাকিস্তান তালেবান থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য হয়। ২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান যখন ক্ষমতায় ফিরে আসে, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একে “দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙা” বলে আখ্যা দেন।

কিন্তু তালেবান পাকিস্তানের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। বরং টিটিপির হামলা বেড়েছে, এবং তালেবান তাদের থামাতে অগ্রগতি দেখায়নি বলে অভিযোগ ইসলামাবাদের।

বিরোধের চাপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে সাধারণ আফগানদের ওপর। গত তিন বছরে পাকিস্তান প্রায় ১০ লাখের বেশি আফগানকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ থাকায় আফগান কৃষকদের পণ্য নষ্ট হয়েছে, এবং দুই দেশের ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক আফগান ব্যবসায়ী খান জান আলোকোজাই বলেন, “এতে দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”


বাণিজ্যের বিপর্যয় ও নতুন পথের সীমাবদ্ধতা
পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে সিমেন্ট রপ্তানি বন্ধ হয়ে আছে, যা পাকিস্তানের শ্রমবাজারেও প্রভাব ফেলছে। তবে পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের মতে, ক্ষতির মুখে পড়ছে আফগানিস্তানই বেশি, কারণ দেশটি আমদানি–রপ্তানির জন্য পাকিস্তানের আরব সাগরবন্দরগুলোর ওপর নির্ভরশীল।

আফগান কর্মকর্তারা ইরানের পারস্য উপসাগরীয় বন্দরকে বিকল্প হিসেবে দেখছেন। কিন্তু পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতীতে একই প্রচেষ্টা ব্যয়বহুল হওয়ায় টেকসই হয়নি।

ভারতের সঙ্গে বিমানবাণিজ্যের পরিকল্পনাও তালেবানের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ তাদের বিমানবহর পুরোনো এবং প্রযুক্তিগতভাবে দুর্বল। সম্প্রতি দিল্লিতে আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ভুল রানওয়েতে অবতরণ করতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা থেকে কেবলমাত্র অল্পের ব্যবধানে রক্ষা পেয়েছে। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই এয়ারলাইন্সকে বহু দেশের আকাশসীমায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


সমাপনী মন্তব্য
ভারত, পাকিস্তান ও তালেবানের জটিল সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সীমান্তে সহিংসতা, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েন পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে। রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা কমাতে তিন পক্ষেরই কৌশলী ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ জরুরি।

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া অব্যাহত রাখার আহ্বান

তালেবান ইস্যুতে বাড়ছে আফগান-পাকিস্তান উত্তেজনা

০১:২৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তজুড়ে সহিংসতা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এবং ভারতের সঙ্গে তালেবান সরকারের বাড়তি যোগাযোগ—সব মিলিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আবারও সামরিক উত্তেজনার দিকে ধাবিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলা, বিমান হামলা এবং কূটনৈতিক অস্থিরতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।


বিমান হামলা ও পাল্টা অভিযোগ
গত মঙ্গলবার পূর্ব আফগানিস্তানে বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়, যার মধ্যে নয়জন ছিলেন শিশু। কাবুল দাবি করেছে, এই হামলা পাকিস্তান চালিয়েছে এবং এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তালেবান সরকার মনে করছে, এই হামলা ছিল পেশোয়ারে আগের সপ্তাহে হওয়া একটি আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ, যেখানে পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনীর সদরদপ্তরে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়। পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)কে দায়ী করছে, যারা আফগান তালেবান নেতার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেছে।

অক্টোবরেও এমন উত্তেজনা সীমান্তে সপ্তাহজুড়ে সংঘর্ষের জন্ম দিয়েছিল।


ভারত-তালেবান ঘনিষ্ঠতায় পাকিস্তানের উদ্বেগ
পাকিস্তান বহুদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে ভারত ও তালেবান উভয়ই টিটিপিকে সহায়তা করছে। তবে ভারত এবং কাবুল উভয়েই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবুও দিল্লি ও তালেবান সরকারের বাড়তি যোগাযোগ ইসলামাবাদে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে।

একজন জ্যেষ্ঠ পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তার ভাষায়, “আমরা এই সমীকরণ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

ভারত প্রকাশ্যেই তালেবান সরকারকে নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কাছে টানছে। অক্টোবর মাসে ভারতের আমন্ত্রণে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির এক সপ্তাহব্যাপী সফরের উদাহরণ। যদিও ভারত এখনো তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও তারা কাবুলে দূতাবাস পুনরায় সক্রিয় করেছে, যৌথ বাণিজ্য চেম্বার চালু করেছে এবং ভারত–আফগানিস্তানের মধ্যে বিমানবাণিজ্য করিডর খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, তালেবান ভারতের জন্য একটি কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে তখন, যখন পাকিস্তান তালেবানের সঙ্গে তীব্র সংকটে রয়েছে।

ভারতের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হ্যাপিমন জ্যাকব বলেন, “যদি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যায়, তাহলে তালেবানের সঙ্গে কেন নয়?”


তালেবানের বাণিজ্যিক সংকট ও নতুন পথের সন্ধান
পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে মাসের পর মাস টানাপোড়েন চলার ফলে আফগানিস্তানের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় অচল। তালেবান সরকার ব্যবসায়ীদের নতুন বাণিজ্যপথ খুঁজতে উৎসাহ দিচ্ছে। তারা ইরান ও মধ্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়িয়েছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান বলছে—এই সংকট তালেবানের নিজের তৈরি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মন্তব্য করেছেন, তালেবান একটি “অগোছালো দল”, যাদের ওপর আর ভরসা করা যাবে না।

ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক আত্মঘাতী হামলায় ১২ জন নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান আবারও টিটিপিকে দায়ী করেছে এবং পাশাপাশি আফগান তালেবান ও ভারতকেও পরোক্ষভাবে অভিযুক্ত করেছে—যদিও তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।


ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও আজকের বিরোধ
পাকিস্তান ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তালেবানকে সমর্থন ও আশ্রয় দিয়েছিল। কিন্তু ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে পাকিস্তান তালেবান থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য হয়। ২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তালেবান যখন ক্ষমতায় ফিরে আসে, তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান একে “দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙা” বলে আখ্যা দেন।

কিন্তু তালেবান পাকিস্তানের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। বরং টিটিপির হামলা বেড়েছে, এবং তালেবান তাদের থামাতে অগ্রগতি দেখায়নি বলে অভিযোগ ইসলামাবাদের।

বিরোধের চাপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে সাধারণ আফগানদের ওপর। গত তিন বছরে পাকিস্তান প্রায় ১০ লাখের বেশি আফগানকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ থাকায় আফগান কৃষকদের পণ্য নষ্ট হয়েছে, এবং দুই দেশের ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এক আফগান ব্যবসায়ী খান জান আলোকোজাই বলেন, “এতে দুই পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”


বাণিজ্যের বিপর্যয় ও নতুন পথের সীমাবদ্ধতা
পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে সিমেন্ট রপ্তানি বন্ধ হয়ে আছে, যা পাকিস্তানের শ্রমবাজারেও প্রভাব ফেলছে। তবে পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের মতে, ক্ষতির মুখে পড়ছে আফগানিস্তানই বেশি, কারণ দেশটি আমদানি–রপ্তানির জন্য পাকিস্তানের আরব সাগরবন্দরগুলোর ওপর নির্ভরশীল।

আফগান কর্মকর্তারা ইরানের পারস্য উপসাগরীয় বন্দরকে বিকল্প হিসেবে দেখছেন। কিন্তু পাকিস্তানি ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতীতে একই প্রচেষ্টা ব্যয়বহুল হওয়ায় টেকসই হয়নি।

ভারতের সঙ্গে বিমানবাণিজ্যের পরিকল্পনাও তালেবানের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ তাদের বিমানবহর পুরোনো এবং প্রযুক্তিগতভাবে দুর্বল। সম্প্রতি দিল্লিতে আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ভুল রানওয়েতে অবতরণ করতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা থেকে কেবলমাত্র অল্পের ব্যবধানে রক্ষা পেয়েছে। নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে এই এয়ারলাইন্সকে বহু দেশের আকাশসীমায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


সমাপনী মন্তব্য
ভারত, পাকিস্তান ও তালেবানের জটিল সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সীমান্তে সহিংসতা, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েন পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে। রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা কমাতে তিন পক্ষেরই কৌশলী ও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ জরুরি।